ফোর্বসের ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট এমপ্লয়ার্স ২০২২’ তালিকায় টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান অর্জন করেছে স্যামসাং। এর মাধ্যমে কর্মীদের জন্য সেরা কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ স্যামসাং এর অর্জনের তালিকায় নতুন আরেকটি পালক যুক্ত হলো।
বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি-বিষয়ক কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে প্রতিবছর এই শীর্ষস্থান বাছাই করা হয়, যেখানে স্যামসাং টানা তৃতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করলো। এর মাধ্যমে আইটি ও প্রযুক্তি খাতে শীর্ষস্থানের সুনাম ধরে রাখলো প্রতিষ্ঠানটি। স্ট্যাটিস্টা’র সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী ৮শ’ প্রতিষ্ঠানের দেড় লাখ কর্মীর ওপর জরিপ পরিচালনা করে ফোর্বস। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়। এরপর ফলাফলের ভিত্তিতে, স্যামসাংকে তালিকার শীর্ষস্থান দেওয়া হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের অন্যান্যদের কাছে তার প্রতিষ্ঠানকে কতো রেটিং করবেন। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় যেমন: অর্থনৈতিক প্রভাব ও ধরন, মেধার উন্নয়ন, লৈঙ্গিক সমতা এবং সামাজিক দায়িত্বশীলতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতে বলা হয় তাদের। ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক না কেন, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় তারা যেন এই খাতের নিয়োগকর্তাদের মূল্যায়ন করেন।
বাংলাদেশে মানসম্মত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস পণ্য ও ডিভাইস বাজারজাত করতে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের শাখা অফিস রয়েছে। বাংলাদেশের মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে গত চার বছর ধরে টানা শীর্ষে অবস্থান করছে স্যামসাং। এছাড়াও, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও এয়ার কন্ডিশনারের মতো কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্রে বাজার হিস্যার বড় অংশ স্যামসাংয়ের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের ক্রেতাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং গ্রাহকদের জীবনমান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে স্যামসাং।
এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব হোয়ানসাং উ স্যামসাং -এর লক্ষ্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বাংলাদেশে সর্বাধুনিক মোবাইল ডিভাইস ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস পণ্য সরবরাহ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি, আমরা সবসময়ই গঠনমূলক সম্পর্ক, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অগ্রগতির সুযোগ তৈরির মাধ্যমে কর্মীদের সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট। বর্তমানের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে সমতা ও সুযোগ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। আমরা ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে আমাদের কর্মীদের জন্য একটি সুষ্ঠু কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করে যেতে পারবো বলে প্রত্যাশা করছি।”
২০২০-২১ সালে বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রবৃদ্ধি, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক পরিবেশ, বেতন-মজুরিতে সন্তুষ্টি ও কর্মীদের জন্য যথার্থ কাজ নিশ্চিত করতে স্যামসাংকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এছাড়াও, কর্মীদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে গেছে স্যামসাং, এরই ফলশ্রুতিতে ফোবর্সের তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও স্যামসাং ‘বেস্ট এমপ্লয়ার্স ফর নিউ গ্রাজুয়েটস’ শাখায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলো।
Leave a Reply