বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারও ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাস করতে পারেনি, তাদের আবার সময় দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শর্ত মেনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবস্থা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে। এরপর এই প্রতিবেদন দেখে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বিবেচনা করা হবে।

১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের ঘোষিত সময় অনুসারে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে ক্যাম্পাস করে কার্যক্রম চালানোর কথা ছিল। এখন পর্যন্ত পুরোনো ৫২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭ টির নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে। অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সাতটি আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। নয়টির ভবন নির্মাণাধীন ও ১৭ টির জমি কেনার ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় জমি কেনেনি।

তৃতীয় দফায় সরকারের দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ক্যাম্পাস করার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে আরও সময় দেওয়া হলে চতুর্থ দফা হবে।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সরকার ও ইউজিসি মনোনীত সদস্যদের সিন্ডিকেট সভায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। কয়েকটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সুস্পষ্ট বেতনকাঠামো নেই। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেকে শিক্ষক বা কর্মচারীদের ছাঁটাই করছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অনেকের মানসম্মত ল্যাবরেটরি ও গবেষণাগার নেই। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় নামমাত্র গবেষণা করছে। কিন্তু ইউজিসির ক্ষমতা সীমিত থাকায় তাঁরা কিছু করতে পারছে না। এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মন্ত্রণালয় নেবে।

সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকদের সংগঠন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন তাঁদের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*