চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়ে প্রশ্নকর্তার কোনো প্রশ্ন বুঝতে না পারলে কী করবেন? কিংবা কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে কী করা উচিত? এমন পাঁচটি বিষয় রয়েছে এবারের লেখায়। ইন্টারভিউ সম্বন্ধে বেশকিছু টিপস দেওয়া হয়েছে আগের বিভিন্ন লেখায়। তবে সেগুলোর পাশাপাশি ম্যাশএবল অবলম্বনে এ লেখায় দেওয়া পাঁচটি বিষয় ইন্টারভিউয়ের সময় অবশ্যই কাজে লাগাবেন।
১. প্রশ্ন বুঝে নিন ঠিকঠাক
ইন্টারভিউয়ের সময় প্রশ্নকর্তার করা কোনো প্রশ্ন বুঝে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন না বুঝলে অনেকেই উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকেন, যা খুবই ক্ষতিকর। আপনি যদি প্রশ্ন বুঝতে না পারেন, তাহলে আবার জিজ্ঞাসা করে তা ভালোভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। একটি জব লিস্টিং ওয়েবসাইটের সিইও বলেন, ‘আপনি হয়তো কোনো প্রশ্ন বুঝতে সমস্যা হলে সে বিষয়ে আবার জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পান। কিন্তু প্রশ্নটি ঠিকভাবে বুঝে নেওয়ার জন্য তাদের আপনার আবার প্রশ্ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যিই আপনার কাজে আসতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঠিকভাবে বুঝতে না পারলে প্রশ্নটির যতখানি বুঝেছেন, তেমন একটি প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করুন- এটাই কি আপনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন?’
২. ‘আমি জানি না’ না বলে প্রশ্নটিই বলুন….
একটি সামান্য ভুলও কোনো সম্ভাবনাময় ইন্টারভিউয়ের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে। এ কারণে ইন্টারভিউয়ারদের কোনো প্রশ্ন বুঝতে না পারলে বা তার উত্তর যদি জানা না থাকে তাহলেও তার উত্তর দেয়া উচিত নয় ‘আমি জানি না।’ একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও বলেন, ‘অন্যরা শুনতে পায়, এমনভাবে চিন্তা করা এ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কনফিডেন্স বাড়ানো ভালো সমাধান হতে পারে।’
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রশ্নকর্তার দুর্বোদ্ধ প্রশ্নটি নিজেই তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলুন। এরপর সে সম্বন্ধে আপনার চিন্তাও তাদের শুনিয়ে বলতে থাকুন। এ সময় প্রশ্নকর্তা আপনার সাহায্যে প্রশ্নটি সহজ করে বলতে পারেন বা এর উত্তর দেওয়ার কোনো সূত্র দিতে পারেন।’
৩. শরীরের ভাষা প্রয়োগ করুন
ইন্টারভিউতে গিয়ে আপনি কি প্রশ্নকর্তাদের সামনে বসে অস্থির হয়ে নড়াচড়া করেন কিংবা পা দিয়ে ফ্লোরে টোকা দেন? এ ধরনের আচরণের ফলে আপনি চাকরির জন্য সম্পূর্ণভাবে যোগ্য হলেও তার সম্ভাবনা নষ্ট করছেন।
একটি ক্যারিয়ার সার্ভিসের কো-অর্ডিনেটর বলেন, ‘একজন চাকরিপ্রার্থীর গলার ভলিউমের ওপর অনেককিছু নির্ভর করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়টা নিয়ে অধিকাংশ মানুষই অনুশীলন করে না। কিন্তু আপনি যখন নার্ভাস হয়ে যান তখন এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।’
এ সমস্যা সমাধানে বন্ধুদের সামনে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া দৃঢ় হ্যান্ডশেক ও চোখে চোখ রাখাও ইন্টারভিউতে ভালো কাজ করে।
৪. নিজের বায়োডাটার সম্পূর্ণ জানা আছে কি?
এ প্রশ্ন অনেকের কাছেই অবান্তর মনে হতে পারে। কিন্তু ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় নিজের সিভির সব তথ্য অবশ্যই ভালোভাবে জানা থাকতে হবে। আপনার সিভি দেখে প্রশ্নকর্তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন। সে সম্বন্ধে প্রস্ততি থাকতে হবে যথাযথ। তারা যদি প্রশ্ন করে আট বছর আগে আপনি কী কী করেছেন, তার উত্তরে কোনো আমতা আমতা নিশ্চয়ই শুনতে চাইবেন না প্রশ্নকর্তারা।
৫. প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারভিউয়ারদের সম্বন্ধে জেনে নিন
প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর অবশ্যই ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে সেই জ্ঞান আপনার বুদ্ধির সঙ্গে ইন্টারভিউতে কাজে লাগাতে হবে।
Leave a Reply