আগামী বছরেই আসছে ডিজিটাল টেক্সটবুক

Advertisements

আগামী বছরেই প্রচলিত পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল টেক্সটবুক চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা অন্যান্য ক্লাসের জন্যও করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

০৩ মে রোববার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমির (নায়েম) সভাকক্ষে টিকিউআই প্রকল্প আয়োজিত দু’দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, টিকিউআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বনমালী ভৌমিক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র পাল, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক হামিদুল হক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।Digital Book

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন, বোধগম্যতা ও আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি, সহজলভ্যতা সৃষ্টিতে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই। চলমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনেকখানি বৃদ্ধি হয়েছে এবং আরো হচ্ছে।’

শিক্ষা প্রতিনিয়ত অগ্রসরমান বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম যুগোপযোগী করেছি। এভাবে চলবে না। নিত্য-নতুন পরিবর্তনের বিষয়াদি শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। বইকে আরো রঙিন ও আকর্ষণীয় করতে হবে। আমরা প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সব ক্লাসে ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল বই চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের অভিজ্ঞ তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় আমাদের টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দিয়ে ডিজিটাল বই করা হচ্ছে। প্রতিটি বইয়ের কঠিন শব্দ, বাক্য, বিষয় ইত্যাদি সহজভাবে বোঝানোর জন্য শব্দার্থ, ব্যাখ্যা, এনিমেশন, রঙিন ছবি, প্রয়োজনীয় ভিডিওযুক্ত করাসহ নানাভাবে তুলে ধরা হবে।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির সব বইয়ের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল বই তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো নিজেরা আরো সহজভাবে বুঝতে পারবে, আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অধিকতর জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।’ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক সহজ, আকর্ষণীয় ও
বোধগম্য হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Comment