ব্রিটিশ কাউন্সিল ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ‘ট্রেইনিং অব মাস্টার ট্রেইনার্স ইন ইংলিশ’ (টিএমটিই) প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষকদের চতুর্থ দলের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান দেশজুড়ে সম্প্রতি ১০টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা পিটিআইয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ) মো. মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ; ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক (শিক্ষা) ডেভিড মেনার্ড এবং ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা’র বিভাগীয় উপপরিচালক মীর্জা মো. হাসান খসরু। ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, শেরপুর, যশোর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং মৌলভীবাজার পিটিআইয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়
টিএমটিই প্রকল্পের এ ধাপের অধীনে ৪২৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, যেন তারা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উপভোগ্য ও কার্যকরভাবে ইংরেজি ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। এটি ১৪ সপ্তাহের একটি কর্মসূচি ছিল। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ) মো. মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ বলেন, “আমরা একটি জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে চাই; এ পথচলায় আমাদের সবাইকে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে। আমি প্রত্যাশা করছি, আপনারা এ প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আপনাদের নিজস্ব শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি ও ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট স্কিলের (শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা) মাধ্যমে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। আপনারা সবাই
ইতিবাচক মনোভঙ্গি নিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরবেন বলে আমি আশাবাদী।”
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক (শিক্ষা) ডেভিড মেনার্ড বলেন, “ইংরেজি ভাষা জানা যে খুব গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা সবাইকে এ বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা যে এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজি শিখতে পেরেছেন তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তবে, এক্ষেত্রেআপনাদের শেখানোর পদ্ধতি ও শিশুদের সম্পৃক্ততাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ১৫-২০ বছর আগেও স্কুলগুলোতে ইংরেজি শেখার পদ্ধতি শিক্ষক-কেন্দ্রিক ছিলো, যেখানে শিক্ষার্থীরা বসে বসে শিক্ষকদের কথা শুনতো এবং তা খাতায় লিখতো। আমি প্রত্যাশা করছি, আপনারা এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে নিত্য নতুন পদ্ধতি, কৌশল ও পাঠদান প্রক্রিয়া রপ্ত করেছেন তা শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শেখায় সম্পৃক্ত করতে পারবেন। যদি তারা এ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে তবেই তারা আপনাদের শেখানো বিষয়টি মনে রাখতে পারবে, তারা এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা এবং আত্মস্থ করতে পারবে। গত ১৪ সপ্তাহ এ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তা সফলভাবে শেষ করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি জানি,
১৪ সপ্তাহ অনেক দীর্ঘসময় এবং আপনারা এ সময়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন।”
এ নিয়ে ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা’র বিভাগীয় উপপরিচালক মীর্জা মো. হাসান খসরু বলেন, “যদি আমাদের সন্তানরা স্কুলে ভালোভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে পারে, তবেই এ প্রোগ্রামটি সফল হবে বলে আমি মনে করি। আমি প্রত্যাশা করবো, আপনারা নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে এ প্রোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আপনাদের সহকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন; যাতে করে আপনাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা আরো উন্নত উপায়ে শিখতে পারেন।”
Leave a Reply