সারা পৃথিবী আজ যেখানে টেকনোলজির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। সেখানে আমাদের দেশে টেকনোলজিস্টদের কোন দামই নেই। দোষ কারন কতিপয় ছাত্র যারা শিক্ষা ব্যবস্থার বদনাম করে গেছে শুধু তাদের দিলে হবে না। এ দোষ আমাদের অনেকেরই।
এ জন্য সরকারের উচিত হবে পদক্ষেপ নেওয়া। পর্যাপ্ত রিকুয়ারমেন্ট দিয়ে প্রাইভেট পলিটেকনিক গুলো কব্জায় আনা। শিক্ষার মানের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে এত পলিটেকনিক দিয়ে কি হবে? বেশিরভাগ প্রাইভেট পলিটেকনিকেই পর্যাপ্ত ল্যাব নেই। নিজস্ব ক্যাম্পাসের অভাব। কোনটায় আবার এক তলা গ্যারেজ তো দু তলা ক্যাম্পাস! আবার তিনতলা ডাক্তার খানা! পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এরকম বহু সমস্যা নিয়ে প্রাইভেট পলিটেকনিকগুলো ব্যাঙের ছাতার মত দাড়িয়ে আছে। বেশিরভাগ প্রাইভেট পলিটেকনিকেই ১ম থেকে ৩য় সেমিষ্টার পর্যন্ত ছাত্রদের লেখাপড়াই করতে হয় না । কারন এ তিন সেমিষ্টার নিজস্ব টিচারেরা খাতা দেখে, যাই লেখ না কেন কোন ফেইল নাই। যার ফল স্বরুপ দেখা যায় ৪র্থ থেকে ৮ম সেমিষ্টার পর্যন্ত অধিকাংশ ঝরে যায়! দেড় বছর ধরে লাখ টাকা খরচ করে শেষে বাড়ি গিয়ে কামলা খাটা! ফলে অভিভাবকের হাজারও স্বপ্ন ভেঙ্গে সন্তানটি হয় মাথার বোঝা। কি আর করার বেইজ নড়বড় লোড দিলে তো ফেইল হবেই! এদিকে আবার আমাদের শিক্ষানীতির অবস্থা কাহিল! ২০০ মার্কের সাবজেক্টের মধ্যে ১২০ ই থিওরি বাকি ৮০র মধ্যে প্রাকটিক্যাল, ক্লাসে উপস্থিতি, আচার ব্যাবহার ইত্যাদি! অথচ দেওয়া উচিত ছিল ১২০ ই প্রাকটিক্যাল! থিওরির চেয়ে যে প্যাকটিক্যালের কি প্রয়োজন তা স্টুডেন্টরা জব লেভেলে এসে হাড়ে হাড়ে টের পায়। বুঝলাম প্রাইভেট পলিটেকনিকগুলোতে প্র্যাকটিক্যালের যন্ত্রপাতির অভাব কিন্তু সরকারি পলিটেকনিকেরও অনেক ছাত্রদের থেকে শোনা যায় যে তাদের প্র্যাকটিক্যাল ঠিকমত করানো হয় না। সমস্যা শুধু এখানে শেষ নয়! এখন বেশিরভাগ কোম্পানী ইংলিশ মিডিয়াম। এখানে আবার নতুন বিপাক শুরু। উচিত হবে ডিপ্লোমা বইগুলোর ভিতরে কমপক্ষে ৫০% ইংলিশ ঢুকানো।
সব মিলিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায় কারিগরি শিক্ষাকে ব্যাপক মোডিফাই করা উচিত। যে জন্য শিক্ষক, ছাত্র প্রশাসন সব মিলে এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু সার্টিফিকেইট ধারি ছাত্রের সংখ্যা বাড়লেই দেশের অগ্রগতি বাড়ে না; সেজন্য প্রয়োজন মান সম্মত খাটি-নিখাঁদ এবং যুগপোযোগি শিক্ষা!
Leave a Reply