শিক্ষার্থীরা চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট দিতে হবে

কেউ বোর্ড বরাবর আবেদন করলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরফর্দ (মার্কশিট) দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিও প্রকাশিত হয়েছে।
High_Court
রায়ে বলা হয়, কেউ চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরফর্দ (মার্কশিট) দিতে হবে। এছাড়া এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদনকারী নাফিস সালমান খানের এইচএসসির মার্কশিট রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০০১ সালের ১২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে বলা হয়, ‘সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০০১ সালের অন‍ুষ্ঠেয় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ও ২০০৩ সালে অনুষ্ঠেয় উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা থেকে ফলাফল লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে।

এ বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে:
ক. পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কোনো বিভাগ থাকবে না। শুধু প্রতি বিষয়ে প্রাপ্ত লেটার গ্রেড ও সব বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টের (জিপি) ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীর গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (জিপিএ) উল্লেখিত থাকবে। লেটার মার্ক ও স্টার মার্ক ও মেধা তালিকা প্রণয়ন বা প্রকাশের প্রচলিত প্রথা থাকবে না।’

এ প্রথা অনুসরণ করে পরীক্ষা চলে আসছিলো। কিন্তু ২০১০ সালে সরকারি কবি নজরুল কলেজের এইচএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষার্থী নাফিস সালমান খান ফলাফল পুন‍ঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ফলাফলের নম্বরফর্দ চেয়ে বারবার আবেদন করার পরও তাকে দেওয়া হয়নি।

এরপর ২০১১ সালে হাইকোর্টে ২০০১ সালের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন নাফিস সালমান।

এ রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে নাফিস সালমানকে ৩০ দিনের মধ্যে নম্বরফর্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এছাড়াও যদি কেউ নম্বরফর্দের জন্য আবেদন করেন তবে তাকে নম্বরফর্দ দিতে হবে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম সালাহউদ্দিন খান।

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *