আমি বহুকাল ধরে
একটুকরো আলো আর
প্রশান্তির খোজে পথ চলছি।
তাই রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলী নাহয়
শেষের কবিতায় দিয়েছি হাজার উঁকি।
জীবনানন্দের বনলতায় আমি
সিংহল সমুদ্র আর মালয় সাগর,
পাড়ি দিয়েছি সেই কবে!
তবু খুজে পাইনি প্রশান্তি-
বনলতার সেই পাখির বাসার মতো চোখে।
কিসে মিঠে এ তৃষীত মনের তৃষা
উত্তর পাইনা খুজে।
অবশেষে একদিন–
সুবহে সাদিকের পরে
সুমধুর এক ধ্বনি ভেসে আসে কানে।
প্রকম্পিত হয় সেই ধ্বনি
আমার দেহ মন প্রাণে।
আমি ছুটে চলি মুগ্ধ নয়নে
সেই আলোর সন্ধানে।
খুঁজে পেলাম হেরা গুহার আলো
এক পশরা বৃষ্টির মতো
প্রশান্তি এনে দিলো
আমার অশান্ত মনে।
পবিত্র কোরআানের প্রতিটি ধ্বনিতে
অশ্রু ভরে উঠে নয়নে।
অনুতাপের অনলে দহন হয়ে
দুহাত তুলি দয়াময়ের দরবারে।
এ অধম যেনো নাজাত পায়
কঠিন বিচার দিনে।
লুটিয়ে পড়ি অবনত মস্তকে
রাব্বুল আলামীনের চরণে।
ধন্য করো মোর এ জীবন
হেরা গুহার আলোর প্রজ্জ্বলনে।
Leave a Reply