
সোমবার দিবাগত রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
থমকে আছে জনজীবন।টানা বৃষ্টিপাতে ফলে উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলে, বীজ তলা, ফসলের মাঠ,পুকুর,রাস্তা ঘাট ও বাড়ি আঙ্গিনা তলিয়ে গেছে। গত ২৬ মে ইয়াশের প্রভাবে বেঁড়িবাধ ভেঙে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয় পানি বন্ধী হয়ে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ।
বাঁধ মেরামত হলেও পানি সরতে না সরতেই টানা বৃষ্টি পানিতে ফের একাকার খাল, বিল, পুকুর ও রাস্তা ঘাট। টানা বৃষ্টিপাতের কারনে ভঙ্গুর বেঁড়িবাধ নিয়ে বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। যানবাহনের চালক গন পড়েছেন বিপাকে। দু’চারটি বের হলেও বেড়েছে ভাড়ার পরিমান, ফলে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ব্যবসায়ীরা ক্রেতার জন্য বসে থাকলেও মিলছে না তেমন ক্রেতা। অলস সময় পার করছেন রিকশা, ভ্যান ও অটো চালকরা। টানা বৃষ্টির ফলে কয়রা সদরের মেইন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে আশা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
কথা হলে বাজার করতে আসা মামুন, সবুজসহ কয়েকজন জানান, ড্রেনেজের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কয়রা সদরের সড়ক সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় আর সকলকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার পর ও রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ভাঙ্গা চোরা, খানা খন্দ হয়ে পড়ে আছে । টানা বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে দু’চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
ভ্যান চালক আফছার বলেন,বৃষ্টির কারনে রাস্তা ঘাটে মানুষ নেই। একমাত্র ভ্যান চালয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।মানুষ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন আফছার সহ এমন শত শত ভ্যান চালক। যাদের এক মাত্র আয়ের উৎস ভ্যান চালানো।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় (দুদিন) বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।সাথে সাথে উপকূলীয় অঞ্চলকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply