২০১৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রবর্তিত মাধ্যমিক স্তরের তিনটি বিষয়ের নম্বর বণ্টন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
অষ্টম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, নবম-দশম শ্রেণির ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের নম্বর বণ্টন করে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আদেশ জারি করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক এ. টি. এম মইনুল হোসেন জানিয়েছেন, নম্বর বণ্টন বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ এবং শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের আদেশে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’র নির্দেশনার আলোকে এনসিটিবি ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষাক্রম পরিমার্জন ও উন্নয়ন এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করেছে। পরিমার্জন ও উন্নয়নকৃত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নম্বর বণ্টন করা হয়েছে।
কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা
অষ্টম শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ৩০ নম্বর এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য ২০ নম্বর মিলে মোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
পাঁচটি সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে তিনটির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর ১০। আর ২০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সব কয়টির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।
ক্যারিয়ার শিক্ষা
নবম-দশম শ্রেণির ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ৫০ নম্বরের মধ্যে তত্ত্বীয় অংশের জন্য ২৫ এবং ব্যবহারিক অংশের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তত্ত্বীয় অংশের ২৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের সবগুলোর উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে থাকবে ১। ব্যবহারিক অংশে অ্যাসাইনমেন্ট/প্রজেক্ট/অনুশীলন/ব্যবহারিক অংশে ২০ নম্বর এবং মৌখিক অভিক্ষায় ৫ নম্বর রাখা হয়েছে।
ব্যবহারিক অংশের জন্য শিক্ষাক্রমে বর্ণিত ব্যবহারিক কাজসমূহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সম্পন্ন করবে বলে নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে শিক্ষাবোর্ড ব্যবহারিক কাজের একটি তালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রেরণ করতে পারে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সম্পন্ন ব্যবহারিক কাজের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৩টি ব্যবহারিক কাজের নম্বর গড় করতে হবে। ব্যবহারিক কাজের প্রাপ্ত গড় নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা শিক্ষার্থীর নিবন্ধন নম্বর অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড প্রেরণ করবে। প্রতিটি ব্যবহারিক কাজের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৫০ নম্বরের মধ্যে তত্ত্বীয় অংশে ২৫ এবং ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তত্ত্বীয় অংশে ২৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের প্রতিটির উত্তর দিতে হবে, প্রতিটির জন্য ১ নম্বর।
ব্যবহারিক অংশে যন্ত্র/উপকরণ সংযোজন ও ব্যবহার/প্রক্রিয়া অনুসরণ/উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ/অঙ্কন/পর্যবেক্ষণ/শনাক্তকরণ/অনুশীলনে থাকবে ১৫ নম্বর।
প্রতিবেদন প্রণয়নে ৫ এবং মৌখিক অভীক্ষায় ৫ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষাক্রমে বর্ণিত ব্যবহারিক কাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পন্ন করবে। প্রয়োজনে শিক্ষা বোর্ড ব্যবহারিক কাজের একটি তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাতে পারে। সম্পন্ন ব্যবহারিক কাজের প্রাপ্ত গড় নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা শিক্ষার্থীর নিবন্ধন নম্বর অনুযায়ী সংরক্ষণ করবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে পাঠাবে। প্রতিটি ব্যবহারিক কাজের জন্য থাকবে ২৫ নম্বর।
Leave a Reply