ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ক্লাব “বিশ্বব্যাপী উত্তাল পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তাদের সহনশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যতে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে উদীয়মান ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক গতিশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
ড. আহমদ অর্থনীতির ভিত্তি ঠিক রাখতে স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এই অস্থির সংকটের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য উদ্যোক্তা মনোভাব এবং উদ্যোক্তা শিক্ষার প্রসার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির লেকচারার ডাঃ সারদানা খান। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা কমাতে সঠিকভাবে সরবরাহ বেবস্থার সমন্বয় প্রয়োজন। তিনি ব্যবসার জন্য একটি আবাসিক মডেল তৈরি করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন যুক্তরাস্টের ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন-ডাউনটাউনের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনিসুল এম.ইসলাম,এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির অ্যাডজান্ট ফ্যাকাল্টি মোয়াজ্জেম হোসেন।
থাইল্যান্ডের রাংসিত ইউনিভার্সিটির ডাঃ তানপাট ক্রাইওয়ানিত, ডঃ যশোদা কৃষ্ণ, জিএনভি ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডিয়া, প্রফেসর ডঃ জোস ভার্গাস- হার্নান্দ, মেক্সিকো এবং ভারতের প্রফেসর কৃপা এস গুপ্ত সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগ দেন।
জাপান থেকে প্রফেসর ড.মুনিম কে বারাই আরও একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, হাইড্রোজেন পারক্সাইডের বিকল্প বাংলাদেশে তেল বা হাইড্রোজেনের একটি আদর্শ শক্তি বাহক হতে পারে।
অধিবেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড.মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার সময়ে সরকার সামাজিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা করতে পারে যাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে বিনিয়োগে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যার জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রয়োজন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন, সহকারী অধ্যাপক ডা.সারা তাসনিম, প্রভাষক শামিম আহমেদ সহ প্রমুখ।
চলমান অশান্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামাজিক, অর্থনীতি, ব্যবসা এবং আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে দুই দিনে মোট ৪২টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পর ছিল এলিভেটর পিচ, বিতর্ক, কেস স্টাডি, বইমেলা এবং ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে স্পন্সর হিসেবে ছিল বিমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনসিওরেন্স।
Leave a Reply