পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন
মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-
সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে।
পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল
শ্রেণীর ঈমানদার নারী-
পুরুষকে সম্বোধন করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ
করেছেন তিনি যেন তাঁর
স্ত্রীদেরকে,
কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের
নারীদেরকে চাদর
দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার
আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল
মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন,
কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও
সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন
মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম
নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান
করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয
বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত
থাকা ঈমানের দাবি। কিন্তু বেদনার
বিষয় এই যে, পশ্চিমা সভ্যতা ও
সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ‘মুসলিম-
সমাজ’ এতটাই প্রভাবিত
হয়ে পড়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহর
বিধানও তাদের কাছে অপরিচিত ও
অপ্রয়োজনীয়! (নাউযুবিল্লাহ)
ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান তো-
আল্লাহ হেফাযত করুন-মুসলিম পরিচয়
বহনকারীদের দ্বারা আক্রমণেরও
শিকার। ঐসব বিধানের
মধ্যে একটি হচ্ছে পর্দা বিধান। এই সব
‘মুসলমানদের’ কে বোঝাবে যে,
এটা নিজের পায়ে কুঠারাঘাতের
শামিল। ইসলামের এই বিধানগুলো শুধু
আমাদের আখেরাতে নাজাতেরই
উপায় নয়, আমাদের দুনিয়ার জীবনের
শান্তি, স্বস্থি ও পবিত্রতারও
রক্ষাকবচ। কিন্তু ইসলাম
সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অমুসলিমদের
প্রচারণায় প্রভাবিত
হয়ে আমরা নিজেদের আর্দশ ত্যাগ
করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত
হয়েছি। আমাদের পরিবার ও সমাজেও
পশ্চিমা সমাজের ভয়াবহ
উপসর্গগুলো প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে।
এটা নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত।
পশ্চিমা সভ্যতা যেসব
মরণব্যাধিতে আক্রান্ত
তা থেকে যদি আমরা আমাদের
পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে চাই
তার একমাত্র উপায় ইসলামের বিধান ও
আদর্শের সামনে আত্মসমর্পণ।
আমরা যদি আমাদের পরিবারিক
শান্তি ফিরে পেতে চাই
তাহলে নারী-পুরুষ সকলকে পর্দা-
বিধানের অনুসারী হতে হবে।
মুসলিম ভাইবোনদের
প্রতি কল্যাণকামিতা থেকেই
আমরা বিভিন্ন আয়োজন করছি। বর্তমান
সংখ্যায় পর্দা সম্পর্কে সহজ-সরল
কয়েকটি নিবন্ধ পত্রস্থ হল। সামনে এ
বিষয়ে আরো কিছু পেশ করার
ইচ্ছা আছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের
সকলকে তাঁর বান্দা হওয়ার তাওফীক দান করুন ,আমিন
Leave a Reply