জ্বর কি? হাঁচি, কাশি সর্দি কি ? মৌসুমি এবং ইনফ্লোয়েঞ্জা জ্বর কি ? এবং জ্বর নিয়ে কিছু ভুল ধারনা ইত্যাদি

জ্বর বা পাইরোজেন কি ? বা

কিভাবে ইহা বাড়ে ? ( বিজ্ঞান
অনুসারে )
জ্বর হল দেহের তাপমাত্রা
স্বাভাবিকের চেয়ে বেরে যাওয়া
অর্থাৎ দেহে পাইরোযেন বেশি
বেড়ে যাওয়া । এখন প্রশ্ন আসবে
পাইরোজেন কি ?- পাইরোজেন হল
একটা তাপজীবাণুঘটিত এক ধরণের বিষ
এবং ঠিক যখনি এই বিষ শরীরের যে
সকল অংশ ঠিক মত তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে বিকল করে দেয় । ( যার
বাহক হল ভাইরাস , ব্যক্টোরিয়া
ইত্যাদি ) ঠিক তখনি আমাদের শরীরে
জ্বর দেখা দেয় ( মেডিক্যাল সাইন্স
অনুসারে সে জন্য তাপ কে
পাইরেকশিয়া বলা হয় )
মুলত পাইরোজেন আমাদের শরীর কে
বাহিরের জিবানুর আক্রমণ থেকে
প্রতিরোধ করে রাখতে চায় এবং সে
জন্য রক্তের মাধ্যমে শরীরের হরমোন,
এনজাইম ও রক্তকণিকাদের ( শ্বেত
কণিকা ) খুব দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটিয়ে
জিবানু সমূহ কে মারতে থাকে ঠিক
তখনি আমরা তাপ অনুভব করি এবং তখন
মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস
অঞ্চলের ভেসোমোটরে সংকেত
পাঠিয়ে দেহের সব রোমকূপ বন্ধ করে
দেওয়ার চেস্টা করে বা মনে করতে
পারেন কোন জীবানূ ঢুকতে না পারে
এবং আমাদের রক্তনালীগুলোকেও
সংকুচিত করে দেয়, যেন পাইরোজেন
সহজেই জীবাণুদের ধরে ধরে মারতে
পারে। তখন রক্তনালী সংকুচিত হলে
রক্ত প্রবাহের গতি যায় বেড়ে, বা
অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয়।
মনে রাখবেন একজন সুস্থ মানুষের
শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রী
ফারেনহাইট হতে ৯৯ ডিগ্রী
ফারেনহাইট পর্যন্ত থাকে এবং এর
উপরে গেলেই আমরা তাকে
পাইরেকশিয়া বা জ্বর বলে থাকি
প্রাথমিক ভাবে জ্বর হওয়ার কারন কি
হতে পারে ?
যে কোন প্রকারের ভাইরাসে
আক্রান্ত হলে — ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা
আক্রান্ত হলে–শরীরে কোন প্রকার
ইনফেকশান দেখা দিলে ( বুকের
ইনেফেকশনের কারণে বেশি হয়ে
থাকে ) – কোন প্রকার পরজীবীর
সংক্রামণ দ্বারা আক্রান্ত হলে —
শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম
প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমে গেলে জ্বর
হতে দেখা যায়
কি ধরণের ভাইরাস দ্বারা সাধারণ
জ্বর হয়ে থাকে ?
সাধারণত ২০০ ধরনের ভাইরাস দিয়ে এ
সর্দি কাশি হতে পারে। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল রাইনো ভাইরাস
(৩০-৮০ শতাংশ), করোনা ভাইরাস
(১০-১৫ শতাংশ) এবং কিছু কিছু
ক্ষেত্রে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা
ভাইরাস ( ২০-২৫ শতাংশ ) ,
রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল
ভাইরাস, এডেনো ভাইরাস, এন্টারো
ভাইরাস, মেটা নিউমোনিয়া
ভাইরাস ও কোরোনা ভাইরাস বিশেষ
ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋতু
পরিবর্তনজনিত কারনেই হয়ে থাকে –
প্রথমে সাধারণ সর্দি কাশি জ্বর হলে
ও খুভি দ্রুত তা ইনফ্লোয়েঞ্জা
ভাইরাস আক্রমণ করে ফ্লো জ্বরে
পরিণত করে – ( এর ও কয়েকটি ভাগ
রয়েছে যেমন বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু
ইত্যাদি )
রাইনো ভাইরাস জনিত জ্বর ( ভাইরাস
টি আক্রমণের সাথে সাথেই শরীরে
কাপুনি দিয়ে শীত আসে এবং মুলত
ঠাণ্ডা জ্বর শীত মৌসুমেই বেশি হয়ে
থাকে যার মুল কারন রাইনো ভাইরাস
( ৬০% ) , তবে গরম মৌসুমে ও ঠাণ্ডা জ্বর
হয় তবে তা খুভ কম ( ২০% ) মত ।
• অ্যাডোনো ভাইরাস ঃ অ্যাডোনো
ভাইরাস আক্রমণ করে ধীরে ধীরে
এবং জ্বরের সাথে অ্যাডোনো টাইপ
-১০, -শ্বাসনালি ও নরম
মাংসপেশিকে আক্রমণ করে অন্য
দিকে অ্যাডোনো ভাইরাস টাইপ
-৪০/৪১, পাকস্থলিতে আক্রমণ করে
বিধায় গেস্ট্রইন্টেস্টেনাইল জাতীয়
অসুখ বা ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ
বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে জ্বরের সকল
বিদ্যমান থাকে ।
কী কারণে গরমের সময় সর্দি জ্বর হয় ?
