বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের ফল পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করতে পৃথক পৃথক ৩টি আইন সংশোধনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিল উত্থাপন করেন।
৩টি বিলের মধ্যে, ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, একদিনের মধ্যে এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল- ২০২১, দুইদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এইচএসসি ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই অপেক্ষা করছেন এবং আমাদের ফলাফল সব প্রস্তুতও আছে। কিন্তু যেহেতু আইনে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক ফলাফল দেবার বিষয়টি ছিল। এবার যেহেতু বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। আমরা বিকল্প একটি পদ্ধতিতে আগের দুটি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফলাফল দিতে যাচ্ছি। সে কারণে বর্তমান আইনটি সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। সে কারণে এটি আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিলটি মন্ত্রিপরিষদে আনার পর বলেছিলাম যেহেতু ১৮ তারিখ সংসদ শুরু হবে, তারপর দ্রুততার সঙ্গে উত্থাপনের চেষ্টা করবো। যেদিন সংসদ পাস করবে, যদি সংসদ পাস করে তারপর আমরা দ্রুততার সঙ্গে ফলাফল দেব। এটি অবশ্যই সংসদের এখতিয়ার। সংসদ কবে পাস করবে তার ওপর নিশ্চয়ই কথা বলবার এখতিয়ার নেই। সংসদের এখতিয়ারের ওপর কারো হাত দেবার সুযোগ নেই। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই দ্রুততার কথা এসেছে। এটি অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বোর্ডের সমস্ত পরীক্ষা এই আইনের অধীনেই হয়। পরে বিলটি পরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয় এবং একদিনের মধ্যে বিলের রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।
বিল ৩টির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনা জারি করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
Leave a Reply