আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আগেই বলে রাখি আজকের লেখা নতুনদের জন্য। যারা এস ই ও সম্পর্কে জানেন তাদের এই লেখাটি না পড়লেও চলবে, তবে পড়লে ক্ষতি নেই। বলাতো যায় না নতুন কিছু পেয়েও যেতে পারেন।
যাই হোক, এস ই ও কি আর এটি কি কাজে লাগে আমার মনে হয় সবাই সেটা জানে। তবুও বলার তাগিদে কিছু কথা হয়তো বলতে হবে। আজকের এই লেখায় সহজ ভাষায় এস ই ও, সার্চ ইঞ্জিন ও এলগারিদম নিয়ে কথা বলব। হয়তো অনেকেই কঠিন ভাষায় শুনে অভ্যস্ত। আমার কাছে যেভাবে সহজ মনে হয় ঠিক সেভাবেই বলার চেষ্টা করবো। চলুন শুরু করা যাক।
এস ই ও কি?
এস ই ও এর ইলাবরেশন হলো, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। হয়তো বলবেন এটা সবাই জানে। তবুও বলছি দেখেন আলাদা স্বাদ পান কিনা। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মানে হলো, কোন কিছুকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ বা পরিপাটি করা যা সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করে। যেমন ধরেন, স্কুলে যেতে হলে ইউনিফর্ম পড়তে হবে, তা না হলে কিন্তু ভালো স্কুল গুলোতে ঢুকতে দেবে না। শুধু ইউনিফর্ম পড়লেই হবে না। ক্লাশে নিয়মিত পড়া পাড়তে হবে, পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো করতে হবে। স্কুলের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আমার মনে হয় একটা ভালো স্কুলের জন্য সবগুলোই আপনাকে মেনে চলতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অপটিমাইজেশনও হলো তেমন একটা জিনিস। অর্থাৎ আপনাকে অপটিমাইজেশন শিখতে হবে। যাকে আমরা সবাই এস ই ও নামে চিনে থাকি। তার মানে আমরা বলতে পারি, এস ই ও হলো, সার্চ ইঞ্জিনের সাথে একটি সম্পর্ক।
সার্চ ইঞ্জিন কি?
সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি শক্তিশালী ডাটাবেজ, যার কাছে কোটি কোটি তথ্য থাকে। আর সেই তথ্য গুলো চাহিবা মাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকে। যেমন ধরুন, আপনার কোন কিছু জানতে ইচ্ছে করছে “যেমন- “ঢাকা শহরের ভালো স্কুলের তালিকা”। তাহলে আপনি কি করেন? প্রথমে আপনার আশে পাশের মানুষদের প্রশ্ন করেন, তা না হলে গুগলে গিয়ে সার্চ দেন “ঢাকা শহরের ভালো স্কুলের তালিকা”। গুগল তখন সেকেন্ডেরও কম সময়ের ভিতর হাজার হাজার তথ্য আপনার সামনে নিয়ে আসে। এই গুগলটাই হলো সার্চ ইঞ্জিন। শুধু গুগল নয়, এভাবে আরো অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আমরা গুগল ব্যবহারে অভ্যস্ত বিধায় গুগলকেই সাধারনত চিনে থাকি। এখন কথা হলো, গুগল এতো তথ্য কোথায় পায়? গুগলের কাজই হলো, অন্যের কাছ থেকে ডাটা সংগ্রহ করা। তাই তারা বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ভিজিট করে, সেখান থেকে সাইটের মালিক যে যে বিষয়গুলো গুগলকে নেয়ার পারশিন দেয় ঠিক সেগুলো গুগল তার ডাটাবেজে আপলোড করে রাখে। তবে এই পারমিশন দেয়ার জন্য, সাইটের মালিক সার্চ কনসলের মাধ্যমে তার তথ্য গুলো সাবমিট করে। গুগল সে অনুযায়ী মালিকের ওয়েব সাইট থেকে ডাটা সংগ্রহ করে। আমার মনে হয় এরচেয়ে সহজ ভাষায় আমি বোঝাতে পারবো না। আশা করি সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে সবার ধারনা ক্লিয়ার।
এলগারিদম কি?
এলগারিদম বোঝানের আগে চলেন একটু ত্যানা প্যাচাই মানে আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলি। ধরেন আপনার দারকার ঢাকার সেরা কলেজের লিষ্ট। তখন যদি আপনি গুগলে সার্চ করেন তখন গুগল আপনাকে প্রথম পেজে ১০টি তথ্য দেবে। পরের পেজে আরো ১০টি। এভাবে চলতে থাকবে। আমার মনে হয়, এই ১০টি তথ্যের ভিতর প্রথম দিকের লিংকগুলোতে আপনি সাধারনত ক্লিক করেন। খুব বেশি দরকার না হলে আমরা কেউই ২য় পেজে যাই না। তার মানে দাড়ালো, গুগলের প্রথম দিকে যে লিংক থাকে সেসব লিংকেই মানুষ সাধারনত ভিজিট করে। একজন এস ই ও এক্সপার্ট এর কাজই হলো যে কোন লিংককে গুগলের প্রথম দিকে নিয়ে আসা। যত প্রথমে আসবে ততো ভিজিটর বা ক্লিক পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এবার মুল কথায় আসি, গুগলের প্রথমে যে লিংকটা দেখতে পান, সেটা প্রথমে কেন থাকবে, পরের পেজেওতো থাকতে পারতো। কিংবা ১০০ নম্বর পেজেও থাকতে পারতো। তা না হয়ে কেনই বা প্রথমে? আর এই কেনর উত্তর যেদিন খুজে বের করতে পারবেন, সেদিন মনে করবেন আপনি এস ই ও শিখতে পেরেছেন।
যাই হোক, উত্তর হলো, গুগলের কাছে যে লিংকটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়, যে লিংককে বেশি মানুষ ভিজিট করে যে লিংক থেকে মানুষ সঠিক তথ্য পায়, যে লিংকে মানুষ বেশিক্ষন থেকে পড়ে, যে লিংক বেশি বেশি শেয়ার হয় সেসব লিংককে গুগল প্রথম দিকে নিয়ে আসে। গুগলের কাছে যত বিশ্বস্ত ততো প্রথম দিকে। আর বিশ্বস্ততা অর্জন করতে গুগলের বা সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়ম কানুন থাকে আর সেই নিয়ম কানুনই হলো এলগারিদম। গুগলেল প্রায় ২০০টিরও বেশি নিয়ম কানুন রয়েছে। সেসব নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করবো। তবে এক্ষুনি জানতে ইচ্ছা করলে এই লিংকে ক্লিক করেতে পারেন।
আজকের মতে তাহলে এই পর্যন্ত। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
এস ই ও নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আমার ইউ টিউব চ্যানেলটি ঘুরে দেখতে পারেন।
Leave a Reply