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে মানুষের
শক্তির অপচয় হয় অনেক। এই গরমে শিশু-
কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই
প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো
স্বাস্থ্য-সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া
স্বাভাবিক । সর্দি-জ্বর মানব দেহের
ঊর্ধ্ব-শ্বাসনালীর ভাইরাসজনিত এক
ধরনের সংক্রমণ। গরমের সময়
ইনফ্লুয়েনজা-এ, ইনফ্লয়েনজা সি ,
এডেনোভাইরাস , রাইনো – প্রভৃতি
দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে।
ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি
মাত্রায় দেখা যায়। একটানা বৃষ্টি,
স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, অতিরিক্ত গরম
বা ঠাণ্ডা সেই সাথে গাছ পালার
ঝরা ফুলের রেনু, ধলা বালি, ও দূষিত
অন্যান্য বায়বীয় পদার্থ ইত্যাদি
হালকা ঘুড়ি বৃষ্টির বাতাসের সাথে
মানুষের শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে
ও এলারজি জাতীয় সর্দি কাঁসির
উৎপত্তি করে একটু বেশি । এই সময়
পরিবার বা আশে পাশের একজন
আক্রান্ত হলে ধিরে ধীরে অন্যান্য
সবাই আক্রান্ত হবেন উক্ত ব্যাক্তির
হাঁচি-কাশির মাধ্যমে- যার কারণে
মন রাখবেন ইহা ও একটি ছোঁয়াচে
ভাইরাস জাতীয় অসুখ ।
– তবে যাদের শরীরের প্রতিরোধ
শক্তি কম তারা খুভ তাড়া তাড়ি
আক্রান্ত হবেন ( এদের বেলায় বৃদ্ধ বা
শিশুর চাইতে ও বেশি আক্রান্ত হতে
দেখা যায় , সেই হিসাবে যদি একজন
মানুষ কে দেখতে সভাবিক মনে হওয়ার
পর ও যদি সে বছরে ৪ বারের উপর
বেশি সময় সর্দি জাতীয় জ্বরে
আক্রান্ত হয় , তা হলে একেবারে
নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন তিনির
অন্য কোন ধরণের মারাত্মক প্রদাহ
জাতীয় সমস্যা আছেই অথবা দেহের
প্রতিরোধ শক্তি একেবারে কম ,
( এলারজি জাতীয় অসুখ এর আওতায়
পড়বেনা )
ঋতু পরিবর্তনে সাধারণ সর্দি-কাশি
জাতীয় জ্বরের লক্ষণ ঃ
এ সময় অনেকের বেলায় সামান্য সর্দি
কাশি হওয়ার পর অল্প জ্বর এসে আবার
ভাল হয়ে যান ৬৫% + ২০% বেলায় পুন
আক্রমণ করে । অন্যদিকে পুনাক্রমন
যাদের কে করে তাদের বেলায় ৭০%
রোগি ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয়
ভাইরসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন । সর্দি-
কাশি একটি ভাইরাসজনিত প্রদাহ
সৃষ্টিকারী রোগ, যা আমাদের
শ্বসনতন্ত্রে বিশেষত গলায়, নাকে
এবং সাইনাসে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
ভাইরাস ইনফেকশন হওয়ার পর ১৬ ঘণ্টা
থেকে শুরু করে ২-৪ দিনের মধ্যে
সাধারণত যে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ
পায়। ( ৫/৭ দিন থাকতে পারে বা
অনেক সময় ৪৮ ঘন্টার ভিতর ভাল হয়ে
যান ৫০% )
হঠাৎ করে নাকে ও গলায় সুড়সুড়ি
লাগে, জ্বালা করে৷ – হাঁচি আসা -,
নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা , নাক বন্ধ
হয়ে যাওয়া – গা ম্যাজ ম্যাজ ও ব্যথা
করে, গলা ব্যথা করা ও ঢোঁক গিলতে
কষ্ট হওয়া , মাথা ঘোরা, মাথা
ব্যাথা হওয়া বা মাথা ভার ভার
লাগে, অবসাদগ্রস্ততা মনে হওয়া এবং
তখন সামান্য জ্বর আসবেই অথবা জ্বর জ্বর
অনুভূতি আসতে পারে ( ৬০% বেলায়
১২/২৪ ঘন্টার ভিতর সেরে ও যায় ) । ৪০%
বেলায় পূর্ণ জ্বর চলে আসে – ( তখন
ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জিবানু আক্রমণ
করলে সাইনাসের ব্যথা, কানব্যথা,
ফুসফুসের প্রদাহ হতে পারে ) । অনেকের
এভাবে ঘন ঘন জ্বর ওঠানামা করতে
করতে ৪০% বেলায় অসুখ টি
ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বরে চলে
যেতে পারে বলে মনে করতে পারেন

ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বর ঃ-
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ধরন তিনটি –
সেগুলো হল টাইপ এ, বি ও সি (A, B, C)।
টাইপ এ পাওয়া যায় পাখি, শূকর,
ঘোড়া এবং সীলের মধ্যে যা খুভি
ভয়ঙ্কর (সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড
ফ্লো ইত্যাদি ) তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি
ভাইরাস মাঝে মাঝে কিছু
মহামারীর জন্য দায়ী হলেও
ইনফ্লুয়েঞ্জা সি ভাইরাস তেমন
ক্ষতিকর নয়। এ এবং বি ইনফ্লোয়েঞ্জা
ভাইরাস বেশির ভাগ শীতের সময়
মহামারীর আকার ধারন করতে দেখা
যায় এবং সি মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস
জনিত অসুখে যোগ হয়ে কিছুটা ক্ষতি
করে থাকে ।
ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষন ঃ
ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলোকে দুটি
ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমে উপসর্গ
হিসাবে – ঠাণ্ডায় কাঁপুনি এবং ১০৩
ডিগ্রির উপর জ্বর – দুর্বলতা এবং
ক্লান্তি বা অবসাদ – মাথা ব্যথা
এবং চোখে ব্যথা – গলা ফুলে ওঠা –
শুষ্ক কাশি – পেশিতে ব্যথা অস্থির
লাগা সহ এগুলো শুরু হয় এবং এভাবে
প্রায় ৩ দিন ধরে জ্বর থাকে,
শ্বসননালীর সমস্যাগুলো প্রায় সপ্তাহ
ব্যাপি থাকে। ব্যক্তি ভেদে ১ থেকে
৩ সপ্তাহ ধরে দুর্বল লাগতে পারে।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি জ্বর ও
বমি থাকতে পারে। কিছু কিছু শিশুর
কানে ব্যাথ্যা ও পরে প্রদাহ হতে
পারে ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ( ৫/৭ দিনের
ভিতর ) ঃ- ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে
নিউমোনিয়া (Pneumonia) হওয়ার
সম্বাভনা ৭০% । বিশেষ করে যারা
শ্বাস প্রশ্বাস জনিত অন্য রোগে
ভুগতেছেন সে সময় অনেক ক্ষেত্রেই
ভাইরাল নিউমোনিয়ার (Viral Pneumonia)
সাথে ব্যাক্টেরিয়াল নিউমোনিয়া
(Bacterial Pneumonia) যোগ হয়ে মারাত্মক
সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে । হাঁপানি
ও শ্বাস কস্টের অন্যান্য যে কোন আসুখ
থাকলে তা ও বেড়ে যাবে ।
( হার্টের অসুখ জনিত রোগী ও শিশুদের
একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ, কেননা
৩% বেলায় ব্রেইনে স্ট্রোক হওয়ার
সম্বাভনা আছেই )
একটা বিষয় সামান্য মনে রাখলে ভাল
হবে – ঠাণ্ডা জ্বর ( কোল্ড ফিভার,
রাইনো ভাইরাস ) এবং সর্দি জ্বর
( ইনফ্লোয়েঞ্জা ) দুটি দুই ধরণের
ভাইরাসে আক্রান্ত করলে ও অনেক সময়
দুটি একত্রীত হয়ে একই ধরণের লক্ষণ
প্রকাশ পায় । তারপর ও ঠাণ্ডা জ্বর
ধীরে ধীরে আক্রমণ করে ( রাইনো
ভাইরাসের নিয়ম অনুসারে ) এবং
ইনফ্লোয়েঞ্জা জ্বর হঠাত করেই চলে
আসে এবং এলারজি জনিত সর্দি জ্বর
নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়তেই
থাকে ও হালকা জ্বর থাকতে পারে
যা সকাল বিকালে কমবেশি বৃদ্ধির
প্রবণতা দেখা যায় আবহাওয়ার
তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে ।
মৌসুমি জ্বরের ভাইরাস কতদিন
মানবদেহে থাকতে পারে ? ঃ
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ঐ জাতীয় ভাইরাস
মানুষের শরীরে প্রবেশের পর
থেকে সাতদিন থাকে । সাতদিন
পরে ফ্লুর ভাইরাস মানবদেহে আর
থাকে না। কারণ এ সময় মানুষের
দেহে ভাইরাসের বিপক্ষে
এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায় । এ ছাড়া
এন্টি ভাইরাসের ফর্মুলা অনুসারে
ইহা একবার আক্রান্ত হলে একই
প্রজাতির ভাইরাস দ্বারা মানুষ আর
দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়

প্রশ্ন আসতে পারে , সর্দি জ্বরের
আক্রমণের ৭ দিন পর ও জ্বর থাকে কেন ?
তখন ৬০% বেলায় বেক্টোরিয়া
জাতীয় আক্রমণে শরীরে জ্বর থাকে
ইহা অনেকটা নিশ্চিত হতে পারেন
সে জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষে
ভাল এক কোর্স এন্টিবায়োটিক সেবন
করা আপনার জন্য অত্তান্ত ভাল ( যদি ও
সে সময় ৭০% বেলায় ফুসফুস , শ্বাস নালী,
টন্সিলাইটিসের লক্ষণ দেখা দিয়ে
থাকে )
ভাইরাল জ্বর ও ব্যাক্টোরিয়া জ্বরের
সামান্য পার্থক্য ও আছে ঃ
( যদি ও দুটোর মধ্যে পার্থক্য খুবই কম ) –
ভাইরাল জ্বরে গলা ফুলে লাল হয়ে
টনসিলে ব্যাথা ও হতে পারে কিন্তু
টনসিল যদি টনসিল সাদা বর্ণের মত
দেখায় তা হলে ইহা ব্যাক্টোরিয়া
জাতীয় জ্বর নিশ্চিত । অথবা ভাইরাল
জাতীয় জিবানুর কারণে শরীরে কোন
প্রদাহ হলে এক সাথে হবে কিন্তু
ব্যাক্টোরিয়া জাতীয় প্রদাহ হলে
সারা শরীরে এক সাথে দেখা
দিবেনা (যেমন , শিশুদের বেলায় ,
চিকেন ফক্স ইত্যাদি ) ভাইরাল জরের
প্রদাহে কোন ব্যাথা থাকেনা তবে
এলারজি জনিত চুলকানি থাকে ।
ভাইরাল জাতীয় জ্বরের বেলায় কফ
পাতলা এবং দেখতে একটু সাদা ও
পরিষ্কার বা হলুদ বর্ণের দেখাবে
কিন্তু ব্যাক্টোরিয়া আক্রমনে সেই কফ
সবুজ বা লাল্টে সবুজ দেখাবে । জ্বরের
যে পার্থক্য দেখা যায় , ভাইরাল
জাতীয় জ্বরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর ২
দিনের উপর থাকেনা
( পাইরোজেনের কারণে ৪৮ ঘন্টার
ভিতর ভাইরাস ধংশ হয়ে যায় ) কিন্তু এর
চেয়ে বেশি সময় থাকলে ইহাকে
ব্যাক্টোরিয়াল জ্বর সন্দেহ করা হয় ।
( ১০০ ডিগ্রি জ্বর ভাইরাল হিসাবে ৫
দিন পর্যন্ত থাকতে পারে ) ।
মনে প্রশ্ন আসবেই কাঁসি বা কফ কি ?
