ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাস করেছে মাত্র ১৪.৬৮ শতাংশ । এরকম রেজাল্ট দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যাবস্থায় ব্যার্থ দিকটাকে আরেকবার ফুটে তুলেছে। জাতির জন্য এটা হতাশাজনক।
এটা সবার জানা যে দেশের সর্বোচচ এই বিদ্যাপীঠে তারায় সাধারণত পরীক্ষা দিতে যায় যাদের মাধ্যমিকে উচ্চ মাধ্যমিকে তুলনামুলক ভাল জি পি এ থাকে। দুর্বল শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দিতে যায়না অথবা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়না। সোজাসাপ্টা বলতে গেলে ঢাবিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা সবায় দেশের শিক্ষা বোর্ড
এর সার্টিফাইডকৃত মেধাবী।
প্রশ্নটা এখানে। কেন এসব সার্টিফাইড মেধাবীরা বার বার অকৃতকার্য হচ্ছে! কেন তাদের দীর্ঘ ১২ বছরের শিক্ষা কার্যক্রম একটি ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার যোগ্যতা এনে দিতে পারছেনা..! বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রশ্ন বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে..! নাকি তাদের শিক্ষা পক্রিয়ায় ত্রুটি আছে..!
আমার মতে মাধ্যমিকে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা পদ্ধতিতে,পরীক্ষা পদ্ধতিতে, প্রশ্ন প্রণয়ন পদ্ধতি এবং উত্তর পত্র পরীক্ষণ পদ্ধতিতে ত্রুটিই এর মুল কারণ । অনেক পরীক্ষক তো প্রকাশ্যে বলে ফেলে, “আমাদের উপর থেকে নির্দেশ দেয়া হয় ভুল সঠিক যায় লেখুক নাম্বার বেশী দেয়ার জন্য”
আমরা দেখে আসছি প্রতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমনকি ছোট ছোট পরীক্ষা psc,jsc, এসবেও প্রশ্ন ফাস হয়ে যাচ্ছে, যেখানে সেখানে মিলছে হুবহু প্রশ্ন। ফলে শিক্ষার্থীরা বেসিক পড়া থেকে সরে এসে ফাস্কৃত প্রশ্ন থেকে পরীক্ষার আগে দু একটা প্রশ্ন গিলেই ভাল নাম্বার পেয়ে যাচ্ছে। যেটিকে বলা যায় শর্ট টাইমের সাফল্য। এসব শর্ট টাইম সাফল্য পাওয়া শিক্ষার্থীরায় আজকে হোচট খেয়ে পড়ছে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুলুতে।
এর থেকে উত্তরনের পথ বের করা জরুরী। নচেৎ আমাদের সামনে আরো ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। ভেঙ্গে পড়বে পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থা. যা কারো কাম্য নয়, বিষাদের বিষয় হচ্ছে সরকার এ নিয়ে ন্যূন্যতম পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।
Leave a Reply