সমাজে অনেক পরিবার রয়েছে যে পরিবারগুলো তাদের কন্যা সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ছক আঁকতে থাকে। মূলত, কোন ফ্যামিলির কোন ছেলে কি রকম, ছেলের সাথে নিজের মেয়েকে যায় কি না, মানায় কিনা এমন কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকে, ছক আঁকতে থাকে। তাদের ভাবনায় উঠতি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত ছেলেই উঠে আসে। ভাবনার একপর্যায়ে সম্পর্কের জের ধরে কিছু ছেলে ঢুকে পড়ে পরিবারের গণ্ডিতে – কথিত জামাই সেজে। নরম গলার শান্ত মেয়েটিও ভাবতে শুরু করে কথিত জামাই নিয়ে। শেষ পর্যন্ত নাম কথার কথিত জামাই – বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামাই হয়ে উঠে না।
সমাজের এমন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ‘কেউ কথা রাখে নি কেউ কথা রাখে না’ উপন্যাসটি ইঙ্গিত দিয়েছে।
“স্বামী সংসার বড় নাকি ভালোবাসার মায়াজালে আঁকটে পড়া মোহ বড়?
আসলেই কি ভালোবাসা ধর্মের ঊর্ধ্বে?”
স্ত্রীকে ঘরের কাজে সহায়তা করা পুরুষকে এই সমাজ কিভাবে নেবে?-
এমন নানাবিধ প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাবে অলংকৃত হয়েছে ‘কেউ কথা রাখে নি কেউ কথা রাখে না’ উপন্যাসটি।
মোটকথা, চলমান সমাজের প্রেম কিংবা কথিত পরকীয়া , সংঘাত, ত্যাগ-তিতিক্ষা, বিরহ-বেদনা এবং যাপিত জীবনের ভেতরকার ছলচাতুরী ও রাজনীতি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই উপন্যাসটিতে।
উপন্যাসঃ কেউ কথা রাখে নি কেউ কথা রাখে না
লেখকঃ দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু
প্রকাশকঃ শ্রাবণী আক্তার মুক্তা
প্রকাশনাঃ আনন্দম
স্টল নংঃ ৬৯৭
মূল্যঃ ১৩৫ টাকা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০, বাংলা একাডেমি বইমেলা ঢাকা, বাংলাদেশ।
Leave a Reply