statistics

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩ কত টাকা আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই আর্টিকেলে। এবারের ফিতরার পরিমান কত , কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, ফিতরা ২০২৩ । ফিতরা দেয়ার নিয়ম ২০২৩, ফিতরার টাকা কাদেরকে দিবেন বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে। সদকাতুল ফিতরা ২০২৩ , সদকাতুল ফিতরার পরিমাণ ২০২৩ জানুন আমাদের এই পোস্ট থেকে। 

আপনি যদি ২০২৩ সালের ফিতরা কত টাকা জানতে চান এবং জানতে ইচ্ছুক হন তবে আপনি এই পোস্টটি সম্পুর্ন পড়ুন। কারণ আমরা এখানে ২০২৩ সালের ফিতরা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। আমরা অনেকেই এখনও জানিনা ফিতরা কি, ফিতরা কেন দিতে হয় এবং ফিতরা কত তারিখে দিতে হয়, বা ফিতরা কোন মাসে দিতে হয়। আপনি যদি এই ফিতরা ২০২৩ সম্পর্কে এই তথ্য গুলো জানতে ইচ্ছুক হন তবে আপনি আমাদের এই পোস্ট পড়ুন ও ফিতরা 2023 সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন। 

ফিতরা কত টাকা ২০২৩

পবিত্র মাহে রমজান ২০২৩ সাল আসলেই মুসলিমরা সদকাতুল ফিতরা দিয়ে থাকে। পবিত্র রমজানের সাথে সদকাতুল ফিতরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সদকাতুল ফিতরা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা বা সদকাতুল ফিতরা দেয়ার নিয়ম 2023 সম্পর্কেও সঠিক তথ্য বা হাদিস জানি না। প্রত্যেকটি মুসলিমদের ফিতরা বা সদকাতুল ফিতরা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরী। চলুন আমরা এই সদকাতুল ফিতরা 2023 সম্পর্কে জেনে নেই। 

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব বিস্তারিত দেখুন পোস্টে
কারা ফিতরা দিবে বিস্তারিত দেখুন
কারা ফিতরা পাবে দেখুন বিস্তারিত পোস্টে
ফিতরা অর্থ কি দেখুন
ফিতরা সম্পর্কে হাদিস দেখুন পোস্টে
সদকাতুল ফিতরার পরিমান ২০২৩ দেখুন বিস্তারিত

ফিতরা কত টাকা ২০২৩

ফিতরা কত টাকা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন এবং মুসলমানরা অনেকেই ফিতরা ২০২৩ কত টাকা জানার জন্য সার্চ করছেন। সরকার কর্তৃক ইসলামীক ফাউন্ডেশন থেকে সর্বনিম্ন ফিতরার টাকা নির্ধারণ করে দিয়ে থাকেন। ২০২২ সালে সর্বনিম্ন জন প্রতি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবং সর্বোচ্চ ২হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারিত ছিল। ২০২৩ সালের ফিতরার পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ফিতরার পরিমান ২০২৩ ঘোষিত হলে এখান থেকে জানা যাবে। 

সদকাতুল ফিতরা ২০২৩

সদকাতুল ফিতরা কি? জেনে নিন ফিতরা সম্পর্কে   ফিতরা বা ফেতরা(فطرة) হলো আরবী শব্দ, ইসলামে যাকাতুল ফিতর (ফিতরের যাকাত) বা সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরের সদকা) নামেই পরিচিত এটি। ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয়ছে যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করে থাকেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর (ছোট ঈদ) উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে।

কে ফিতরা দিবে

কে ফিতরা দিবে এবং কাদেরকে ফিতরা দিতে হবে এই সম্পর্কে চলুন আমরা একটি হাদিস জেনে নেই। এই হাদিসটি জানলে আপনি ফিতরা সম্পর্কে আরও সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। 

ছাদাক্বাতুল ফিতর মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ওয়াজিব। এ মর্মে হাদীছে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمَرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ عَلَى الْحُرِّ وَالْعَبْدِ وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى وَالصَّغِيْرِ وَالْكَبِيْرِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوْجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.