হাঁচি কি ?
সাধারণত একাধিক ভাইরাস দ্বারা
আক্রান্ত হওয়ার কারণে সর্দি-কাশি
বা কফ তৈরি হয়। যা মানুষের দেহে
দুটি ফুসফুসের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য বড়-
ছোট শ্বাসনালী ও ফুস্ফসের ভিতর
কয়েক লক্ষ ইয়ার ভিলাই বা বাতাস
জমা হওয়ার থলি সেখানে ভাইরাস
ব্যাক্টোরিয়া, ধুলা বালি আক্রমের
ফলে মিউকাস এসে তা বাহির করে
দেয় এবং ইহাই কফ।
যেমন আরেক টু পরিষ্কার ভাবে যদি
বলি ঃ- শ্বাষ নালীতে নিশ্বাষের
মধ্য দিয়ে বাইরের ধুলা বালি
আবর্জনা, জীবানূ ( ভাইয়াস,
ব্যাক্টোরিয়া ) ইত্যাদি ঢুকে পড়লে
শ্বাষ নালী ও গুরুত্ব পূর্ণ শ্বাষ যন্ত্র ফুসফুস
থেকে তা বাহির করার জন্য সেখান
থেকে শ্লেষ্মা জাতীয় মিউকাসের
মাধ্যমে তা বাহির করার চেস্টা করে
, মুলত ইহাই সর্দি বা কাস ( মিউকাস ঃ-
মিউকাস মেম্ব্রেইন হতে নিঃসরিত
এক ধরণের পিচ্ছিল তরল বা আধা তরল
পদার্থ। ইহা পাক প্রণালীতে খাদ্য
দ্রব্যের সংগে মিশ্রিত হয়ে খাদ্র
দ্রব্যকে পিচ্ছিল ও তরল ও সহজ পাচ্য
করে ) যদিও কাশি বা সর্দি প্রাথমিক
ভাবে ইহা কোন অসুখ নয় কিন্তু যদি
কোন কারণে কাফ বসে যায় বা আসতে
চায়না তখন কফ বাহির করার ঔষধ অবশ্যই
সেবন করা উচিৎ ( সাল-বিউটামল বা ঐ
জাতীয় ভেষজ ( তুলশি, বাশক পাতা )
যে কোন কফ বাহির কারক ঔষধ ।
হাঁচি কি? বা কেন আসে ? ঃ –
আমাদের নাকের স্নায়ুকেন্দ্রগুলো
অতি সুক্ষ । শরীরের পক্ষে কোন
ক্ষতিকারক পদার্থ নাকের মধ্য দিয়ে
শরীরে ঢোকার চেষ্টা করলেই স্নায়ু
কেন্দ্রে তা বাধাপ্রাপ্ত হয় । এর ফলেই
হাচি হতে থাকে । ( হাঁচির
স্টিমুলেশন বহন করে ট্রাইজেমিনাল
নার্ভ। ব্রেইনের ভেতর তা অপটিক বা
চোখের নার্ভের কাছাকাছি
থাকে ) সে জন্য নাকের ভেতর
ধুলাবালি ,ফুলের রেনু,ডাস্ট ইত্যাদি
সহ ভাইরাস বা ব্যাক্টোরিয়া
ইত্যাদি ঢুকলে কাশি সর্দির
( মিউকাস ) সাথে বাহির করার জন্য
স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হয়ে উঠে । তখন
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের স্নায়ুগুলো
সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং হাঁচি আসে ,
এলারজি জনিত কারণে হলে অনবরত
হাঁচি আসবেই ( সেই সাথে নাক, কান,
গলা চুলকাতে পারে বা চোখ দিয়ে
পানি পড়তে থাকে )
চিকিৎসা ঃ –
সর্দি-কাশির কোনো নির্দিষ্ট
চিকিৎসা নেই, শুধু লক্ষণগুলোর
চিকিৎসা করা ছাড়া। এজন্য
প্রতিরোধই সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত
থাকার প্রধানতম উপায়।
প্রথমেই জ্বর কমানোর ব্যবস্থা
হিসেবে যথাযথ মাত্রায়
প্যারাসিটামল জাতীয় বা
তাপমাত্রা নামিয়ে দেয় এমন ধরণের
ওষুধ সেবন করতে পারেন এবং সর্দি
কাশি যাতে নাক বা গলা বা ফুসফুসে
জমে না থাকে সে জন্য উষ্ণতা ও
পাতলা করার জন্য গরম ভাস্প পানির
শ্বাস নিতে পারেন সাথে মেন্থাল
মিশ্রিত করে দিলে আর ভাল অথবা
নাকের ড্রপ ব্যাবহার করতে পারে ( ৩
দিনের উপর নাকের ড্রপ ব্যাবাহার
উচিৎ নয় ), সেই সাথে এলারজি জনিত
মনে করলে এন্টি হিস্টামিন গ্রোফের
ঔষধ বা সিরাপ ব্যাবহার করতে পারেন
(সেট্রিজিন, লোরাটিডিন জাতীয়
ওষুধ একক মাত্রায় খেয়ে দেখতে
পারেন – অনেকের এন্টিহিস্টামিন
শরীরে তন্দ্রা ভাব আনে বিধায়
চিকিৎসকের পরামর্ষে তন্দ্রাবিহিন
এন্টিহিস্টামিন সেবন করতে পারেন )
কফ বাহির কারি সালবিউটামল
জাতীয় গ্রোফের ঔষধ সেবন করতে
পারেন ( ২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য
এবং হার্টের অসুখ জনিত ব্যাক্তিদের
বেলায় চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া
ব্যাবহার করবেন না ) ।
সে সময় সাময়িক সাহায্য কারি
হিসাবে মেন্থাল গরম চা অথবা গরম
জলে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি
করে পান করলে সাময়িক একটু শরীরের
চাঞ্ছলতা বৃদ্ধি পেতে পারে । অথবা
ভেষজ চিকিৎসা হিসাবে ১ চা চামচ
জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক
গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে
সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা
চামচ করে খেলে কিছুটা ফল পাওয়া
যেতে পারে । পাশা পাশি
খাবারের সাথে হালকা পাতলা জুল
স্পাইসি খাবার খেলে অনেক টা ভাল
ফল পাওয়া যায় ।
যদি ও কোনরকম জটিলতা ছাড়াই পাঁচ
