সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: প্রস্তুতির খুঁটিনাটি

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষকেরাই মানুষ গড়ার কারিগর। অত্যন্ত সম্মানজনক ও একুশ শতকের
অন্যতম চ্যালেঞ্জিং শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হতে পারা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। সে স্বপ্নকে
বাস্তবে রূপদান করার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করার অন্যতম সুযোগ আসন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)-এর অধীনে আগামী ০৬
সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রি. তারিখ শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ
ধরনের এ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই পাবেন ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষক পদটিকে ২০১২ সালে ১০ম গ্রেডের (তৎকালীন
২য় শ্রেণি) নন-ক্যাডার গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করা হয়। এরপর থেকেই নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা চলে যায়
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)-এর হাতে। পরবর্তীতে ৩৪তম, ৩৫তম ও ৩৬তম বিসিএস থেকে
নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের এ পদে নিয়োগ প্রদান করা হলেও এবারই প্রথম সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে
নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। ১২টি বিষয়ে ১৩৭৮ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তিটি নিঃসন্দেহে চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের বারতা বয়ে এনেছে। এসময়ে একটি
সময়োপযোগী ও নিয়মতান্ত্রিক প্রস্তুতিই এ সুন্দর ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি বেশি
পড়ালেখার চেয়ে বুঝে বুঝে পড়ালেখার ওপর জোর দিতে হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লিখিত পরীক্ষায় বাংলা থেকে ৫০টি, ইংরেজি থেকে ৫০টি,
সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) থেকে ৪০টি এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা থেকে ৬০টি এমসিকিউ
থাকবে। দুই ঘন্টাব্যাপী এ পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ করে নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হলে অংশগ্রহণ করা যাবে মৌখিক পরীক্ষায়। যেখানে থাকবে ৫০ নম্বর, যার মধ্যে ন্যূনতম ২০
নম্বর পেতে হবে উত্তীর্ণ হতে হলে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে
বিষয়ভিত্তিক পৃথক পৃথক মেধাতালিকা করা হবে নিয়োগ সুপারিশের জন্য। কাজেই যেসব বিষয়ে পদের অনুপাতে
চাকরি প্রার্থী বেশি, সেগুলোতে চাকরি পেতে বেশি নম্বর এবং যেসব বিষয়ে পদের অনুপাতে চাকরি প্রার্থী কম,
সেগুলোতে চাকরি পেতে তুলনামূলক কম নম্বর পেতে হবে। মৌখিক পরীক্ষায় যেহেতু মাত্র ৫০ নম্বর, তাই ২০০
নম্বরের এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে পারলে চাকরির সুপারিশপ্রাপ্তিতে এগিয়ে
থাকবেন চাকরি প্রার্থীরা। প্রশ্ন মধ্যম মানের হলে ২০০ এর মধ্যে কমবেশি ১২৫ থেকে ১৪০ নম্বর তুলতে
পারলে সেইফ জোনে থাকা যাবে।

বিপিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিসিএস ও অন্যান্য নন-ক্যাডার
পরীক্ষার পুরনো প্রশ্ন থেকে প্রচুর কমন পাওয়া যায়। সুতরাং প্রস্তুতির শুরুতেই ১০ম-৪০তম বিসিএস
প্রিলিমিনারি এবং বিপিএসসির সর্বশেষ চার বছরে গৃহীত সকল এমসিকিউ পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের
প্রশ্নগুলো সমাধান করা যেতে পারে বিভিন্ন জব সল্যুশন, প্রশ্নব্যাংক বা বিশেষ সংখ্যা থেকে। তবে
ইতঃপূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত সরকারি মাধ্যমিকের নন-গেজেটেড সহকারী
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধানের খুব একটা প্রয়োজন নেই বললেই চলে। যাঁদের বিসিএস
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই ভালো প্রস্তুতি রয়েছে, তাঁদের নতুন করে আর প্রস্তুতির প্রয়োজন
নেই। পরীক্ষার আগে একটু ঝালিয়ে নিলেই চলবে।

বাংলা অংশে ৫০ নম্বরের মধ্যে কমবেশি ২৫টি করে প্রশ্ন থাকবে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে। সাহিত্যের জন্য
প্রাচীন ও মধ্যযুগ থেকে চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, মুসলিম সাহিত্য,
অনুবাদ সাহিত্য ও গীতিকা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর শেখা যেতে পারে। আধুনিক যুগ থেকে পড়তে হবে গদ্যের ইতিহাস, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও সমসাময়িক এবং বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী। এক্ষেত্রে
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধূসুদন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দীনবন্ধু মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদদীন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন,
ফররুখ আহমদ, কায়কোবাদ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আবু ইসহাক, আব্দুল্লাহ
আল মামুন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আল মাহমুদ, আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবুল মনসুর
আহমদ, আবুল হাসান, আহসান হাবীব, জহির রায়হান, জীবনানন্দ দাস, প্রমথ চৌধুরী, প্যারীচাঁদ মিত্র, মানিক
বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনীর চৌধুরী, শওকত ওসমান, সুফিয়া কামাল, সেলিনা হোসেন, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, সৈয়দ
মুজতবা আলী, সেলিম আলদীন, শামসুর রাহমান, হাসান আজিজুল হক, হাসান হাফিজুর রহমান, নির্মলেন্দু গুণ,
দিলারা হাসেম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন কবির, হুমায়ূন আহমেদ, জাহানারা ইমাম, রাবেয়া
খাতুন, কবীর চৌধুরী, রাজিয়া খান, গোলাম মোস্তফা, সিকান্দার আবু জাফর, কাজী মোতাহার হোসেন, সুকান্ত
ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, সুধেন্দ্রনাথ দত্ত, অমীয় চক্রবর্তী ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের
জীবনী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল থেকে প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে বলে আশা করা যায়। উল্লিখিত
সাহিত্যিকদের জন্ম ও মৃত্যু সাল, জন্মস্থান, উল্লেখযোগ্য রচনা, সম্পাদিত, পত্রিকা, ছদ্মনাম, উপাধি ও
প্রাপ্ত পুরস্কার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, উপন্যাস,
কাব্য, ছড়া এবং উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ, ভ্রমণ কাহিনী, প্রহসন, নাটক নাম এবং এগুলোর রচয়িতার
নাম সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক, প্রথম উপন্যাস, প্রথম সার্থক উপন্যাস,
প্রথম গীতিকাব্য, প্রথম বাংলা অনুবাদ, প্রথম সামাজিক নাটক, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকী,
প্রথম ট্র্যাজেডি নাটক, প্রথম একুশের কবিতা, প্রথম নাট্যকার, প্রথম মহিলা কবি, প্রথম সার্থক
ঔপন্যাসিক, প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, প্রথম রামায়ণ অনুবাদকারী ইত্যাদি সম্পর্কেও জানতে হবে।
বাংলা ব্যাকরণ থেকে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, সন্ধি, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান ও
বাক্য শুদ্ধি, বাক্যের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা ও বাক্য
সংকোচন থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বোর্ড বই এবং
বাজারে প্রচলিত নিয়োগ পরীক্ষার বইগুলো বাংলা অংশের প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ইংরেজি অংশে ৫০ নম্বরের মধ্যে ইংরেজি সাহিত্য ও গ্রামার থেকে কমবেশি ২৫টি করে প্রশ্ন থাকবে। ইংরেজি
সাহিত্য থেকে যুগবিভাগ, সাহিত্যিকদের নাম, তাঁদের যুগ, তাঁদের বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, লিটারারি টার্মস,
প্রাপ্ত পুরস্কার, তাঁদের রচিত কবিতা, উপন্যাস বা নাটকের বিখ্যাত লাইন এবং চরিত্র থেকে প্রশ্ন আসতে
পারে। গ্রামার থেকে Right use of Verbs, Tense, Number, Gender, Preposition, Parts of Speech, Voice,
Narration, Spelling, Sentence Correction, Idioms and Phrases, Synonyms and Antonyms সম্পর্কিত
প্রশ্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাজারে প্রচলিত নিয়োগ পরীক্ষার বইগুলো এ অংশের প্রস্তুতিতে সহায়ক
ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

সাধারণ জ্ঞান অংশে ৪০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে কমবেশি ২০টি করে
প্রশ্ন থাকবে। তবে দৈনন্দিন বিজ্ঞান, ভূগোল ও আইসিটি থেকে ৪-৫টি প্রশ্ন আসলেও আসতে পারে; যদিও
সম্ভাবনা খুবই কম। বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা, জলবায়ু, আদি ইতিহাস,
অভ্যুদয়, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, কৃষিজ সম্পদ, জনসংখ্যা, আদমশুমারি, জাতি,
গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়াদি, অর্থনীতি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি, ডেল্টা প্ল্যান, ভিশন
২০২১ ও ২০৪১, জাতীয় আয়-ব্যয়, রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, দারিদ্র্য বিমোচন, শিল্প ও
বাণিজ্য, সংবিধান, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সরকার ব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম, জাতীয় দিবস ও সাম্প্রতিক
বিষয়সমূহ প্রাধান্য পাবে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে বৈশ্বিক ইতিহাস, ভূ-রাজনীতি, বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশ, মুদ্রা, রাজধানী, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, আন্তর্জাতিক দিবস, পুরস্কার ও
সম্মাননা, খেলাধুলা ও সাম্প্রতিক বিষয়সমূহ প্রাধান্য পাবে। বাজারে প্রচলিত বইগুলোর পাশাপাশি ৭ম, ৮ম ও
৯ম-১০ম শ্রেণির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত বোর্ড বইগুলো প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে বলে মনে করি। তবে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স/কারেন্ট ওয়ার্ল্ড-এর পরিবর্তে সাম্প্রতিক বিষয়াবলির জন্য গুগোল সার্চ করে পাওয়া বা
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক বিষয়াবলি সম্বলিত সংক্ষিপ্ত আকারের পিডিএফ
নোটগুলোর সহায়তা নেয়া স্বল্প সময়ে অধিক প্রস্তুতির জন্য বেশি সহায়ক হবে।

