‘শীতার্তদের জন্য উষ্ণতা’ এই প্রতিপাদ্যকে উপলক্ষ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে চাইন্ড ফাউন্ডেশন। সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ৫০০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের মাঝে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিতরণ কার্যক্রম,যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ কাজে সহযোগিতা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চাইল্ড ফাউন্ডেশন জানায়, বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ আর শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিম্ন আয়ের জনগণ অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতের সময় করোনাভাইরাসের আরেক দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য নানা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে, যা যথেষ্ট নয়। তাই বেসরকারি উদ্যোগে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু চাইল্ড ফাউন্ডেশন কাজ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষষের জন্য, তাই বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরা জেলাকে বাছাই করা হয় উপহার বিতরণের স্থান হিসেবে। এক মাস ধরে অনুদান সংগ্রহ করা হয় দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ৫০০টি কম্বল কেনা হয় বিতরণের উদ্দেশ্যে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়,ইতোমধ্যেই তালা, ডুমুরিয়া, তেতুলিয়া, মাগুরা, দেবহাটা এবং কলরোয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত লোক সমাগমের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে ৩৫০টি কম্বল। বাকি ১৫০টি কম্বল বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলাফেরায় অক্ষম মানুষদের মাঝে বিতরণ হবে।
চাইল্ড ফাউন্ডেশনের গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান তানভীর এস. সিদ্দিকী জানান বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী হচ্ছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরা, যাদের আমরা সাধারণত প্রতিবন্ধী বলে থাকি। এই মানুষগুলোর কথা কেউ ভাবেও না, বলেও না। তাদের সকল দুঃখ তাদের একার। তাই তাদের পাশে সবসময়ই আছে এবং থাকবে চাইল্ড ফাউন্ডেশন। শীতার্ত দরিদ্র এবং অবহেলিত এই মানুষদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একসঙ্গে আমরা সাহায্য করতে পারছি না। একারণে বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র একটি অঞ্চলকে বেছে নিয়েছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা যতটুকু পেরেছি, তাদের জন্য করার চেষ্টা করেছি। যাতে অন্যরাও যে যার জায়গা থেকে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
Leave a Reply