রম্য ছোটগল্পঃ এ কেমন রেস্টুরেন্ট!

সন্ধ্যা বেলা ৷ এক লোক তার অফিস শেষ করে সন্ধ্যার খাবার খেতে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট দেখে ভেতরে ঢুকলেন যেখানে তিনি আগে কখনো আসেননি। রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে ঢুকেই তিনি তিনটি দরজা দেখতে পেলেন।

১ম দরজায় লেখাঃ কোন পার্কিং নেই, ২য় দরজায় লেখাঃ গাড়ি পার্কিং করুন এবং ৩য় দরজায় লেখাঃ বাইক পার্কিং করুন।

তিনি কোন গাড়ি বা বাইক নিয়ে আসেনি তাই তিনি ১ম দরজায় ঢুকলেন।

১ম দরজায় ঢুকার পর তিনি আরও দুইটি দরজা দেখতে পেলেন। ১ম দরজায় লেখা সেনিটাইজ করে এসেছি এবং ২য় দরজায় লেখা এখন সেনিটাইজ করবেন। লোকটি ভাবল অফিসে,রাস্তায় কোনও জায়গাই তো সেনিটাইজড  করা হয়নি।এখান থেকে সেনিটাইজ করে তবেই খেতে যাব।

২য় দরজায় ঢুকার সাথে সাথে দুইজন লোক তাকে সেনিটাইজ করতে লাগলো। একজন লোক ঝাড়ু দিয়ে তার শরীর পরিষ্কার করছে এবং অন্যজন তার সমস্ত শরীরে সেনিটাইজার স্প্রে করছে। সেনিটাইজ প্রক্রিয়া শেষ এ তিনি ভিতরে তিনটি আলাদা দরজা দেখতে পেলেন।

১ম দরজায় লেখা: বাঙালি খাবার, ২য় দরজার লেখা: থাই খাবার এবং ৩য় দরজায় লেখা: চাইনিজ খাবার । লোকটি তার পছন্দ মতো চাইনিজ খাবার লেখা দরজা খুললেন। ভেতরে ঢুকে তিনি আরও তিনটি দরজা দেখলেন ।

১ম দরজায় লেখা: বসে খাবেন, ২য় দরজায় লেখা: বাড়িতে নিয়ে যাবেন এবং ৩য় দরজায় লেখাঃ বসে খাবেন এবং নিয়ে যাবেন, তিনি রেস্টুরেন্টে বসে খেতে চেয়েছিলেন তাই তিনি ১ম দরজায় ঢুকলেন। এবারও তিনি দুইটি দরজা পেলেন যার ১ম টিতে লেখা ছিল বুফে এবং ২য় টিতে লেখা ছিল ওয়েটার সার্ভিস লোকটি ভাবলো বুফেতে খেলে নিজের ইচ্ছে মতো খেতে পারবো । তাই লোকটি বুফে লেখা দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়লো । কারণ আবারও দুইটা দরজা।

কিন্তু এবার ১টি দরজাতে লেখা ছিল: বাকিতে খাবেন এবং অপরটিতে লেখা ছিল: নগদ টাকায় খাবেন । লোকটি কিছুটা খুশিমনে চিন্তা করলো বিনা পয়সায় যদি খাওয়াটা সেরেই নেয়া যায়, তবে এর চেয়ে বেশি লাভ আর কারই বা হবে । এই ভেবে লোকটি শেষ দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে গেলেন।

পরিশেষে লোকটি শেষ দরজা খুলে নিজেকে রাস্তায় আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি নিজেকে এই বলে সান্তনা দিলেন যেঃ ফ্রী তে খাবার না পাই, ফ্রী তে তো সেনিটাইজড হতে পেরেছি।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*