করোনাকালীন অনলাইনে ক্লাস নিতে সম্মত হয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তবে অনলাইনে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে উপাচার্যরা অনলাইন ক্লাস গ্রহণে বেশকিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। তারা জানান, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ নেই। ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোনেও শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে পারেন। তবে সব শিক্ষার্থীর স্মার্টফোনও নেই। গ্রামাঞ্চল এবং দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেটের গতি খুব কম, সব স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। ইন্টারনেট দামও কম নয়,যা সব শিক্ষার্থীর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। আর সব শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে অভ্যস্ত নন।
উপাচার্যরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাব করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্পেশাল ইন্টারনেট প্যাকেজ’ এর ব্যবস্থা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের আইসিটি সেল থেকে শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিবেন। শিক্ষকরা জুম বা গুগল ক্লাসরুম অ্যাপসের মাধ্যমে ক্লাস নিবেন। এছাড়া ইউজিসির বিডিরেন প্রকল্প থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহায়তা করা হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকালে শিক্ষায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়াা যায় সে জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আমরা একমত হয়েছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিগগিরই অনলাইনে ক্লাস শুরু করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের বিশেষ প্যাকেজ দরকার। এজন্য একবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আবারও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
Leave a Reply