মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি/বেসরকারি সকল মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত ছুটির তালিকা  নিচে দেওয়া হলোঃ

মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ছুটির তালিকা ২০২২

উক্ত ছুটির তালিকা অনুসারে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি/বেসরকারি সকল মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহের প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত ছুটিসহ মোট ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ দিন।

সবচেয়ে লম্বা ছুটি (টানা ৩১ দিনের) রয়েছে ০৩ এপ্রিল থেকে ০৮ মে পর্যন্ত পবিত্র রমজান মাস, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখি পূর্ণিমা, শব-ই-কদর, জুমাতুল-বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে। তবে যে সকল ধর্মীয় উৎসব চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সে সকল ছুটির তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক ক্যালেন্ডার

 

মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ছুটির তালিকা ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার ডাউনলোড

নির্দেশনা

১.        শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।

২.        প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি মোতাবেক অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত ১ (এক) বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।

৩.       স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থায়ই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

৪.        পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

৫.       সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার) ছাড়া বছরে মোট ছুটি ৮৫ দিন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যেসব দিনকে সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে, সেসব দিন উক্ত ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।

৬.       কোন সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না এবং সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

৭.        ছুটিকালীন সময়ে অনুষ্ঠেয় ভর্তি/অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।

৮.       উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা/জেএসসি পরীক্ষা ইত্যাদি প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।

৯.       জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য বিদ্যালয়ে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

১০.     প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠের বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপাতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বিলি করতে হবে। এ ডায়েরিতে ছাত্র/ছাত্রী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র/ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশাবলি, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাকদের স্বাক্ষর নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

১১.      জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস যথা : ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করতে হবে।

১২.      প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ দিবস ও শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে।





About আল মামুন মুন্না 822 Articles
আল মামুন মুন্না, বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট "লেখাপড়া বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যশোর সরকারী এম. এম. কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে বি.বি.এ অনার্স ও আজম খান সরকারী কমার্স কলেজ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*