যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করবেন তারা সবার আগেই যে বিষয় নিয়ে চিন্তা করে তা হল এই সাবজেক্টটা কেমন অই সাবজেক্টটা কেমন। এইটা করলে কেমন ডিমান্ড পাওয়া যায় অই সাবজেক্টে কেমন ডিমান্ড পাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি……
আসলে অনার্সে সাবজেক্টটা মুল না মূল হচ্ছে রেজাল্ট। অনার্সে ইসলামিক হিস্টোরি নিয়ে ও ব্যাংকে জব করা যায়। যদি ব্যাকগ্রাওন্ডে ভালো রেজাল্ট থাকে।
আমি অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকে কিছু বলবো না। আমি যেহেতু বোটানি ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট তাই আজকে বোটানি নিয়ে কিছু কথা লেখবো।
বোটানি মানে হচ্ছে উদ্ভিদ তাই বোটানির ছাত্ররা মূলত উদ্ভিদ নিয়েই কাজ করে। উদ্ভিদ নিয়ে স্টাডি করা আর উদ্ভিদের উপর গবেষনা করা একই কথা। তাই সাবজেক্টটা খুবই মজার। বোটানি সাবজেক্টটা মূলত অন্যান্য সাবজেক্ট থেকে সহজ হওয়ায় এটাতে পাশ এবং সহজেই ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট করা যায়।
অনেকেই প্রশ্ন করে ভাই বোটানি নিয়ে পড়ে কি কি জব করা যায়? তাদের বলি আসলে অনার্সে সাবজেক্ট কোনো ফ্যাক্ট না যে কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়েই নিজেকে গড়ে তোলা যায় ভালো রেজাল্টের মাধ্যমে।
তারপরও অন্যন্য সাবজেক্টের মত এরও কিছু ব্যতিক্রমী জব সেক্টর আছে। আমি পূর্বেই বলেছি বোটানির জব মুলত গবেষনামুলক কাজ। তাই বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি ল্যাবে এর অনেক চাহিদা আছে, তাছারা সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠােন, সকল মন্ত্রনালয়ে, বন বিভাগে, ঔষুদ ফ্যাক্টরি, নার্সারি, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বিসিএস, উদ্ভিদবিদ, ব্যাংক, এনজিও, আর্মি, পুলিশ, প্রশাশনিক সহ অনেক জব আছে। সো তোমরা যারা বোটানিতে ভর্তি হয়েছো বা হচ্ছো তাদের শুধু একটা উপদেশই দিব যে, অনার্সে সাবজেক্ট নিয়ে অবহেলা করো না। এই বোটানি নিয়েই নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলো।
জিবনে সাফল্যের ছোয়া আসবেই।
মূল লেখকঃ মো: শফিকুল ইসলাম রনি
ডিপার্টমেন্ট অব বোটানি ঢাকা কলেজ।
আরো বিস্তারিত জানতে ফেইসবুকে লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Leave a Reply