পিএইচডি ডিগ্রির বৈধতা নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই সঙ্গে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণের মাধ্যমেও নেয়া কোন ডিগ্রির বৈধতা নেই। এমনটি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৫ এপ্রিল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশ্ব:) ফাতেমা জাহান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়।
অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও পর্যন্ত পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমোদন দেয়নি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলা বা কোনো দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’
আরও বলা হয়েছে ‘কোনো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে বা কোনো দেশীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এ পর্যন্ত যারা এ ধরনের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন এর কোনো আইনগত বৈধতা নেই। ’তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি নিচে তুলে দেওয়া হলোঃ
উল্লেখ্য, পিএইচডি সনদ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ১১ নভেম্বর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি এ এন এম মেসকাত উদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়। এটি সারা দেশব্যাপি আলোচনায় স্থান পায়।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, দেশে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক বিশেষ সুবিধা নিতে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন।
ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) একটি উচ্চ স্তরের শিক্ষাগত ডিগ্রি। বিজ্ঞান ও কলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য স্নাতক উত্তীর্ণ গবেষককে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে সাধারণত একজন গবেষককে গবেষণার বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো প্রফেসরের অধীনে গবেষণা চালাতে হয়। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর পদ পেতে হলে অবশ্যই এই ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। দেশে সাধারণত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে থাকে।
এক শ্রেণীর স্বার্থানেষী মহল এধরনের অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বিরেদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
Leave a Reply