থেকে সাতদিনের মধ্যে অসুখ টি
এমনিতেই সেরে যায় । কিন্তু অনেক
ক্ষেত্রে ( ৪৩% ) ইনফ্লোয়েঞ্জা
ভাইরাসের আক্রমণে জটিল হয়ে
যেতে পারে বিধায় গলা ব্যথা,
কাশি, শ্বাসকষ্ট , মুখ ফুলা ,
নিউমোনিয়া বা আর অন্যান্য যে
কোন উপসর্গ দেখা দিলে সাথে
সাথে চিকিৎসকের পরামর্ষে
এন্টোবায়োটিক সেবন করার চেস্টা
করবেন । কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন
জ্বর হওয়ার সাথে সাথেই যারা
এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করেন তা
সম্পূর্ণ ভুল বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা নস্ট করে দেয় ।
সর্বশেষ তথ্য ঃ
অবশ্য বর্তমানে এন্টিভাইরাল
হিসাবে বহুল আলোচিত বেশ কিছু
ঔষধ বাহির হয়েছে যা এফ ডি এ কৃতক
অনুমুদিত Oseltamivir / Zanamavir (Relenza)
Amantadine (Symmetrel ) / গ্রুফের ঔষধ
ব্যাবহার করা হয় ক্যাপসুল বা সিরাপ
আকারে – যা ইনফ্লুয়েঞ্জা
প্রতিরোধক হিসাবে ভাল সুনাম
আছে বা যারা বারে বারে
ইনফ্লোয়েঞ্জার শিকার হন তাদের
জন্য বাজারে ভ্যাক্সিন ও বাহির
হয়েছে তা প্রয়োগ করে প্রতিরোধ
করতে পারেন । বা সদ্য এফ ডি কৃতক
অনুমোদিত ইনফ্লোয়েঞ্জা trivalent
vaccine বা নাকের ড্রপ ব্যাবহার
করলে পরবর্তী ১০ মাস পর থেকে আর
ইনফ্লোয়েঞ্জা জাতীয় জ্বরে
আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা নাই ।
( বিস্থারিত নিচে ইংরেজি
ভার্শনে দেওয়া আছে ) এবং
চিকিৎসার জন্য আপনার
চিকিৎসকের সাথে যোগা যোগ
করুন ।
হারবাল হিসাবে আপনি নিম্নের
ঔষধ ব্যাবহার করে দেখতে পারেন ,
যা সম্প্রতি গবেষণায় বিশেষ
ভুমিকা রাখছে Andrographis
(Andrographic paniculata) ( গর্ভবতী ও দুধ
দাতা মায়েদের জন্য নিশেধ ) –
অথবা Echinacea (Echinacea purpurea, 300 mg
3 times per day) ( টান্ডা জ্বরের জন্য
ভাল একটা প্রতিষেধক )
ঘরোয়া সাময়িক সেবা সুস্রদ্ধার
মধ্যে ঃ-
প্রথমেই চেস্টা করবেন একটু বিশ্রামে
থাকার এবং যদি অতিরিক্ত জ্বর
থাকলে সাধারণ তাপমাত্রার
পানিতে ভেজানো তোয়ালে
দিয়ে সারা শরীর মুছে দেওয়া অর্থাৎ
স্পঞ্জিং করা উচিত। জ্বর ১০০ ডিগ্রি
ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত
এই স্পঞ্জিং চালিয়ে যআবেন । সে
সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন
অতিরিক্ত জ্বরে প্রচুর ঘাম হওয়ার ফলে
শরীরে অচেতনতা প্রতিরোধ করে
রাখতে প্রচুর পানি পান করার সাথে
খাওয়ার সেলাইন বা লবন যোক্ত পানি
অথবা ফ্রেশ ফলের রস খাওয়া দরকার ।
( লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা বা
আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া বেশ
ভাল ) তবে ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার
(আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড
ড্রিঙ্কস) পরিহার করতে হবে। এবং
চেস্টা করবেন আপনার ব্যাবহারিক
রুমাল টাওাল বা হাঁচির স্পর্শে অন্য
কেউ যাতে সরাসরি না আসেন কারন
ইহা ছোঁয়াচে ( শিশুদের বেলায় অবশ্যই
দূরে থাকার চেস্টা করবেন ) অসুখ ভাল
হওয়ার পর ও কয়েক সপ্তাহ পুষ্টিকর
খাবার খেয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে
পরবর্তী ভাইরাস জ্বরের আক্রমণ অনেক
দেরিতে আক্রান্ত হবেন ইহা নিশ্চিত

ধন্যবাদ
জ্বর নিয়ে কিছু ভুল শিখা বা ধারনা
( সংগৃহীত )
এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে কিছু কিছু ভূল
ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ জ্বর হলেই
রোগীর গায়ে কাঁথা, কম্বল, লেপ
ইত্যাদি চাপিয়ে দেন। অনেকেই মনে
করেন এতে করে রোগী ঘাম দিয়ে
জ্বর ছেড়ে যাবে। ঠান্ডা হাওয়া
আসার কারণে ঘরের দরজা-জানালও
বন্ধ করে রাখেন। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর
কোনোটাই জ্বর কমানোর পদ্ধতি নয়
অথবা জ্বর কমাতে সাহায্য করেনা।
জ্বর হলে এমনিতেই শরীরের
তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন যদি
আবার শরীরে মোটাকাপড়, কম্বল
জড়ানো হয় তবে শরীরের তাপমাত্রা
আরও বেড়ে যাবে। তাই গায়ে প্রচুর
কাপড় পরে বা লেপ-কম্বল ব্যবহার না
করে বরং পাতলা ও ঢিলাঢালা
কাপড় পরাই উচিত। শরীরের কাপড়-
চোপড় যতটুকু খোলা সম্ভব খুলে দিতে
হবে। ঘরের জানালা বন্ধ না করে