ইবনে ওমর বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের ক্রীতদাস ও স্বাধীন, নারী ও পুরুষ, ছোট ও বড় সকলের উপর মাথা পিছু এক ছা‘ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিৎর হিসাবে ওয়াজিব করেছেন এবং তা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন’। যদি কোনো ব্যক্তি ঈদের দিন সুবহে সাদেকের পূর্বে মারা যায়, তাহলে তার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। এভাবে যদি সুবহে সাদেকের পরে কোনো বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তার পক্ষ থেকেও ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। তবে যদি কোনো ব্যক্তি সুবহে সাদেকের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে বা কোনো বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তাহলে তাদের ওপরও ফিতরা ওয়াজিব। ছাদাক্বাতুল ফিতর হ’ল জানের ছাদাক্বা, মালের নয়। বিধায় জীবিত সকল মুসলিমের জানের ছাদাক্বা আদায় করা ওয়াজিব। কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালনে সক্ষম না হ’লেও তার জন্য ফিৎরা ওয়াজিব।

কারা এই ফিতরা পাবে

কাদেরকে ফিতরা দিবেন , কোন শ্রেণির মানুষেরা এই ফিতরা পাবে। ফিতরার টাকা বা খাদ্য সামগ্রী গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না ।

ফিতরা হিসেবে কি দিতে হবে

ফিতরা হিসেবে কি দিতে হবে, হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ২ পরিমাপে ৫ জিনিস দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। আর তাহলো গম, যব, কিসমিস, খেজুর, পনির। এসব গুলোর মধ্যে গমের পরিমাপ হলো অর্ধ সা আর বাকিগুলোর পরিমাপ এক সা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি দিয়ে এ ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

সবথেকে উত্তম হলো সর্বোচ্চ মূল্যের খেজুর বা চাল আদায় করা। তবে ধনীদের সর্বোচ্চ এবং সাধারণ মানুষদের মাঝামাঝি মূল্যে আদায় করাই শ্রেয়। ইনসাফ হলো যাঁরা যে চালের ভাত খান বা যাঁরা যে খেজুর দ্বারা ইফতার করেন, তাঁরা সে সমমানের বা সমমূল্যে ফিতরা আদায় করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘তা-ই উত্তম, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি।’

 গম/আটা : গম বা আটার পরিমাপ হবে অর্ধ সা। যা ৮০ তোলা সেরের মাপে ১ সের সাড়ে বারো ছটাক। আর কেজির হিসাবে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। তবে ন্যূনতম পূর্ণ ২ সের/কেজির মুল্য আদায় করা উত্তম ।

 যব : যবের পরিমাপ হবে এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। কিসমিস : এর পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। খেজুর : এর পরিমাপ এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। পনির : পনিরের পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির-এর ক্ষেত্রে ৪ কেজির মূল্য পরিশোধ করাই উত্তম।

একটি একই পরিবার থেকে কতজনের ফিতরা দিতে হবে

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন একটি একই পরিবার থেকে কতজন এর ফিতরা দিতে হবে।  যদি কোনো পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, শিশু-কিশোর ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, এবং মা-বাবাসহ মোট ৮ জন সদস্য থাকে তবে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি এ ৮ জনের ফিতরা আদায় করবেন। এভাবে হিসাব করে সবার ফিতরা দিতে হবে।

ফিতরা কার উপর ওয়াজিব

ঈদুল ফিতরের দিন কোনো স্বাধীন মুসলমানের কাছে জাকাতের নিসাব তথা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা তার সমমুল্যের নগদ অর্থ কারো কাছে থাকলেই ওই ব্যক্তির জন্য ফিতরা ওয়াজিব।

বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, স্থাবর সম্পদের মূল্য (যদি ব্যবসার জন্য না হয়) জাকাতের নিসাবের অন্তর্ভূক্ত নয় ৷ কিন্ত ফিতরার ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র,ঘর-বাড়ি ও স্থাবর সম্পদ, ভাড়া বাড়ি, মেশিনারীজ, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি (উপার্জনের জন্য না হলেও) এসবের মূল্যের হিসাবও ফিতরার নেসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে ৷

উপসংহার: প্রিয় মুসলিম ভাইয়া ও বোনেরা আমরা আজকে আমাদের লেখাপড়া বিডি ওয়েবসাইটে আজকে ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের এই আর্টিকেলের কোন তথ্য আপনার কাছে ভুল বলে মনে হলে আমাদেরকে আমাদের ফেসবুক পেজে অথবা এই আর্টিকেলের কমেন্ট বক্সে অভিযোগ জানাতে পারেন আমরা এটি সংশোধন করবো ইনশাআল্লাহ।

পোষ্টটি লিখেছেন: মোঃ মিলন ইসলাম

এই ব্লগে 706 টি পোষ্ট লিখেছেন .

মোঃ মিলন ইসলাম , বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট "লেখাপড়া বিডি"র "চিফ ইডিটর" হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া, লেখাপড়া বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন আল মামুন মুন্না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *