গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়া উপজেলায় মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ তালুকদার (৩৬) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার ৩ সন্তানের স্ত্রী খুশিদা বেগমকে (২৮)। আহত খুশিদা বেগম রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে মারা গেছে। খুশিদা একই উপজেলার ঘাঘড়ের কয়খা গ্রামের মৃত নূর ইসলাম মেয়ে।
সরজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে কোটালিপাড়া উপজেলার পিতলপাড়া গ্রামের নুরমান তালুকদারের বড় ছেলে সোহাগ তালুকদারের সাথে বিয়ে হয় খুশিদা বেগমের। বিয়ের পরে যৌতুকের জন্য মারপিট করতো মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ তালুকদার। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় হত্যা উদ্দেশ্যে খুশিদাকে মারপিঠের শুরু করে মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ তালুকদার। মারপিঠের একপর্যায়ে মুমূর্ষু খুশিদার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় পাষন্ড স্বামী সোহাগ। পরে স্থানীয়রা খুশিদাকে উদ্ধার করে কোটালিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু খুশিদাকে ভর্তি করা হয় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে। সব নাটকীয়তা শেষে আজ সকালে মারা যায় খুশিদা।
নিহতের ভাই আবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোনকে দীর্ঘদিন ধরে মারপিট করে মাদকাসক্ত জুয়াখোর স্বামী। এর আগে কয়েকবার মারপিট করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গত ৩ মাস আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার সালিশ বিচার আর মীমাংসা করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠায়। আজ সেই বোনকে মেরে লাশ বানিয়ে আমাদের বাড়িতে ফেরত পাঠালো তারা। আমার বোন হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে খুশিদা বেগমের মৃত্যুর পরে লাশ ফেলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় মাদকাসক্ত পাষণ্ড স্বামী সোহাগ তালুকদার ও শাশুড়ী মাহমুদা বেগম। এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কোটালিপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো: জাকারিয়া বলেন, ‘এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply