“হঠাৎ ভীষণ জ্বর, অতঃপর ব্লাড ক্যান্সার(Acute Myeloid Leukaemia) নামক নতুন একটি অগ্নি পরীক্ষা”
আমি খুব ভালো জানি না ২২ বছরের একটি দুরন্ত মেয়ের কি কি স্বপ্ন থাকে, হতে পারেঃসুন্দরভাবে শিক্ষাজীবন শেষ, ক্যারিয়ার গড়া, মা-বাবাকে সাহায্য করা, বৈবাহিক ও সাংসারিক জীবন ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই!মুক্তারও স্বপ্ন ছিল, খুব ভালভাবে B.Sc. নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করে একটি সরকারী কিংবা বেসরকারি ভাল চাকুরীতে যোগ দিবে। প্রথম মাসের বেতন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাকে একটা শাড়ী, বাবাকে একটা পাঞ্জাবী, ছোট ভাই-বোনদের শার্ট-প্যান্ট,জুতা; নতুন জামা উপহার দিবে। কিছু টাকা গরীব-দুঃখী মানুষের একবেলার খাবারের আয়োজনে ব্যয় করবে। ওই বেতন থেকেই বেশী না হোক অন্তত ৫০০ টাকার একটি নোট সে হয়তো রেখে দিবে। ভবিষ্যতে ওর বরকে দেখিয়ে খুনসুটি করে বলবে, “এই বল তো এই টাকা কই পাইছি!?
ওর বর হয়তো বলবেঃ কেন আমার পকেট থেকে চুরি করছো!,
ও হয়তো এবার সিরিয়াসলি হেসেই বলবে, আরে না! এটা আমার প্রথম মাসের বেতনের টাকা!”ঠিক তখন নতুন এই দম্পতীর চোখেমুখে কি আনন্দের আভাটাই না দেখা যাবে!, একবার কল্পনা করুন!!
এভাবেই কোন একদিন ওর কোলজুড়ে আসবে এক ফুটফুটে নতুন অতিথি!
কতই না অটুট হবে সেই ন্যাচারাল বন্ধন!
হাজার হাজার মেধাবীদের মধ্য থেকে B.Sc. Nursing Admission এ মুক্তার Rangpur সরকারী Nursing কলেজে চান্স পাওয়ার খবরে মা-বাবার চোখেমুখে সেদিন যে আনন্দের ঢেউ লেগেছিল, সে ঢেউই জন্ম দিয়েছিল কিছু স্বপ্নের, কিছু চাওয়া-পাওয়ার। মেয়ে নার্সিং পাশ করে নিজেকে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সেবায় উৎসর্গ করবে, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল হবে। মা-বাবার তেমন উপকারে না আসলেও অন্তত নিজেকে তো প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, Minimal Dream of a Middle Class Family যাকে বলে। এর থেকে বেশী স্বপ্ন মধ্যবিত্ত পরিবার দেখে না, দেখা যে পাপ!
___________
সব স্বপ্নই তো ছিল, মেধাবী মুক্তাও ট্রাকে সফল ছিল। ও ফাইনাল ইয়ারের তিনটি বিষয়ের পরীক্ষাও দিয়েছে।
“হঠাৎ ভীষণ জ্বর, অতঃপর ব্লাড ক্যান্সার(AML) নামক নতুন একটি অগ্নি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলো সম্ভাবনাময় গ্রাজুয়েট নার্স মুক্তা রায়কে।
সব কিছুই আজ এলোমেলো! কোন পরিকল্পনা নেই, সব শেষের পথে। রক্তের ক্যান্সার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চলছে।
সহাস্যমুখ মুক্তা রায়ের হাসি নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সেস কেবিন ০৮ এ ধীরেধীরে নিস্তেজ হয়ে পরছে ওর শরীর। পরিবার-পরিজন,বন্ধুমহল,প্রতিবেশী, শুভাকাঙ্ক্ষী…. কেউ হাসতে পারে না!
হাসপাতালের বেডে শুয়ে অসহায় দৃষ্টিতে সে তার অতীত স্মৃতিকে খুঁজে ফিরছে প্রতিনিয়ত!
মুক্তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত ওর Bone Marrow Transplant(অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন) করাতে হবে। বিদেশের মাটিতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা।
কি ভাবছেন, ৫০ লক্ষ টাকা অনেক বেশী?
হ্যাঁ,এটা অনেক বেশী মুক্তার পরিবারের একার জন্য এবং তাঁরা অক্ষমও বটে!
তবে, আপনি-আমি ৫০ টাকা করে দিলেও ৫০ লক্ষের শূন্যগুলো ধীরেধীরে কমে যাবে এবং একসময় ৫০ লক্ষ হয়েও যাবে।
___________
মুক্তার মত গ্রাজুয়েট নার্সের কাছে আমাদের অনেক সেবা নেওয়া বাকী রয়েছে। ও তো স্বাস্থ্যসেবা অনেক ভালো জানে। এই ক’দিন আগেও ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ICU তে ডিউটি করলো!
মানুষ_মানুষের_জন্য। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই আমরা পরোপকারী।
….
সামান্য অসুস্থতা, মেহমানদারী,….. ইত্যাদি কতভাবেই না আমরা ৫০/১০০/২০০ টাকা খরচ করে ফেলি অনায়াসে! তাহলে মুক্তার জন্য কেন পারবো না আমরা?
তাঁর Recoveryর জন্য আজ আপনাদের অনেক বেশী ভালবাসা, প্রার্থনা এবং আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।
….
প্রিয় সুবিবেচক বন্ধু,
মুক্তার বাস্তব ও স্বপ্নের জগৎ কে বাঁচাতে সাহায্য করুনঃ
♦বিকাশঃ 01848-094609 & 01911-174498.♦ডাচ-বাংলা একাউন্টঃ 107-105-545-52.
♦ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং: 01848-0946090.
♦♦প্রবাসী বন্ধুরাঃ BALBBDDH-004-0233-4001-935.
……………..
বিস্তারিত জানতেঃ
নিগমঃ 01717-328779.
রিপনঃ 01717-929309.
পার্থ সারথীঃ 01848-094609.
ইভেন্টঃ “ফিরে পেতে তার হাসি”
হ্যাসট্যাগঃ #supportteamofmukta
Leave a Reply