শিক্ষার্থীদের টিফিনে খাবার দেয়ায় যশোরের চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এখন প্রায় শতভাগ। অথচ ৪/৫ বছর আগেও ওই সব বিদ্যালয়ে অর্ধেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে আসতো না।
অন্যান্য দিনের মতো রোববারও টিফিনে শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়া হয় শার্শা উপজেলার যদুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ সময় বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তারা যশোরের সব বিদ্যালয়ে এ প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।
সূত্র মতে, জেলার শার্শা উপজেলার ৪টি স্কুলের ১ হাজার ১২০জন শিক্ষার্থীকে টিফিনে খাবার দেয়া হয়। জাপান বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ (জেবিসিইএ) ও স্থানীয়দের ব্যবস্থাপনায় স্কুলেই রান্না শেষে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শার্শা উপজেলার যদুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানান, জানুয়ারি মাস থেকে তাদের স্কুলে ১৭১ জন শিক্ষার্থীর দুপুরে টিফিনে খাবার দেয়া হচ্ছে। এতে টিফিনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি যেতে হয় না। ফলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ছে। ঝরে পড়ার হারও কমেছে।
১৫ মার্চ রোববার দুপুরে স্কুলে কার্যক্রম দেখতে ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম শরিফুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী।
ইউপি সদস্য সাহেব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শার্শা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জেবিসিইএ জাপানের প্রতিনিধি মিসেস তোমোকো মাসমোতো, কান্ট্রি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমুখ।
জেবিসিইএ কান্ট্রি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান জানান, তাদের আরও ৩০টি স্কুলে এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনায় রয়েছে। এটা মডেল হলে যশোরসহ সারাদেশে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম
Leave a Reply