দিয়ে বরং আলো বাতাস
যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিতে
হবে। সেই সঙ্গে ফ্যান থাকলে সেটিও
মধ্যগতিতে চালিয়ে দিতে হবে।
এমনকি কম মাত্রায় এয়ার কন্ডিশনার
চালানো যেতে পারে।
জ্বর হলে গায়ে তেল মালিশ করাও
ঠিক নয়। এতে করে শরীরের
লোমকুপগুলোতে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে
যায় এবং শরীরের বাড়তি তাপ বের
হতে পারেনা। জ্বর হলে আমাদের
উচিত জ্বরের ধরণাটা লক্ষ করা, তা কখন
আসে, কতক্ষণ থাকে, তাপমাত্রা কত
পর্যন্ত উঠে, কিভাবে কমে এসব লক্ষ
করা ও লিখে রাখা জরুরি। সেই
সাথে ঘাম হচ্ছে কিনা, কাপুনি দেয়
কিনা তাও লক্ষ করা উচিত। এতে
চিকিত্সকের জন্য রোগ নির্ণয় করা সহজ
হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা ঘরে
বসেই আরও যা করতে পারি তা হল
পানি দিয়ে শরীর মোছা বা স্পঞ্জ
করা। একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা
গামছা পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে
নিতে হবে। এরপর তা দিয়ে সারা
শরীর বারবার মুছে দিতে হবে।
প্রয়োজনে মাথায় পানি ঢেলে
দেয়া যায়। এভাবে কয়েকবার করলে
শরীরের তাপমাত্রা কমে আসবে। মনে
রাখতে হবে, এটাই হচ্ছে এ সময়ের
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। শরীরের
তাপমাত্রা কমোনোর পদ্ধতি।
অনেকেই শরীর স্পঞ্জ বা মুছে দেয়ার
সময় ঢান্ডা পানি বা বরফ মিশ্রিত
পানি ব্যবহার করেন। তা কোন ক্রমেই
উচিত নয়। এমনকি এক সময় হাসপাতালে
আইসব্যাগ ব্যবহার করে জ্বর কমানো
হতো, তা একেবারেই অনুচিত। বরফ
শীতল পানি দেয়ার কোন দরকার নেই।
স্বাভাবিক পানি বা ট্যাপ ওয়াটার
বলেই চলবে।
এক সময় মনে করা হত যে জ্বর হলে ভাত
খাওয়া যাবে না। এই ধারনা
একেবারেই ঠিক নয়। জ্বরে আক্রান্ত
ব্যক্তি ভাতসহ সকল স্বাভাবিক খাবার
খেতে পারবেন। সেই সাথে প্রচুর
পানি খেতে হবে যাতে প্রস্রাব
পরিষ্কার থাকে। অনেক সময় প্রচুর ঘাম
দিলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের
হয়ে যায়। এক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন
খেতে হবে। প্রয়োজনে
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া
যেতে পারে। অনেকের জ্বরে বমি
বমি ভাব থাকে বলে ওষুধ খেতে
পারেন, সেক্ষেত্রে পায়ুপথে
প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার
করা যেতে পারে। অন্য ব্যথার ওষুধ না
খাওয়াই উচিত। এন্টিবায়োটিক অবশ্যই
চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া
উচিত নয়।
অনেকের ধারনা জ্বর হলেই
এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। এটা
ঠিক নয়। কি কারণে জ্বর হয়েছে,
জ্বরের পেছনে কি ধরণের জীবানু
রয়েছে তার উপরেই নির্ভর করে
জ্বরের চিকিত্সা। ভাইরাস জনিত
জ্বরে এন্টিবায়োটিকের কোন
ভূমিকা নেই, তা এমনিতেই সেরে
যায়। শুধু লক্ষণ অনুযায়ী চিকিত্সা
দিলেই চলে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
জনিত কারণে জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে
যথাযথ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা
দরকার। এমনকি টাইফয়েড,
ম্যালেরিয়া বা যক্ষা হলে তার জন্য
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
আবার কোলাজেন ডিজিজ বা
লিম্ফোমার চিকিত্সা একেবারেই
অন্য রকম। তাই সকল চিকিত্সাই
চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী
নেয়া উচিত।
শিশুদের জ্বর হলে যে কোন বাবা-মা
আত্মীয়-স্বজন আরো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন।
সেটাই স্বাভাবিক। অনেক সময়
ডাক্তারের কাছে না গিয়ে
নিজেরাই এন্টিবায়োটিক শুরু করে
দেন। তাও অনুচিত। ঘরে বসেই উপরের
করণীয়গুলো নিজেরাই করবেন। আর দ্রুত
ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়াই
বাঞ্ছনীয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের
বেলায় জ্বরের সাথে খিচুনি উঠে।
এক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
অনুযায়ী চিকিত্সা নিতে হবে।
অ্যালার্জি জাতীয় বা সর্দি জ্বর –
বা হে ফিভার এবং কমন কোল্ড ফিবার
বা রাইনো ভাইরাস জাতীয় জ্বর –
( চলবে )
Influenza (Flu)
What is influenza (flu)?
Influenza (or flu) is a highly contagious viral
respiratory tract infection. About 5% to 20% get the
flu each year. Influenza usually comes on abruptly,
with fever, muscle aches, sore throat, and a
nonproductive cough.
Influenza can make people of any age ill. Although
most people are ill with the flu for only a few days,
some have a much more serious illness and may
need to be hospitalized. Influenza can also lead to
pneumonia and death.
Influenza viruses are divided into three types,
designated as A, B, and C:
Influenza types A and B cause epidemics of
respiratory illness that occur almost every winter
and often lead to increased rates for hospitalization
and death. Public health efforts to control the impact
of influenza focus on types A and B.
Influenza type C usually causes either a very mild
respiratory illness or no symptoms at all. It doesn’t
cause epidemics and doesn’t have the severe
public health impact that influenza types A and B do.
Influenza viruses continually change (mutate). This
helps the virus to evade a person’s immune
system. Because the virus changes, people can get
the flu no matter what their age. The process works
like this:
A person infected with an influenza virus develops
antibodies against that virus.
The virus changes.
The “older” antibodies no longer recognize the
“newer” virus.
The person becomes infected again.
The older antibodies can, however, give some
protection against getting the flu again. Currently,
three different influenza viruses circulate
worldwide: two type A viruses and one type B virus.
Vaccines given each year to protect against the flu
contain the influenza virus strain from each type
that is expected to cause the flu that year.
What are the facts about the flu?
Although each flu season is different, 5% to 20% of
the population will get the flu each year. Of those
who get the flu, between 3,000 and 49,000 will die
from it or from complications, with more than 90%
of deaths occurring in people over 65.
What causes influenza?
The influenza virus is generally passed from person
to person through the air – when an infected person
sneezes or coughs. But the virus can also live for a
short time on objects like doorknobs, pens, pencils,
keyboards, telephone receivers, and eating or
drinking utensils. So, you can also get the flu by
touching something that has been handled by
someone infected with the virus and then touching
your own mouth, nose, or eyes.
What are the symptoms of the flu?
The following are the most common symptoms of
the flu. But each person may experience symptoms
differently. Influenza is called a respiratory disease,
but the whole body seems to suffer when a person
is infected. People usually become acutely ill with
several, or all, of the following symptoms: High
fever–Headache–Runny or stuffy nose–Sneezing
at times-Cough, often becoming severe–Severe
aches and pains–Fatigue for several weeks–
ometimes a sore throat–Extreme exhaustion
Fever and body aches usually last for 3 to 5 days,
but cough and fatigue may last for 2 weeks or
more. Although nausea, vomiting, and diarrhea may
happen with the flu, these gastrointestinal
symptoms are rarely prominent. Stomach flu is an
incorrect term sometimes used to describe
gastrointestinal illnesses caused by other
microorganisms.
The symptoms of the flu may resemble other
medical conditions. Always consult your doctor for
a diagnosis.
What is the treatment for influenza?
Specific treatment for influenza will be determined
by your doctor based on:Your age, overall health,
and medical history-xtent and type of influenza, and
severity of symptoms–How long you’ve had
symptoms –
Your tolerance for specific medications, procedures,
or therapies-Expectations for the course of the
disease–
opinion or preference
The goal of treatment for influenza is to help prevent
or decrease the severity of symptoms. Treatment
may include:
Medications to relieve aches and fever. Aspirin
should not be given to children with fever without
first consulting a doctor. The drug of choice for
children is acetaminophen.
Medications for congestion and nasal discharge
Bed rest and increased intake of fluids
Antiviral medications. When started within the first 2
days of treatment, they can reduce how long you’ll
have the flu, but they can’t cure it. Some side
effects, such as nervousness, lightheadedness, or
nausea, may result from taking these medications.
People with asthma or chronic obstructive
pulmonary disease may not be able to take certain
of these medications. Viral resistance to these
drugs may vary. Some drugs may be ineffective if
current viral strains have developed resistance. All
of these medications must be prescribed by a
doctor.
How can the flu be prevented?
A new influenza vaccine is introduced each
September. Everyone who is at least 6 months old
should get a flu vaccine this season It is usually
recommended for specific groups of people (see
below), as well as for people who want to avoid
having the flu. In addition, antiviral medications are
approved for use in preventing the flu. All of these
medications are available by prescription, and a
doctor should be consulted before using any
medication to prevent the flu.
