প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ সেট প্রশ্নে। দেশের ৬৪ জেলাকে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতি অঞ্চলে ভিন্ন সেটে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। আগের বছরগুলোতে সারাদেশে এক সেট প্রশ্নেই পরীক্ষা নেওয়া হতো।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে এ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টায় শুরু হবে এ পরীক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে দেড় লাখেরও বেশি। এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে মোট ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩ এবং ইবতেদায়িতে তিন লাখ পাঁচ হাজার ৪৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ১৯৩ জন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, আগে এ পরীক্ষায় মাত্র এক সেট প্রশ্নপত্র ছাপানো হতো। গত কয়েক বছরে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ৬৪ জেলাকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করে মোট আট সেট প্রশ্নে পরীক্ষা নেবে সরকার। কোন জেলা কোন অঞ্চলে থাকবে; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়া আর কেউ তা জানতে পারবেন না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস গণমাধ্যমে বলেন, আট অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নপত্র তারা ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। কোনোভাবে যদি কোনো একটি জেলার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে শুধু ওই জেলার শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পাশের জেলাটি কোন অঞ্চলে পড়েছে তা কেউ সহজে জানতে পারবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, লটারির মাধ্যমে আটটি অঞ্চলে আটটি করে জেলাকে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার দিন এসব জেলার হিসাব পাল্টে যাবে। সে অনুযায়ী অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নের সেট নির্দিষ্ট জেলায় পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্রনাথ জানান, এবার ৩২ সেট প্রশ্নের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে আট সেট প্রশ্ন বাছাই করে তা বিজি প্রেসে ছাপানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এবার পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ‘ডিজিটালি’ প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলেও প্রাথমিক সমাপনীতে কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওই পদ্ধতি সুবিধাজনক হবে না বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ সমকাল
Leave a Reply