পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদরা। এছাড়া, প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই কর্মসংস্থানের সূযোগ তৈরী সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।অযথা সময় নষ্ট না করে শিক্ষার্থীদের উচিত নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহন করা এবং নিজেদেরকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা।
রোববার পঞ্চম শিল্প বিপ্লব এবং উদ্যোক্তা অর্থনীতিতে পড়ার ভূমিকা নিয়ে এক আলোচনা আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্স এর উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম।
অনুষ্ঠানে ভারত থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. কে এস গুপ্তা। মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. শামীমা হক। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া থেকে উপস্থিত ছিলেন ড. সারদানা খান। তিনি বলেন, চাকরীর বাজারকে শুধুমাত্র দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আন্তর্জাতিক ভাবে চিন্তা করতে হবে। গেষ্ট অফ অনার হিসেবে ভারত থেকে ছিলেন ড. প্রাঞ্জল কুমার পুখান।
আলোচনা অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম এর সম্মানিত সমন্বয়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী। এসময় তিনি বলেন,প্রফেসর আলী বলেন, ইন্ডাস্ট্রি 5.0 বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির আকাঙ্ক্ষার জন্য সহায়ক যেখানে স্মার্ট মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান চতুর্থ স্তম্ভের পাশাপাশি পঞ্চম পিলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অযথা সময় নষ্ট না করে শিক্ষার্থীদের উচিত নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহন করা এবং নিজেদেরকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা।
এছাড়া, কোনো কোনো বামপন্থী ফ্যাকাল্টি বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রদের উসকে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করা হয় অনুষ্ঠানে। এদের মধ্যে অনেকে এনজিও কর্মী ছিলেন, এবং বিভিন্ন জায়গায় বেনামী চিঠি দিচ্ছে। বক্তারা বলেছেন, ঘাপটি মারা বামপন্থীরা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া, আরও জানানো হয় ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্স এর মত প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান অব্যবহিত রাখা উচিত এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা উচিত বলে জানান বক্তারা।
ঢাকা স্কুল অফ ইকোনমিক্সে মাস্টার্স প্রোগ্রাম (উদ্যোক্তা অর্থনীতি) এবং স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্টে ভর্তি চলছে যার জন্য যোগাযোগ করুন 01616394704 নম্বরে
এছাড়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম শিক্ষক রেহেনা পারভীন। এবং অন্যতম আলোচক ছিলেন ড. সারা তাসনিম। এবং অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক বক্তব্য প্রদান করেন প্রভাষক শামিম আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যেমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply