পড়া মনে রাখার ৫টি দারুণ কৌশল

ইদানিং ছাত্রছাত্রীরা প্রায়ই একটি সমস্যাতে ভুগে থাকেন। আর সেটা হলো কোনোভাবেই পড়া মনে রাখতে না পারা। সাধারণত অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপে তাদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। দেখা যায় যে অনেক পরিশ্রম করে পড়া মুখস্ত করে পরীক্ষা দিতে গেলেন, কিন্তু পরীক্ষা হলে গিয়ে সব বেমালুম ভুলে বসেছেন। কেন পড়াটি তাদের বেশিক্ষণ মনে থাকে না? আর এই সমস্যাটি থেকে বাঁচার উপায়টাই বা কী? আসুন জেনে নিই সহজ কয়েকটি উপায়ে স্মৃতিশক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে পড়া অনেকক্ষণ মনে রাখা যায়।

১. মনোযোগ তৈরি করা :

মানুষের সমস্ত ক্রিয়াই নিয়ন্ত্রণ করে মন। আর মনটিকেই প্রথমত বুঝিয়ে নিতে হবে যে এখন আমি এই কাজটি করব এবং এই কাজটি আমাকে মনে রাখতে হবে। তাই পড়ার বিষয়ে আগে মনোযোগ বসিয়ে নিতে হবে। যে পড়াটি পড়বেন সেই পড়াটিতে মনোযোগ স্থাপন করতে হবে।

২. মেডিটেশন করে নিন :

পড়াশোনায় মনোযোগ পুরোপুরি বসাতে চাইলে ব্রেন থেকে যাবতীয় যত চিন্তা তা মুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ ব্রেনটিকে রিফ্রেশ করতে হবে। এর জন্য মেডিটেশন সবচেয়ে উপযোগী। মেডিটেশন ব্রেনকে সতেজ ও চিন্তামুক্ত করে তোলে এবং এর কাজ করার ক্ষমতাকে হাজার গুল বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে মেডিটেশন করে নিতে পারেন।

৩. জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ুন :

মনে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেন বাবা মায়েরা। একটি বিষয়ে অনেক জটিল টপিক থাকতে পারে। এই জটিল টপিকগুলো একবার পড়ে মনে রাখা সম্ভব না। তাই এই ধরনের জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে অবসর সময়ে তা আওড়াতে পারেন। এতে বিষয়টি মনে থাকবে বেশি।

৪. বাস্তবের সাথে মিলিয়ে পড়ুন :

কোনো কিছু মনে রাখার জন্য তা যদি বাস্তব কোনো বিষয়ের সাথে মিলিয়ে পড়া যায় তাহলে তা অনেক বেশি মনে থাকে। এজন্য যতটা সম্ভব বাস্তব কোনো বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে ধওে পড়াটি মুখস্ত করুন।

৫. পড়াটি কাউকে বোঝান :

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা পড়াটি মনে রাখতে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হল যে পড়াটি আপনি পড়েছেন তা অন্যকে যদি বুঝিয়ে বলা। এমন অবস্থাতে আপনি যদি কাউকে কোনো জটিল বিষয় বুঝিয়ে বলেন যেমনটা টিচাররা স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি আপনার ব্রেনে এমনভাবে গেঁথে যাবে যা কখনই আপনি ভুলবেন না।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*