মো. ইকবাল হোসেন, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)-এ শিক্ষাদানের পাশাপাশি দারিদ্র্য, মেধাবী এবং অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য গঠন করা হয়েছে ‘বশেমুরবিপ্রবি দূর্যোগ ও ছাত্র কল্যাণ তহবিল’।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭খ্রি. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সুবর্ণা মজুমদার। তাৎক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
কিন্তু সুবর্ণার চিকিৎসা ফি সরবরাহ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে। গঠন করা হলো “বশেমুরবিপ্রবি দূর্যোগ ও ছাত্র কল্যাণ তহবিল”। সুবর্ণাকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রায় ১৮ লক্ষ্য টাকা চিকিৎসা ফি অনুদান দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
সুবর্ণা মজুমদারের ভাষ্যমতে ‘‘উপাচার্য স্যার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা আমাকে নতুন জীবন দান করেছেন। আমি শ্রদ্ধেয় উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, ‘সুবর্ণার দূর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের উদ্যোগেই এই তহবিল গঠন করা হয়। দূর্ঘটনা, অসহায় মেধাবী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতে এ তহবিল গঠন করা হয়।”
ছাত্র কল্যাণ তহবিলের অর্থ উৎস সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় প্রদেয় ভর্তি ফি’র একটি অংশ এই তহবিলের জমা করা হয় এবং এটিই তহবিলের অর্থ সংগ্রহের একমাত্র উৎস। তাছাড়া উপাচার্য, বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত অনুদানও এ তহবিলের অর্থ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি ২০১৭খ্রি. থেকে চলতি জুন ২০১৯খ্রি. পর্যন্ত বশেমুরবিপ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা ও অন্যান্য ফি বাবদ এতহবিলটি অর্ধকোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, এ তহবিল থেকে গত মাসে অসুস্থ হওয়া মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে দু’লক্ষের বেশি টাকা আর্থিক চিকিৎসা ফি প্রদান করেন সম্মানিত উপাচার্য। এ ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ভর্তি ফি প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। যা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সাথে সাথে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ফি, ষান্মাসিক- বাৎসরিক বৃত্তি, ভর্তি ফি প্রদনের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে এ তহবিলটি।
মো. ইকবাল হোসেন, শিক্ষার্থী : ৪র্থ বর্ষ, বাংলা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , গোপালগঞ্জ-৮১০০।
Leave a Reply