মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে ব্যবহারকারীদের জন্য লাইকি’র #ল্যাঙ্গুয়েজডে২০২২ ক্যাম্পেইন চালু

একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে, লাইকি #ল্যাঙ্গুয়েজচ্যালেঞ্জ চালু করে, যেখানে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়। ক্যাম্পেইনটি চালু হওয়ার পর থেকে সর্বমোট তিনশ’রও বেশি পোস্ট আপলোড করা হয়, যেখানে ১ হাজার চারশ’রও বেশি ফলোয়ার সম্পৃক্ত হয় এবং ঐদিন এ হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জটি প্রায় চারলাখ ভিউয়ারশিপ অর্জন করে। ক্রিয়েটররা তাদের মাতৃভাষাসহ আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভাষা যে গুরুত্বপূর্ণ তা অনুধাবনের জন্যই এ ভাষাগুলো ব্যবহার করা হয়।

সাত বিলিয়নেরও বেশি মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করে, যাদের মাঝে ৫ হাজার থেকে সাত হাজার ভাষায় মানুষ যোগাযোগ করে থাকেন। খুব দ্রুতই পৃথিবীর বিশ্বায়ন ঘটছে এবং আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের ভাষায়ও একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণেই, আমাদের উপভাষাগুলো হুমকির মধ্যে পড়েছে। পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষদের অর্ধেকের বেশি বিশ্বের ভাষাগুলোর প্রায় ০.২ শতাংশ ভাষায় কথা বলে। এ কারণে ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন, আঞ্চলিক ভাষাগুলোর মধ্যে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ২১০০ সালের মধ্যে বিপন্ন বা হারিয়ে যাবে।

বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হলো বাংলাদেশ। বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে প্রায় ৫০টি ভিন্ন ভাষায় মানুষ কথা বলেন। দুঃখজনক বিষয় হলো, এ ভাষাগুলোর অনেকগুলো বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এ ভাষাগুলো দেশের জাতীয় সম্পদ এবং এগুলো রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের সবার দায়িত্ব।

আমরা বর্তমানে এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে বিশ্বের প্রতিটি অংশে সামাজিক মাধ্যম বিস্তৃতি লাভ করেছে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই ঘটুক না কেনো, এ প্ল্যাটফর্মগুলো অধিকাংশ সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আফসানা মিম ও ফিল্লু রাজা এর মতো ক্রিয়েটররা বিভিন্ন মজাদার ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন আঞ্চলিক উপভাষাগুলোর প্রবাদ ও কথা বার্তাকে তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ঢাকাইয়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা। এ ভিডিওগুলো তাদের ফ্যান ও দর্শকদের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলেছে এবং হ্যাশট্যাগ প্রদান করা ভিডিওগুলো তাদের কাছ থেকে অনেক গ্রহণযোগ্যতাও পায়।

এ ক্যাম্পেইন নিয়ে লাইকি’র একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল ও দর্শক কেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, লাইকি মার্কেটের গতিপ্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এ বিষয়টিকে ক্রিয়েটররাও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যে উপভাষাগুলো হারিয়ে গেছে, সে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে সবার সামনে এ অভিনব পন্থায় তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং সামনের দিনগুলোতে আমরা এ ধরনের আরো উদ্যোগ চালু করবো।’

লাইকি’র মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এ বিষয়গুলো ধারণ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা এমনটাই হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *