সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৩য় দফায় ২২ জেলার লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এক ঘণ্টা ২০ মিনিট এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩য় দফায় যে জেলা গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, খুলনা, জামালপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি ও লালমনিরহাট।
সতর্কতাঃ পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, ইলেকট্রনিক ঘড়ি বা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখতে পারবেন না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এসব জিনিস সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হবে।
৩য় দফায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ২২ জেলায় ৪৪৭টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৩ হাজার ২৫৭ জন।
পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনাঃ পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ডাউনলোড করতে
এই লিংকে ক্লিক করুন।
৪র্থ দফায় পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখঃ আগামী ৩০ অক্টোবর আরও ১৭ জেলায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দ্বিতীয় দফায় যে জেলা গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলোঃ জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পঞ্চগড় ও বাগেরহাট।
১৭ জেলায় মোট পরীক্ষার্থীঃ ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৫ জন পরীক্ষার্থী ২য় দফায় অংশ নেয়।
১ম দফায় যে জেলা গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলোঃ প্রথম দফায় গত ২৭ জুন নড়াইল, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফেনী জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবেশপত্র ডাউনলোডঃ ৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখ থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। শুধুমাত্র যারা ৩য় দফায় পরীক্ষা দেবেন তারা এই সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ করে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য www.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটের পাশাপাশি লেখাপড়াবিডি.কম এও পাওয়া যাবে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, যার আওতায় প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
আদালতের রায়ে স্থগিত থাকা আরেকটি বিজ্ঞপ্তির আওতায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিষয়ে রিভিউ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা।
প্রাক-প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় এ বিজ্ঞপ্তির আলোকে অস্থায়ীভাবে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
Leave a Reply