মাওলানা দিদারুল ইসলাম: মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পৃথিবীতে আগমনের (মতান্তরে) ৫০ দিন আগে আবরাহা যখন কাবা শরীফ ধ্বংস (দখল) করতে এসেছিল, তখন একটা পর্যায়ে কাবার দায়িত্বে থাকা আব্দুল মুত্তালিব কে বলা হয়েছিল, “তোমাদের কোন চাওয়া পাওয়া বা শর্ত আছে কি-না?”
তখন আব্দুল মোত্তালিব বলেছিলো, “হ্যাঁ, আমাদের বলার আছে। আর সেটা হলো, তোমরা আমাদের যে উট, ঘোড়া, ভেড়া আটক বা দখল করে নিয়েছো। সেগুলো ছেড়ে দাও।” তখন আবরাহা বলেছিল, “আমরা এসেছি, তোমাদের কাবা (ধ্বংস) দখল করতে। আর তোমরা চাচ্ছো বা বলতেছো তোমাদের উট, ঘোড়া, ভেড়া এগুলো ছেড়ে দিতে।
বিষয় টা কী?”
তখন আব্দুল মোত্তালিব বলেছিলেন, “উট, ঘোড়া, ভেড়া এগুলোর দায়িত্ব আমাদের। সুতরাং সেগুলো ছেড়ে দাও। আর কাবা ঘরের দায়িত্ব (যার তিনি) মহান আল্লাহ তায়ালার। তার ঘর, তিনি নিজেই হেফাজত করবেন।”
সেদিন আল্লাহ তায়ালা গায়েবী মদদ দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করে তার ঘরকে রক্ষা করেছিলেন।
কিন্তু কেন জানেন?
তখনকার সময়ে পৃথিবীতে ঈমানদারের সংখ্যা ছিলোনা বললেই চলে। অথচ আজ একে একে আফগানিস্তান, আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন সহ মুসলিম অধ্যুষিত সকল দেশকে ইহুদিবাদীরা তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে। এবং এখন পর্যন্ত তারা সফল। অথচ আল্লাহতালা কোন সহযোগিতা করছেন না।
কেন জানেন!
কারণ হলো আজ পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান বসবাস করছি। অথচ আমাদের সেই ঈমানের তেজ, জজবা, শাহাদাতের তামান্না না থাকার কারণে আমরা পর্যুদস্ত হচ্ছি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক।
ঈমান বৃদ্ধি করে দিক। ফিলিস্তিনিদের উপর রহম করুক।
সাবেক সভাপতি: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, কয়রা উপজেলা শাখা এবং অফিস সহকারী খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী।