বিএ ইন ইংলিশ পড়ার সুযোগ যখন আইইউবিএটিতে

এ যেন মানবসন্তানের জন্য প্রকৃত মানুষ ও মানবসম্পদ হয়ে ওঠার এক অরণ্য। একদিকে প্রকৃতির হাজার আয়োজন, অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শ্রেনীকক্ষ ও তার বাইরে পাঠদানের মধ্য দিয়ে দেশের যুবসমাজকে যুবশক্তিতে আর সম্পদে রুপান্তরের প্রাণান্তকর চেষ্টা। এসব বৈশিষ্ট্যই ঢাকার অদূরে অবস্থিত গ্রিন ক্যাম্পাস খ্যাত আইইউবিএটিকে দেশের অন্য সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনন্য পরিচিতি এনে দিয়েছে। ২৫ বছর ধরে সুনামের সাথে পথ চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সংযোজন ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। ইংরেজি বিভাগ চালু করার মধ্য দিয়ে আইইউবিএটি উৎকর্ষে আরও একটি মাত্রা যোগ করেছে। মানবিক শিক্ষার বীজ বপন করা এবং প্রয়োজনভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন ও একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই এই বিভাগ এর যাত্রা শুরু।

ইংরেজিতে দক্ষতা আছে কিন্তু চাকরি নেই, এমন ঘটনা বিরল। দেশে বা বিদেশে এমন একটি প্রতিষ্ঠানও খুঁজে পাওয়া যায় না যেখানে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন গ্র্যাজুয়েটের চাহিদা নেই। ইংরেজিতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্ব-মহিমায় কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর বৈচিত্র্যময় শ্রমবাজারে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতার কদর বলাই বাহুল্য। বাস্তবিক এই প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য কে এক সূতোয় গেঁথে শুরু হয়েছে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান। ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এই বিভাগ এক দিকে ইংরেজি ভাষায় লেখা, বলা ও পড়ার দক্ষতা তৈরি করে; অন্যদিকে সাহিত্যের নানা উপাদান (কবিতা, গল্প, উপন্যাস) এর রস আস্বাদন করিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ এর বিকাশ ঘটায় যা কিনা একজন শিক্ষার্থীকে মানবিক মানবসম্পদে পরিণত করে।

১. বৃত্তি

মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে গার্ডেন ক্যাম্পাস খ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি, মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৭টি বৃত্তি দেয়া হয়। অন্যান্য বৃত্তি সুবিধার পাশাপাশি ইংরেজি বিভাগ এর শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে অতিরিক্ত ৫% বৃত্তি।

২. শিক্ষা ঋণ

আইইউবিএটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যে শিক্ষা ঋণ দিয়ে থাকে। ‘যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চ শিক্ষার নিশ্চয়তা – প্রয়োজনে মেধাবী তবে অস্বচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন’ এই প্রত্যয়টি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আইইউবিএটি প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন পূরন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে, কর্মজীবনে প্রবেশ করেও তাদের শিক্ষার খরচ পরিশোধ করার সুবিধা পায়। এতে করে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা খরচের অভাবে থেমে থাকেনা। এই অনন্য এবং মানবিক সুবিধাটি চালু করেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য স্বপ্নদর্শী অধ্যাপক ডক্টর আলিমুল্লাহ মিয়ান। তিনি দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন করে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার মধ্যে দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কোন শিক্ষার্থীর জীবন যেন আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্যে থেমে না যায়, সে জন্যেই এই শিক্ষা ঋণ এর ব্যবস্থা।

সাশ্রয়ী খরচ – সাধ্যের মধ্যে উচ্চশিক্ষা

দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে ইংরেজি বিভাগের পড়াশোনার ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে যা সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পারবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আইইউবিএটি বৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা ঋণ প্রদানের মধ্যে দিয়ে সবার জন্যেই অধ্যয়নের সুযোগ নিশ্চিত করে থাকে তাই ব্যয়ভার কোন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় না। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস নির্ভর করে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল এর উপর।

আইইউবিএটিতে ইংরেজি কেন পড়বেন

ছয় একর জায়গা জুড়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস, সাধ্যের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি ও শিক্ষা ঋণ সুবিধা, অসংখ্য সহজলভ্য ডিজিটাল ও অনলাইন শিক্ষা উপাদান, দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান, বিশ্বের ১০১ টি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে শিক্ষা বিনিময় চুক্তি ,সুসজ্জিত শ্রেণীকক্ষ,বিনামুল্যে পরিবহন ব্যবস্থা,শিক্ষা বীমা,পেশাদার কাউন্সেলিং , ইংরেজিতে পাঠদান,শিক্ষার্থীদের পোশাক ও আচরণে পেশাদারিত্ব নিশ্চিতকরণ ছাড়াও রয়েছে মুডল (Moodle) লার্নিং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার
ইনডোর-আউটডোর স্পোর্টস

ইংলিশ লার্নিং সেন্টার

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার সময় একুশ শতকের স্নাতকদের মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতাকে সর্বাধিক কার্যকর দক্ষতার মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করে। তাই যেসব শিক্ষার্থী ইংরেজিতে বলা, লেখা, শোনা ও পড়ায় পারদর্শী, তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে অগ্রাধিকার পায়। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, অন্যান্য সাধারন ইংরেজি বিষয়ের পাশাপাশি, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিত ডিরেক্টর এডমিনিস্ট্রেশন-এর উদ্যোগে আইইউবিএটি ইংলিশ লার্নিং সেন্টার (ELC) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সেন্টারটির মাধ্যমে এখানে ইংরেজি ভাষার সকল স্কিলস এর উপর চর্চা করানো হয়। কেন্দ্রটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত রয়েছে । এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি “ভাষা-ল্যাবরেটরি”-র অভাব পূরন হয়েছে। সেন্টারটিতে রয়েছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যে একটি করে কম্পিউটার, শ্রবণ দক্ষতা চর্চার জন্যে সাউন্ড ডিভাইস, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম, ও ডিজিটাল শিক্ষা উপকরন। এখানে শিক্ষার্থীরা IELTS ও সমমানের দক্ষতা যাচাই মূল্যায়ন পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে থাকে।

শ্রম বাজার

আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার দরুন ইংরেজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, দূতাবাস ও বিদেশে চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি একটি অপরিহার্য ভাষা। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির চাহিদা সর্বজনস্বীকৃত। শিক্ষার্থীদের অনেকেরই অজানা যে ইংরেজিতে স্নাতকধারীদের জন্যে শ্রম বাজার কত বিশাল।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিস্থানে যেসব চাকরির সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

স্থানীয় শ্রম বাজার

শিক্ষকতা, বিশেষ করে সরকাররি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিসিএস ক্যাডার/বিসিএস নন-ক্যাডার ,প্রশাসনিক অফিসার ,পাবলিক রিলেশন অফিসার এবং জুনিয়র অফিসার (কর্পোরেট সেক্টরে)
,পাবলিক রিলেশন অফিসার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার এবং ফ্রন্ট-ডেস্ক অফিসার (বিদেশী দূতাবাসগুলিতে),পাবলিক রিলেশন অফিসার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ও জুনিয়র অফিসার (সরকারি/আধা-সরকারি অফিস)
,স্ক্রিপ্ট-লেখক, কন্টেন্ট ডেভেলাপার, কনসেপ্ট জেনারেটর, ডায়ালগ রাইটার ও সম্পাদক (বিজ্ঞাপন জগত),রিপোর্টার, লেখক এবং উপ-সম্পাদক (প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া), ফ্রিল্যান্সিং (আউটসোর্সিং) লেখক ,লেখক এবং উপ-সম্পাদক (প্রকাশনা সংস্থা)

সিলেবাস

শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করবে তা মুলত বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ সাধারন শিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যক্রম, যেমন ইতিহাস, মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি, মূল কোর্স (ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক যেমন ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য, ভাষাবিজ্ঞানের পরিচিতি, ডিসকোর্স এনালাইসিস ইত্যাদি; ও ঐচ্ছিক বিষয়, যেমন বাংলা সাহিত্য। শিক্ষার্থীদের প্রথম সেমিস্টারেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার, এডুকেশনাল প্লানিং ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ের সাথে যা তাদের পরবর্তী সেমিস্টারের পড়াশোনার ভিত্তি গড়ে দেয়। পরবর্তী সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের উপর প্রাথমিক পরিচিতি লাভ করে যাতে কিনা তারা তৃতীয় ও পরবর্তী সেমিস্টারগুলোতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের নানা কোর্সসমূহে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহন করতে পারে। এই কোর্সগুলি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলভাবে সাহিত্যকর্মগুলিকে বিশ্লেষণ করতে এবং ভাষাগত তত্ত্ব এবং নীতিগুলি বুঝতে সক্ষম করে তোলে। ইংরেজি ভাষার যেসব বিষয় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে তার মধ্যে আছে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরাজী, ইংলিশ ফর স্পেসিফিক পারপাস, ধ্বনিবিদ্যা এবং শব্দবিজ্ঞান, সিনট্যাক্স, শব্দার্থবিজ্ঞান, ব্যবহারিক তত্ত্ব, বক্তৃতা বিশ্লেষণ, স্টাইলিস্টিক্স। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের সাহিত্য পাঠ এবং এদের গভীরতা উপলব্ধি করার মাধ্যমে তাদের সমালোচনামূলক ব্যাখ্যা করার দক্ষতা অর্জন করবে। সাহিত্যের পাঠ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কবিতা, নাটক, উপন্যাস এবং ছোট গল্প। প্রোগ্রামের শেষ বর্ষে তারা যেসব বিষয় অধ্যয়ন করবে তার মধ্যে আছে তুলনামূলক সাহিত্য, উত্তর-ঔপনিবেশিক সাহিত্য, বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য, সিলেবাস ডিজাইন এবং মেটেরিয়াল ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চ মেথডোলজি। শিক্ষার্থীদের ভাষা ও সাহিত্যের নানাবিধ শাখা প্রশাখা সমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে দক্ষ করে তোলাই এই বিষয়গুলো পাঠদানের উদ্দেশ্য।

ব্যাচেলর ইন ইংলিশ একটি চার বছর মেয়াদী স্নাতক প্রোগ্রাম যা বারোটি সেমিস্টারে বিভক্ত। এই প্রোগ্রামের মোট ক্রেডিট সংখ্যা ১২৯। মোট ৪২টি কোর্স চারটি ভাগে সজ্জিত আছে – সাধারন শিক্ষা কোর্স, ফলিত ভাষাতত্ত্ব ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষন (ELT), ইংরেজি সাহিত্য ও গবেষণা কোর্স (থিসিসসহ)। ভর্তিচ্ছুরা তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপরে টিউশন ফি থেকে ছাড় পেয়ে থাকে এবং প্রোগ্রাম চলাকালে সেমিস্টারের রেজাল্টের উপরেও বৃত্তি পেয়ে থাকে। তাই এদিক থেকে বলা যায় এখানে পড়াশোনার খরচ হাতের নাগালেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জায়গা – এমন ধারনা ভেঙে দিতেই আইউবিএটি-তে সমাজের সব শ্রেণীর পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি গর্বিত অর্জন। এর পেছনে মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে আইইউবিএটি-র অনন্য শিক্ষাঋণের প্রচলন।

গবেষণার হাতেখড়িঃ

যে দেশে গবেষণা নেই, সে দেশ অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি উন্নত হতে পারে না। তাকে নির্ভর করতে হয় উন্নত দেশগুলোর অনুগ্রহের উপর। আইইউবিএটি বাস্তব এই সত্যটি উপলব্ধি করে। তাই গবেষণার পৃষ্ঠপোষকতা করার লক্ষ্য নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে ডঃ আলিমুল্লাহ মিয়ান রিসার্চ সেন্টার। ইংরেজি বিভাগ ও এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে থাকে। গবেষণা কর্মের মাধ্যমে বিভাগের প্রতিটি সদস্যকে সৃষ্টিশীল ও বহুমাত্রিকভাবে গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নিষ্ঠার সাথে বিভাগের প্রতিটি শিক্ষক কাজ করে যাচ্ছেন। গবেষণা উচ্চশিক্ষার সুযোগকে বিস্তৃত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের কর্মবাজারেও সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। গবেষনাই হতে পারে কারো কারো চাকরি।

ইংলিশ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়কেই ইংরেজি সাহিত্য এবং ফলিত ভাষাতত্ত্ব এবং ইএলটি-র বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত গবেষণা পরিচালনা করতে উত্সাহ দেয়। শিক্ষার্থীরা যাতে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে প্রায়োগিক ও তাত্ত্বিক গবেষণা পরিচালনায় সক্ষম হতে পারে সেজন্যে ইংরেজি বিভাগ তাদের গবেষণার ভিত্তি তৈরি করে দেয়। শিক্ষার্থীরা যাতে নিজ নিজ গবেষণার ক্ষেত্রটি সনাক্ত করতে পারে এবং উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলিতে গবেষণা পরিচালনা করতে পারে, সেজন্যে তাদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। ফলিত ভাষাবিজ্ঞান এবং ইএলটি গবেষণা একবিংশ শতাব্দীর ইংরেজি শিক্ষার নানামুখী চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান নির্দেশ করে। অন্যদিকে, সাহিত্যে গবেষণা এমন রহস্যময় দিগন্ত উন্মোচন করে যেখানে সাহিত্যের অধ্যয়ন ছাড়া কেউ কখনও পৌঁছতে পারে না। ইংরেজি সাহিত্যের গভীরতর অধ্যয়ন এবং তাদের বিশ্লেষণ অনুপ্রেরণা দেয় এবং সৃজনশীলতার জগত উন্মুক্ত করে। তাই ইংরেজি বিভাগ গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। শিক্ষকদের উৎসাহ দেওয়া হয় যাতে তারা গবেষণা প্রস্তাবনা জমা দেন। উন্নত গবেষণা প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় তহবিল, দিকনির্দেশনা এবং অন্যান্য সহায়তা করা হয়। শিক্ষার্থীরা পুরো গ্র্যাজুয়েশনে বিভিন্ন কোর্সে ছোট আকারের গবেষণা কর্ম সম্পাদন করে থাকে। তাছাড়া, থিসিস কোর্স এর আওতায় শিক্ষার্থীদের তাদের বিস্তৃত গবেষণা কাজের উপর ভিত্তি করে একটি থিসিস পেপার জমা দিতে হয়। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত গবেষণা কাজের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সৃষ্টিতে জড়িত করার লক্ষ্যে রাখি যাতে তারা একাডেমিয়ার গবেষণার তাত্পর্যটি সনাক্ত করতে পারে। শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যেও আইইউবিএটি কর্তৃপক্ষ গবেষণা তহবিল এবং অন্যান্য সুবিধা সরবরাহ করে।

এছাড়াও ইংরেজি বিভাগ নিয়মিত গবেষণা সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করে থাকে যেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান বিতরণ করেন নিঃশঙ্ক চিত্তে।

শিক্ষক

এই বিভাগ এ রয়েছে নবীণ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের এক মিলনমেলা, একদিকে যেমন রয়েছেন তরুন উৎসাহী শিক্ষক, অন্যদিকে রয়েছেন অভিজ্ঞতার ডালিসমৃদ্ধ অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদরাও । তরুনরা যেমন পরিচিত করিয়ে দেয় ইংরেজি শিক্ষায় নতুন প্রযুক্তির ব্যাবহারের সাথে; তেমনি অভিজ্ঞরা দেখান কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যেমন আছেন শিক্ষক হিসেবে, তেমনি আছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত স্কলাররা। নবিন-প্রবীন আর দেশ-বিদেশের উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা বিভাগে এনেছেন বহুমাত্রিকতা।

উপদেষ্টা পরিষদ

এই বিভাগ ৩ জন পরামর্শক এর তত্তাবধানে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদের মধ্যে দুজন এই বিভাগ এর কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, মূল্যায়ন ও পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম (পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, পাঠদান, মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষন ইত্যাদি) পরিচালনার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন এবং কঠোরভাবে এসবের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করেন। আর এভাবেই তারা ইংরেজি বিভাগ কে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করেন।

১. ড. বিজয় লাল বসু
সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এম এ, অ্যাপ্লায়েড লিঙ্গুইস্টিক্স ও ইএলটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
এম এ, টেসল, ইউসিএল ইনস্টিটিউশন অব এডুকেশন
পি এইচ ডি, ল্যাঙ্গুয়েজ, ডিসকোর্স এন্ড কমিউনিকেশন, কিংস কলেজ, লন্ডন।

২. ড. অধ্যাপক ডরি লরুর
প্রফেসর , ইউনিভার্সিটি ইন টি সাউথ, লিসুস, শ্রেভেপোর্ট
এম এ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং এন্ড মার্কিন লিটারেচার, লুইসিয়ানা ইউনিভার্সিটি

৩. সুমিতা রায়
প্রফেসর, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি
ব্যাচেলর অফ সাইন্স, নিজাম কলেজ, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি
মাস্টার অফ আর্টস, আর্টস. কলেজ, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি

নতুন বিভাগ হলেও অভিজ্ঞতার কমতি নেই এই বিভাগের। এর শিক্ষকরা দেশের নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানোর মধ্যে দিয়ে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তা এই বিভাগের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষকতায় যুক্ত এক ঝাঁক অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। সাথে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দেওয়া নানান সুবিধা, আধুনিক পাঠক্রম ও অভিজ্ঞ উপদেষ্টা পরিষদ। এই বিভাগের লক্ষ্য ইংরেজিতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একদল তরুন সৈনিক গড়ে তোলা যারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখবে। যেসব শিক্ষার্থী ইংরেজিতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান, তাদের জন্যে আইএউবিএটি-এর ইংরেজি বিভাগ হতে পারে আদর্শ বিচরণক্ষেত্র।

লেখক

মোঃ ফরহাদ হোসেন

সহকারী অধ্যাপক

ইংরেজি বিভাগ, আইইউবিএটি





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*