ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে লিড বাংলাদেশ লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম

সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল, সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর অংশীদারিত্বে ‘লিডারশিপ ফর অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (লিড বাংলাদেশ)’ প্রকল্পের অধীনে লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে। রাজধানী ঢাকার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কার্যালয়ে (৫ ফুলার রোড, ঢাকা) গত ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫.৩০ পর্যন্ত এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

লিড বাংলাদেশের লক্ষ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কমিউনিটির নেতৃত্ব হিসেবে দেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন করা। সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (আইডিইএ), সুশীলন, দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্ট, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও, অভিবাসীদের মধ্যে নেতৃত্বের উপাদান বিকশিত করতে এই প্রকল্পের যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক অংশীদার হিসেবে রয়েছে কমন পারপাস।

লিড বাংলাদেশ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণে তরুণদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্ব প্রস্তুত করা।

কমিউনিটিতে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে এমন ৩ হাজার তরুণকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও ১ হাজার ৪০০ সমমনা প্রার্থীদের দক্ষতার বিকাশে প্রশিক্ষণ সংযুক্ত করেছে লিড বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশের উন্নয়নের তিনটি সঙ্কটপূর্ণ খাত- শিল্পোদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনে নাগরিক অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক অন্তর্ভূক্তিতে ২৪০টি সোশ্যাল অ্যাকশন প্রজেক্টের (এসএপি) মাধ্যমে তরুণদের এ বিকাশ ঘটে। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী অভিবাসী কমিউনিটির ৪০ জন অভিজ্ঞ পেশাজীবী ও নেতা এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখেন।
সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আজহারুল ইসলাম খান। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস বাংলাদেশ ডেভিড নক্স।

সিম্পোজিয়ামে দু’টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনায় ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের ভূমিকা’ এবং দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনায় ‘বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অভিবাসী নেতৃত্ববৃন্দ কীভাবে অবদান রাখতে পারেন’ এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনাটি বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের চিফ স্টোরিটেলার মিনহাজ আনোয়ার এবং দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনাটি কমন পারপাসের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর- রিম অ্যাসিল পরিচালনা করেন।

তরুণ অংশগ্রহণকারী তাদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব ও ফল তুলে ধরতে এই লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে । এ আয়োজনে সরকারের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, অ্যাকেডেমিয়া, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, গবেষক ও উদ্যমী সচেতন ব্যক্তিরা অংশ নেন। এই লিডারশিপ সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে সঙ্কটপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পান তরুণরা ।

এছাড়াও, সোশ্যাল অ্যাকশন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করায় সম্মাননা হিসেবে সিম্পোজিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিউনিটিতে ভালো কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে তরুণ অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমে তাদের অনুপ্রাণিত করা হয়। পুরস্কার বিতরণের পর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1519 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*