গণিত ও মানসিক দক্ষতা অংশে ৬০ নম্বর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলা যেতে পারে, এ ৬০ নম্বরের মধ্যে ৫০ বা এর
অধিক নম্বর অর্জনকারীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকবে। চাইলে এ অংশে ৬০ এর মধ্যে
৬০ পাওয়াই সম্ভব। তবে ক্যালকুলেটর ছাড়া সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং নিয়মিত
অনুশীলন করতে হবে। পাটিগণিত থেকে পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত ও সমানুপাত, শতকরা,
সুদকষা/মুনাফা, লাভ-ক্ষতি, বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু-গ.সা.গু এবং ভগ্নাংশ সংক্রান্ত প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা
বেশি। বীজগণিত থেকে বিভিন্ন সূত্র ও অনুসিদ্ধান্ত, উৎপাদক, সমীকরণ, অসমতা, সূচক ও লগারিদম, ধারা
ও অনুক্রম সংক্রান্ত প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও প্রশ্ন থাকতে পারে জ্যামিতি (রেখা, কোণ,
ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য), পরিমিতি (সরল
ক্ষেত্র ও ঘনবস্তু সংক্রান্ত সমস্যা ও সূত্র) এবং সম্ভাব্যতা থেকে। তবে গণিতের তুলনায় মানসিক দক্ষতা
থেকে প্রশ্ন কম থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ১৫-২০টির বেশি প্রশ্ন মানসিক দক্ষতা থেকে হওয়ার কথা নয়।
ভাষাগত যৌক্তিক বিচার, চাক্ষুস যৌক্তিক বিচার, গাণিতিক সমস্যা সমাধান, বানান ও ভাষা, যান্ত্রিক
দক্ষতা, স্থানাঙ্ক সম্পর্ক, সংখ্যাগত ক্ষমতা, রক্ত ও সময় সংক্রান্ত সম্পর্ক এবং দিক নির্ণয় জাতীয়
মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন থাকবে। গণিতের জন্য ৭ম, ৮ম ও ৯ম-১০ম শ্রেণির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত বোর্ড
বইগুলোর পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত যে কোনো একটি বই এবং মানসিক দক্ষতার জন্য বিসিএস-এর মানসিক
দক্ষতা বিষয়ের যে কোনো একটি বই কার্যকর হবে।

গেজেটেড মর্যাদা অর্জনের পর থেকে সরাসরি আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি সরকারি
মাধ্যমিকে। বিপিএসসিও প্রথমবারের মতো এ পরীক্ষা গ্রহণ করছে। মাঝে তিনটি বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে
সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ পেয়েছে এ পদে। ৩৭তম বিসিএস থেকেও নন-ক্যাডারে সুপারিশের সম্ভাবনা রয়েছে।
সুতরাং এ নিয়োগ পরীক্ষার পর সরকারি মাধ্যমিকে আরেকটি সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হতে
কিছুটা সময় লাগবে। বিসিএস নন-ক্যাডার সহকারী শিক্ষকেরা যোগদানের পর থেকেই কার্যত বদলে যেতে শুরু
করেছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। মেধা, মনন, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নবীন
নন-ক্যাডার শিক্ষকেরা আধুনিক ও মানসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। তাই তাঁদের হাতকে
শক্তিশালী করতে, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা
করবেন চাকরি প্রত্যাশীরা, সেই কামনাই করি। সকলের জন্য শুভ কামনা।

লেখককের পরিচয়:

মীর আন্‌-নাজমুস সাকিব

পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, পটিয়া,
চট্টগ্রাম এবং প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক (গণিত), ৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডার, ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয়, ফেনী সদর, ফেনী।





About মীর আন্‌-নাজমুস সাকিব 4 Articles
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, পটিয়া, চট্টগ্রাম এবং প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক (গণিত), ৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডার, ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনী সদর, ফেনী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*