১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ “অপারেশন সার্চ লাইট” বিশ্বের ইতিহাসে একটি গণহত্যা এবং বর্বরতা যা আলোর সামনে আনতে হবে, যাতে বিশ্ববাসীকে এটিকে স্বীকৃতি দিতে হবে যেমনটি বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন। সেদিনের পরের নয় মাস ধরে, উভয় অঞ্চলের মধ্যে একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে, যার ফলে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এবং ২ লক্ষ নারী পাকিস্তানি এবং তাদের সহযোগী আল বদর-আল শামস এবং রাজাকারদের দ্বারা শিকার হয়। বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ তারিখে, ঢাকা স্কুল অফ ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ক্লাব আজ সকালে ২৫ মার্চ ১৯৭১, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে ‘জেনোসাইড অফ অপারেশন সার্চলাইট’ পালন করে। একটি বিশেষ দেওয়ালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২১ ফুট। X ৭ ফুট যা ঢাকা স্কুল অফ ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতির শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে।
দেয়ালিকা প্রদর্শনীতে ইতিহাসের বিভিন্ন দিক এবং স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনীতির উন্নয়ন নিয়ে নানা দিক তুলে ধরা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্বরচিত কবিতা প্রদর্শনীতে রাখা হয়। বুধবার সকালে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের পরিচালক কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীটির উদ্ভোধন করেন। এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবীর। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রামের সমন্বয়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী।
ডিএসসিই-এর পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি দেশের কৃষি খাতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরদেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং নিজে এবং তার পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তার কথাও তিনি স্মরণ করেন।
অধ্যাপক মুহম্মাদ মাহবুব আলী বলেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে “অপারেশন সার্চলাইট” ছিল মূলত বাঙালি গণহত্যা, যার ফলে সমগ্র স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের দ্বারা নির্বিচারে ৩ মিলিয়ন বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। অধ্যাপক আলী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
এছাড়াও ড নারায়ণ চন্দ্র সিনহা সংযোজন সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক রেহেনা পারভিন, সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক সারা তাসনিম এবং প্রভাষক শামিম আহমেদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply