যুক্তরাজ্যে স্কলারশিপসহ উচ্চ শিক্ষা – বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুবর্ণ সুযোগ

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। উন্নতমানের শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলা,আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধার জন্য যুক্তরাজ্য সবসময়ই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করে। বর্তমান সময়ে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেসন প্রক্রিয়া অনেক ফ্লেক্সিবল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা শেষ করার পর ২ থেকে ৩ বছরের ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে থাকেন। এছাড়া তাদের ৫ বছর যুক্তরাজ্যে থাকার পর সিটিজেনশিপ এর জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

কেন যুক্তরাজ্য? 

অনেক দেশে ৪ বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট কোর্স হলেও যুক্তরাজ্যের  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিচ্ছে ৩ বছর মেয়াদি কোর্স যাতে সময়ও বেচে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে যুক্তরাজ্যে এডমিশন ও ভিসা পাওয়া তুলনামুলক সহজ। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অনেক বড় বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে যুক্তরাজ্য পছন্দের শীর্ষে থাকাটাই স্বাভাবিক। 

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার খরচ কেমন?

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং আরও কিছু বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফী অনেক বেশি হলেও, যুক্তরাজ্যে স্বল্প খরচে অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফী এর জন্য প্রতিবছর ৮ – ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২৫-৩০ লক্ষ খরচ করতে হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে। স্কলারশিপ এবং খণ্ডকালীন চাকুরীর সুবিধা থাকায় খরচ বহন করা সহজ হয়।

যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় কেমন?

যুক্তরাজ্যে সাধারণত শহর ভেদে জীবনযাত্রার ব্যয় একেক রকম হয়ে থাকে। তবে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রতিমাসে জীবনযাপন বাবদ ৬০০ পাউন্ড থেকে ১০০০ পাউন্ড পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। এটা অবশ্য লাইফ স্টাইলের উপরও অনেকটা নির্ভর করে করে। সাধারণত লন্ডনে খরচের পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে থাকে অন্যান্য সিটির তুলনায়। আবার লন্ডনে জব এন্ড আয়ের সুযোগও অনেক বেশি।

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলোঃ

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন

কিংস কলেজ লন্ডন

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়

গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়

নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়

ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়

ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়

নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়

সারি বিশ্ববিদ্যালয়

বাথ বিশ্ববিদ্যালয়

লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়

লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়

কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় বেলফাস্ট

এছাড়া যুক্তরাজ্যে আরও অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্টস অবশ্যই প্রয়োজনঃ

√ এসএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট  এবং মার্কশিট

√ এইচএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট  এবং মার্কশিট

√ দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার

√ IELTS পরীক্ষার রিপোর্ট (বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে স্কোর কমবেশি হতে পারে। তবে, ন্যূনতম 5.5 যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে লাগে)

√ একটি অফার লেটার প্রয়োজন পড়ে

√ স্বাস্থ্য বীমা এবং

√ ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট

যুক্তরাজ্যে স্কলারশিপঃ

যুক্তরাজ্যের সরকারি স্কলারশিপ —–

১. শেভেনিং স্কলারশিপঃ

এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সন্মানজনক স্কলারশিপ। সরকারি সংস্থাটিতে বিশ্বের ১৫০০ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার । অধিক মেধাবী শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির পরিচালক। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজেদের নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং নিজের পড়াশোনা সম্পর্কে সচেতন থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। এই স্কলারশিপটি আরও বহন করবে এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রীর খরচ যাতে যুক্তরাজ্যের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (যেগুলো সরকারের আওতাভুক্ত) শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ ওই শিক্ষার্থী পায়।

২. কমনওয়েলথ স্কলারশিপঃ

কমনওয়েলথ একটি সমৃদ্ধ প্রগ্রাম হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ এর সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। কমনওয়েলথ প্রায় ৫৩টি দেশের সমন্বয়ে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, যেসব দেশ ছিল একসময় বৃটিশ উপনিবেশ এখন তারা স্বতন্ত্র। এই দেশ গুলোর সহযোগিতায় কমনওয়েলথ ব্যাপক সংখ্যক মেধাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের এবং এই আর্থিক সহায়তা ছাড়া যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে পারে না তাদের জন্য এই বরাদ্দ। প্রার্থীদের তাদের পূর্ববর্তী একাডেমিক ফলাফল এবং তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়। এই বৃত্তির মধ্যে জীবনযাত্রার যাবতীয়  খরচাদি সহ টিউশন ফি,  বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভাতা রয়েছে।

যেসব ডিগ্রির জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তি প্রদান করা হয়ঃ

এক বছরের মাস্টার্স বা এর সমমানের ডিগ্রি। 

৩-৪ বছরের জন্য ডক্টরাল ডিগ্রি

৩. ইউরাক্সেস ইউ কে (Euraxess UK)

এটি ব্রিটিশ কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত একটি অনলাইন পোর্টাল যা গবেষকদের তাদের কর্মজীবন তৈরি করতে এবং বিভিন্ন দেশে যাওয়ার এবং বসতি স্থাপনের সুযোগ উপভোগ করতে সহায়তা করে।

Euraxess UK আন্তর্জাতিক গবেষকদের সহায়তা করে। যেসব অভিবাসীগণ যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে ইচ্ছুক এবং স্থানীয় গবেষক যারা যুক্তরাজ্য ছেড়ে অন্য দেশে যেতে চায়। ইউরাক্সেস ইউকে স্কলারশিপ সমস্ত স্তরে গবেষকদের সহায়তা প্রদান করে। 

৪. রয়্যাল সোসাইটি অনুদান

রয়্যাল সোসাইটি অনুদানটি অনেক সম্মান ও উপাধিসহ অবসরপ্রাপ্ত  বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিরাট অংশীদারত্ব বহন করে। এটি অনেক পুরনো হওয়া সত্ত্বেও আজও সক্রিয় এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার অবদান যার অনস্বীকার্য।

এছাড়াও আছে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি –

√ গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ

সারা বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বার্সারি প্রকল্প রয়েছে। গেটস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এই প্রোগ্রামের একটি অংশ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ-সময়ের স্নাতকোত্তর কোর্সে যোগদানের লক্ষ্যে সুচারুভাবে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই অনুদান সংস্থা । ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আপনি যে সমস্ত অধ্যয়ন খরচ বহনযোগ্য সেগুলোই পুরোটাই এই বৃত্তির আওতাভুক্ত থাকবে বলে ঘোষিত হয়। যেসব মেধাবীগণ MSc, MLitt, Ph.D., বা অন্য কোন এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে চান তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। 

√ রোডস হাউস বৃত্তিঃ

এটি মুলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে  অধ্যয়নের জন্য দেয়া হয়ে থাকে এবং  স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে। ৯৫ জন শিক্ষার্থীই কেবল এই ধরনের বৃত্তি পেয়ে ভাগ্যবানদের মত পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এটা পুরো ডিগ্রি নিতে যত খরচ তার সবটা বহন করার পাশাপাশি টিউশন ফি বহন করে। এছাড়াও এয়ার টিকিট রয়েছে ২টি, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য এবং অন্যটি স্কলারশিপের পর্যাপ্ত অর্থ শেষ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসার জন্য।  

√ এডিনবার্গ গ্লোবাল রিসার্চ স্কলারশিপ

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি করতে ইচ্ছুক মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য 30 জনকে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়। এই মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রি যা প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন। এই বৃত্তিটি শুধু  টিউশন ফি এর একটি অংশ পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। স্কলারশিপটির জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করার জন্য একটি অফার লেটার পেতে হবে যা কতৃপক্ষ প্রদান করবে।

√ ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ইউকে স্কলারশিপ

 যুক্তরাজ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্য পূরনের জন্য বিশ্বের বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত IELTS পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে নির্দিষ্ট নম্বর পেতে হয় এর পরেই কেবল তারা কিছু নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে।

যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা & Career Paths

যুক্তরাজ্যে (UK তে ) উচ্চশিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য Career Paths একটি বিশ্বস্ত নাম। বিগত ১৫ বছর ধরে Career Paths সফলতার সাথে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও গাইড লাইন দিয়ে আসছে।

যুক্তরাজ্যে যেতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের সঠিক আর্থিক তথ্য প্রদান, ইংরেজিতে দূর্বল হলে তাকে আইএলটিএস বা অন্যান্য পরীক্ষায় অংশগ্রহনের যোগ্য করে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা, ভিসা আবেদন পত্রের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শিক্ষার্থীর বিদেশ যাওয়া নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। যুক্তরাজ্য ছাড়াও Career Paths যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সুইডেন, রাশিয়া,জার্মান,চায়না,নরওয়ে, অস্ট্রেলীয়া, মালেয়শিয়া সহ প্রায় ২০ টিরও অধিক দেশের জন্য কাজ করে আসছে। আপনার উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে যাতে সফল কর্মজীবন শুরু করতে পারেন,সেক্ষেত্রে Career Paths সর্বদা সচেষ্ট।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://careerpaths.com.bd/student-visa-in-uk/





About Career Paths 2 Articles
উচ্চশিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য Career Paths একটি বিশ্বস্ত নাম। বিগত ১৫ বছর ধরে Career Paths সফলতার সাথে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও গাইড লাইন দিয়ে আসছে। বিদেশে যেতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের সুপরামর্শ দিয়ে বিদেশে যাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের স্বপ্ন সফল করতে আমরা সদা প্রত্যয়ী। মূলত,সঠিক আর্থিক তথ্য প্রদান, ইংরেজিতে দূর্বল হলে তাকে আইএলটিএস বা অন্যান্য পরীক্ষায় অংশগ্রহনের যোগ্য করে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা, ভিসা আবেদন পত্রের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একজন শিক্ষার্থীর বিদেশ যাওয়া নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। Career Paths যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, সুইডেন, রাশিয়া,জার্মান,চায়না,নরওয়ে, অস্ট্রেলীয়া, মালেয়শিয়া সহ প্রায় ২০ টিরও অধিক দেশের জন্য কাজ করে আসছে। আপনার উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে যাতে সফল কর্মজীবন শুরু করতে পারেন,সেক্ষেত্রে Career Paths সর্বদা সচেষ্ট।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*