বাংলাদেশের লেবার ফোর্স সার্ভে (২০১৬-১৭) অনুসারে দেশে কর্মসংস্থান নেই মাত্র ৪.২ শতাংশ লোকের। যুবক কর্মসংস্থানহীনের হার হচ্ছে মাত্র ১০.৬ শতাংশ। মোট কর্মসংস্থানহীনের মধ্যে ৭৯.৬ শতাংশ হচ্ছে যুবক-যুবতী (উৎস: বিবিএস)। এদিকে একই উৎস অনুযায়ী দেখা যায়, প্রায় ৪৬% কর্মসংস্থানহীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত যুবসমাজ। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার এ চার সিজিপিএ পাওয়ার পর দরখাস্ত পেয়েও ভাল প্রতিষ্ঠানসমূহ ডাকে না। বেসরকারী খাতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে বেতন-ভাতাদি দেয়া হয় না।
আমাদের দেশের শিল্প ক্ষেত্রে মালিকরা দেশী যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য যোগ্য তাদের চাকরি না দিয়ে শ্রীলঙ্কান-ভারতীয়-পাকিস্তানী-নেপালী-কোরিয়ানদের চাকরি দিচ্ছে। এমনকি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবৈধ পন্থায় বিদেশীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আমাদের দেশের যোগ্য কর্মপ্রত্যাশী যুবক-যুবতীদের বঞ্চিত করছে। তারা বৈধ-অবৈধ পন্থায় অর্থ পাচার করছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির অর্গানোগ্রাম থাকে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, যে সমস্ত বাংলাদেশী চাকরি পাচ্ছে তাদের একটি বড় অংশের ওপরে ওঠার পথও সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশী শিল্প উদ্যোক্তারা প্রায়ই দোহাই দেন আমাদের দেশের স্থানীয় শ্রমিকদের নাকি কারিগরি ও ব্যবস্থাপনাগত কলাকৌশল পর্যাপ্ত নেই, যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমার্থক হিসেবে কাজ করতে পারে। যেখানে প্রতিবছর দেশে ত্রিশ লাখ যুবক-যুবতী চাকরিপ্রত্যাশী কর্মসংস্থানের অপেক্ষায় থাকে, তার মধ্যে সেখানে মাত্র পঞ্চাশ হাজারের মতো কর্মসংস্থানের অধিকারী হয়।
এদিকে নারী শ্রমিকদের, বিশেষত পোশাক খাতে কর্মরতদের অনেকেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খেয়ে নিতে অক্ষম। অনেক আগেই গবেষণা করে বলেছিলাম, বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির উচিত হচ্ছে পোশাক খাতে কর্মরতদের জন্য শিফটিং ভিত্তিতে তারা যে যতটুকু শিক্ষিত, পোশাক কারখানার পাশাপাশি তাদের শিক্ষিত করার ব্যবস্থা নেয়া হোক। দুর্ভাগ্য হলো সময় থাকতে উপরোক্ত গবেষণালব্ধ ফলাফল বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বস্তুত কোনভাবে দিন গুজরান করে আর গুণকীর্তন করে স্বীয় কার্য উদ্ধারে এরা বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনসূচীতে পরিবর্তন আনা দরকার। যদি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের মধ্যে যারা স্বল্প শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত তাদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেত তবে আজ নারী শ্রমিকেরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রথম দিকেই চাকরিতে খাপ খেতে না পেরে ঝরে যেত না। এদিকে কর্মসংস্থান করতে হলে শিল্প-কলকারখানাভিত্তিক চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে শিক্ষা প্রদান করা উচিত। শতাধিকের বেশি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক হচ্ছেন কোন না কোনভাবে শিল্প-কলকারখানার সঙ্গে জড়িত। অথচ এক/দুটি সাধারণ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোথাও বিশেষায়িত প্রকৌশল, চিকিৎসা এবং কৃষি ছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। এমনকি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উদ্যোক্তা অর্থনীতি শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বদ্ধপরিকর। কিন্তু উদ্যোক্তা তৈরিতে যারা গিফটেড জিনিয়াস, তারা ছাড়া শিক্ষার মাধ্যমে নিজের ভেতরের সুকুমার বৃত্তি, উদ্ভাবনী শক্তি, ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা করা দরকার।
কোন ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে গিয়ে উচ্চ ডিগ্রী নেয়ার চেয়ে দেশে ভাল কিছু করে দেশের উন্নয়নকল্পে স্ব-অবস্থানকে আমি বেশি সম্মান করি। আমি এক জায়গায় এলামনাই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা ভাল অবস্থানে চাকরি করে প্রমোশন পেয়েছে, নতুন উদ্ভাবন করেছে কিংবা নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছে তাদের সচিত্র সংবাদ দিলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বরং যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে তাদের সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। কি বিচিত্র দেশ হে সেলুকাস! নিজের ধরণীকে ভালবেসে কেউ কাজ করলে সম্মান জানানো হয় না। বরং বিদেশী কুকুরও আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ঔপনিবেশিক শাসনামলে থাকায়, ইংরেজ ও পাকিস্তানীদের আজ্ঞাবহ থাকায় স্বাধীন চিন্তা-চেতনার বদলে বরং আজ্ঞাবাহী হয়ে চলাই যেন অনেকটা বাঞ্ছনীয়। এজন্যই বোধ হয় শরৎচন্দ্র শ্রীকান্ত উপন্যাসে দেশী শ্রমজীবীদের ওপর ইংরেজদের শোষণের প্রতিবাদ করলে দেশী শ্রমজীবীরা একযোগে সাহেবের পক্ষ নিয়ে শ্রীকান্তকে একপ্রস্থ কথা শোনাতে বাধেনি। আসলে উদ্যোক্তা উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও এর সদ্ব্যবহার করতে কেউ চায় না। বরং নিজেদের সুবিধাটুকু নিয়ে সুখী থাকে। এদিকে একটি সার্ভেতে দেখা যায় যে, দেশে সত্যিকার অর্থে কর্মক্ষম পোশাক কারখানা হচ্ছে ৩,৫৯৬টি। ২০১৮তে প্রকাশিত সার্ভেতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.৮% এবং ৩৯.২% পুরুষ। মোট শ্রমিকের সংখ্যাও কমে হয়েছে ৩৫ লাখ। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে রফতানি ০.১% হ্রাস পেয়েছে এবং ভিয়েতনাম নতুনভাবে বাজারে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্টেটিসটিক্যাল রিভিউ ২০১৯ অনুসারে বিশ্ব এ্যাপেরাল বাজার হচ্ছে মার্কিন ডলার ৪২১ বিলিয়ন, যেখানে বাংলাদেশের আয় হচ্ছে ২০১৮তে মার্কিন ডলার ৩২ বিলিয়ন। এদিকে ভিয়েতনাম ০.৩% পয়েন্ট পর্যন্ত হ্রাসে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের আরও জ্ঞানগরিমা এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং এক্ষেত্রে যেহেতু শ্রম উদ্বৃত দেশ, সেটি বিবেচনায় রেখে এগুতে হবে। রফতানি বহুধাবিভক্তকরণের কাজটি করতে হবে।একটি দেশের অর্থনীতিতে হঠাৎ করে সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে। পেঁয়াজের সঙ্কটের ক্ষেত্রে ২০১৭ সালে চিভেস-১ আবিষ্কার করেছিল, যা পেঁয়াজ-রসুনের বিকল্প। এক্ষেত্রে দেশী উদ্যোক্তাদের উচিত ছিল কৃত্রিম পেঁয়াজের সঙ্কটের আমলে চিভেস-১ উৎপাদন বাজারজাতকরণ এবং মানুষের মধ্যে পণ্যটির ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগিতা ছড়িয়ে দেয়া। দরকার ছিল। চিভেস-১ সঙ্কটকালীন সময়ে যদি ভাল করে ব্যবহার উপযোগী করা যায় এবং এর ব্যবহার উপযোগিতা ক্রেতাদের জ্ঞাত করা যায়, তবে তা সময়ের বিবর্তনে প্রয়োজনের নিরিখে সংহতিনাশক নতুনত্ব (ডেসরাপটিভ ইনোভেশন) নিয়ে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারত। কেননা আমাদের দেশে যখনই কোন পণ্য নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তখনই বিকল্প পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর তাই উদ্যোক্তারা চিভেস-১ কেবল চাষ নয়, বরং এটির উৎপাদন ও ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং গৃহিণীদের লক্ষ্য করে বিপণনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কখনও কোন আবিষ্কার দীর্ঘকাল ধরে ফেলে রাখলে তা আখেরে দেশের জন্য তেমন লাভ হয় না। সেজন্য যখন কোন আবিষ্কার হয়, তা উদ্যোগ গ্রহণ করে তদনুযায়ী বাস্তবায়ন এবং জীববৈচিত্র্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতা, আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন দরকার। এজন্য চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব এন্ট্রি প্রিউনিউরিয়াল ইকোনমিক্স প্রোগ্রাম দেশের স্বার্থে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চালু হয়ে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সকলেই বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়ার, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট নন। আর তাই আমাদের দেশে উদ্যোক্তা শিক্ষার প্রসার ও বাস্তবায়ন করা দরকার। বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানি উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নানাবিধ শর্ট কোর্স গ্রহণ করেছে। এমনকি আইএলও মাস্টার ট্রেনার তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। স্বল্প সময়ে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তা শিক্ষা স্বল্পকালীন সময়ে সম্ভব নয়। বরং অর্ধেক বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ, যা কৃষি-শিল্প-কলকারখানা এবং ডিজিটাল ইকোনমি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবভিত্তিক জ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্সসহ নানাবিধ জ্ঞানের প্রসার ঘটানো দরকার। যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী সংস্থার হিসেব অনুসারে চারটি মূল স্তম্ভের ওপর উদ্যোক্তার শিক্ষা দাঁড়িয়ে আছে : উদ্যোক্তার মনস্তত্ত্ব; উদ্যোক্তার কার্যকারিতা; উদ্যোক্তার সামর্থ্য এবং উদ্যোক্তার সচেতন বিষয়সমূহ জড়িত। আমি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ছিলাম। সেটির সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যসমূহ পড়াতে লাগলাম, যেখানে দেশে উদ্যোক্তা তৈরিকরণে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা বিভিন্ন সময় দেখতে পেলাম। তার বক্তব্যসমূহ বিশ্লেষণ করে, মেইনস্ট্রিম ইকোনমিক্সের থাকা সত্ত্বেও উদ্যোক্তা ব্যবস্থাপনায় একটি বাড়তি পোস্ট ডক্টরেট করতে নারিসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থাইল্যান্ডে গেলাম। যখন ডিনের সঙ্গে সুপারভাইজারসহ আলাপ করলাম, আমার একটি কথাই ছিল- দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের বিকল্প হিসেবে উদ্যোক্তা তৈরি করতে চান। আর সেটি আমার অবস্থানে থেকে কাজ করার জন্য উদ্যোক্তা ব্যবস্থাপনায় পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী করে নিজে অতীত বিষয়ের সঙ্গে মাঠে-ঘাটে ব্যবহারিকের সঙ্গে তাত্ত্বিকের মেলবন্ধন ঘটাতে সচেষ্ট হই। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ স্যারের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট, চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব এন্ট্রিপ্রিউনিউরিয়াল ইকোনমিক্স এবং দেড় বছর মেয়াদী মাস্টার্স অব এন্ট্রিপ্রিউনিউরশিপ ইকোনমিক্স চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাস্তবজীবনে যারা পাস করে গেছে, তারা উদ্যোক্তা হিসেবে সামর্থ্যরে পরিচয় দিয়েছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় যে, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ইকোনমিক ইনকিউবেটর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে প্রতিষ্ঠা করতে চান। আসলে জ্ঞানের সঙ্গে তত্ত্বের মেলবন্ধন করতে গিয়ে গত তিন বছরে এমনভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা হচ্ছে, যারা দেশকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে চলেছে। একটি উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব গঠন করা হয়েছে। এজন্য দু’বার এলিভেটর পিচ, দুটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন, রাঙ্গাসিট বিশ্ববিদ্যালয় থাইল্যান্ড এবং মুর্শিদাবাদ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে দু’দিন করে ফিল্ড ট্রিপ; নিয়মিতভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্সসহ নানাবিধ সমসাময়িক অথচ উদ্যোক্তার মনস্তত্ত্ব গঠনে সহায়তা করে, এমন বিষয়ের ওপর নিয়মিত সেমিনারÑসিম্পোজিয়াম, বিদেশ থেকে এদেশে আশা উদ্যোক্তা বিশেষজ্ঞদের বিনা পারিশ্রমিকে প্রশিক্ষণ দেয়া দেশী শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরিকরণে যথেষ্ট সাহায্য করছে। ব্যবসায় সহায়ক পরিবেশ সহজ করার ক্ষেত্রে যে দশটি উপকরণ আছে সেগুলো হচ্ছেÑ একটি ব্যবসা সহজ করা, কনস্ট্রাকশন পারমিট নিয়ে ডিল করা, ব্যবসার জন্য বিদ্যুত পাওয়া, সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা, ব্যবসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থসংরক্ষণ, কর প্রদান করা, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা, অর্থ শূন্যতার পুনর্সমাধান। এই বিষয়গুলোর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ, কার্যকারিতা ও দক্ষতা বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে বেসরকারী খাতকে আস্থা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য শর্টকাট কোন পন্থা নেই
। মনস্তাত্ত্বিকভাবে উদ্যোক্তাকে এগিয়ে নিতে হলে ত্যাগী ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দরকার। এদেশে ইদানীং ব্যাগ টানা কিংবা বাজার করা শিক্ষক, তৃতীয় শ্রেণী পাওয়া শিক্ষক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে আখেরে যে কোন সাধু উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। যেখানে টেনে-হিঁচড়ে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে নিচে নামাতে চায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরাই তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ছাত্র রাজনীতি করে বিভিন্ন অঘটন ঘটায়। সেসব ক্ষেত্রে দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। ছাত্র রাজনীতি হবে কল্যাণের তরে, যা তাদের ন্যায়ের পথে উদ্বুদ্ধ করে।
Leave a Reply