A nasal spray flu vaccine is currently approved to
prevent flu caused by influenza A and B viruses in
healthy children and adolescents ages 2 to 17, and
healthy adults ages 18 to 49. As with other live virus
vaccines, the nasal spray vaccine should not be
given for any reason to pregnant women or people
with immune suppression, including those with
immune deficiency diseases, such as AIDS or
cancer, or people who are being treated with
medications that cause immunosuppression. The
nasal spray vaccine also should not be given to
these groups of people:
Children younger than 2 years old
Any person with asthma
Children younger than 5 years who have wheezing
Adults ages 50 and older
Children and adolescents who are taking aspirin as
long-term treatment
Children and adults who have a chronic disorder of
the lung, heart, kidney, liver, nerves, blood, or
metabolism
Following these precautions may also be helpful:
When possible, avoid or limit contact with infected
people.
Frequent handwashing may reduce, but not
eliminate, the risk of infection.
A person who is coughing or sneezing should cover
his or her nose and mouth with a handkerchief to
limit spread of the virus.
How effective is the flu vaccine?
Vaccine effectiveness varies from year to year,
depending on the degree of similarity between the
influenza virus strains included in the vaccine and
the strain or strains that circulate during the
influenza season. The 2013–2014 traditional flu
vaccine (called trivalent vaccine) will protect you
against three different flu strains, two influenza A
viruses and an influenza B virus. Also, the seasonal
flu vaccine (called quadrivalent vaccine) that
protects against four strains of the flu virus will also
be available. The quadrivalent vaccine will protect
against two influenza A viruses and two influenza B
viruses. Vaccine strains must be chosen nine to 10
months before the influenza season, and
sometimes mutations occur in the circulating
strains of viruses between the time vaccine strains
are chosen and the next influenza season. These
mutations sometimes reduce the ability of the
vaccine-induced antibody to inhibit the newly
mutated virus, thereby reducing vaccine
effectiveness.
Vaccine effectiveness also varies from one person
to another, depending on factors such as age and
overall health.
What are the side effects of the flu vaccine?
The flu vaccine is safe. Vaccine safety is closely
watched by the CDC and the FDA, and hundreds of
millions of flu vaccines have been safely given
across the country for decades.
The flu vaccine can’t give you the flu. The most
common side effects from a flu shot are soreness
where the shot was given and maybe a low fever or
achiness. The nasal spray flu vaccine might cause
congestion, runny nose, sore throat, or cough. If you
do have them at all, these side effects are usually
mild and short-lived.
Who should immunize against the flu?
The flu causes complications that may develop into
a more serious disease or become dangerous to
some groups, such as older adults and those with
chronic medical conditions. For these reasons, the
CDC recommends that the following groups get a
vaccine each year. Always consult your doctor for
more information regarding who should receive the
flu vaccine:
People ages 50 and older. Vaccine effectiveness
may be lower for older adults, but it can
significantly reduce their chances of serious illness
or death from influenza.
Children and adolescents 6 months to 19 years old
Residents of nursing homes and any other chronic
care facilities that house people of any age who
have chronic medical conditions
Adults and children who have chronic disorders of
the lungs or heart, including children with asthma
Adults and children who have these medical
conditions:
Chronic metabolic diseases, such as diabetes
Kidney dysfunction- Immunosuppression
Hemoglobinopathies, such as sickle cell disease
Children and teenagers ages 6 months to 19 years
who take aspirin as long-term therapy
Women who will be pregnant during flu season
Health care providers
Employees of nursing homes and chronic care
facilities who have contact with patients or
residents
Providers of home care to people at high risk
Household members, including children, of people
high-risk groups
People of any age who wish to lower their chances
of influenza infection
Who should not be immunized against the flu?
People who are allergic to eggs may be told not to
get the vaccine
People who have had a severe reaction in the past
after getting the flu vaccination
People who are sick with a fever (these people
should get vaccinated after they have recovered)
Babies who are 6 months old or younger
People who have a history of Guillain-Barré
syndrome, a severe paralyzing illness, after getting
the flu vaccination
When should I get a flu shot ?
The CDC recommends getting the flu shot every
year, as soon as it becomes available in your
community. Flu season can begin as early as
October and most commonly peaks in the U.S. in
January or February, but flu seasons are
unpredictable. The flu shot takes 1 to 2 weeks to
become effective.
Although there are many new medications designed
to treat flu symptoms and even shorten the duration
of the illness, the flu vaccine still offers the best
protection against the flu.
If I get the flu shot, can I still get the flu?
Every year, the flu shot cocktail changes to combat
the current strains of influenza affecting the
population. The World Health Organization monitors
flu outbreaks worldwide and recommends
appropriate vaccine compositions to be used for the
next year. But sometimes a strain may appear that
was not included in the flu vaccine. People who
have had the flu shot tend to have milder symptoms
if they contract the flu.
Is traveling safe during the flu season?
Because the flu is a highly contagious infection
usually spread by droplets made by an infected
person who is coughing or sneezing, travelers are
very susceptible to getting the flu.
The CDC recommends that travelers have the flu
vaccine at least 2 weeks before planned travel to
allow time to develop immunity. Other antiviral
drugs are available to help prevent viral infections
and complications. Consult your doctor for more
information.
( Reference last update verssion 2011 and lateset
update 08/08/2014 – Virology research jhons
hopkins & Medical school uno of bristol )
Related





About এম.এম.জুবাইর রহমান 11 Articles
Govt.H.S.S.College মাগুরা এর POLITICAL SCIENCE এর ছাত্র। এম.এম .জুবাইর রহমান , মহম্মদপুর, মাগুরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*