
মানুষ মরে যায় তাইনা?
ক্যান মরে?কি জানি বাবা!অতশত কি আর বুঝি?
গ্রহ-উপগ্রহ যেমন ব্ল্যাকহোলে হারিয়ে যায়-ঠিক তেমনি মানুষও হারিয়ে যায়-
মানুষকে হারাতে হয়-অসীম শূন্যে ভেসে যেতে হয়!
নাহ্ ভাসতে প্যারাসুট অন্তত লাগেনা।
প্যারাসুট লাগলে কি মানুষ অসীম শূণ্যতায় ভেসে যেতে?
ঠিক জানিনা,কিন্তু কতিপয় কিপটে নিশ্চিত না করে দিতো!
কিন্তু কি আজব লীলা-প্যারাসুট বিহীন শূন্যতায় ভাসতে হয় সবাইকে।
মায়াপুর-
আমার তৈরি,ঘুরে যাবে সবাই!নয়তো আমায় ডেকে নিবেন আমিই নিয়ে আসবো।
না আসতে হবেনা,মায়া তো গভীর ক্ষত করে দিবে।
প্রত্যেক’টা ক্ষত এত গভীর হয় যে সুয়েজ খালের থেকেও দীর্ঘ হয়ে যাবে।
আর প্রবল মায়া যখন ঘিরেই ফেলবে তখন,হুম!ঠিক তখন হৃদয়’টা,সাহারা মরুভূমি হয়ে যাবে-
জন্মাবে না কিছু-না জন্মাবে তো!কিছু ক্যাকট্রাস জন্মাবে যা যন্ত্রণার।
তাই মায়াপুরে এসোনা-
বুকপকেটে,
হ্যাঁ,বুকপকেটে জমানো থাকে কিছু দুঃখ-যা কোটি আলোকবর্ষের অতীত স্মৃতিকে জড়ো করে রাখে।
স্মৃতিগুলো কি পারেনা ব্ল্যাকহোলের পথ ধরতে?
না পারেনা-তাহলে তো খেল খতম।
যন্ত্রণা যেন আজকাল আধুনিক হয়ে উঠেছে।দেহ’টা বহুতল ভবন আর যন্ত্রণা লিফটে করে নিউরনে পৌঁছে যায়।যার পৌঁছে সে বুঝে-
ভালবাসা যেন আজকাল এয়ারকন্ডিশনের মত হয়ে গেছে-
অল্পতেই বেশ জমে যায়,মাঝেমধ্যে তো জমে বরফ!
না,না এমন জমে যাওয়া ভালবাসা কাম্য না-
ভাল ছিল দখিনা বাতাসে বয়ে বেড়ানো সখিনা ভালবাসাগুলো।
প্রজাপতির ডানায় ন্যায় পারপিচুয়াল ছিল-এখন এ কথার অর্থ কেউ খুঁজেনা…সবাই যে শীতল ভালবাসায় বিমুগ্ধ।
কতবার,
ঠিক কতবার যে মাটির প্রেমে পড়েছি ইয়ত্তা নেই।থাকবেই ক্যান নিউরনের কিঞ্চিৎ অংশও যে যন্ত্রণার মাকড়সার জাল বুননের বাকি নেই-
থাকবেই ক্যান?মানুষ তো কারণ ছাড়া বেঁচে থাকেনা।
মৃত্যুর সাথে জীবন পাল্টেও বেঁচে থাকা যায়-
একটি বিমুগ্ধ রজনী,
একটি বিমুগ্ধ রজনীতে হেরিতে চাইবে আমায় তখন নাগালের অনেক বাইরে,ঠিক কোটি মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে চলে যাব হে,প্রিয়তা।
বেঁচে থাকবো কোনো এক অ’জড় কবিতার চরণে-কিংবা রহস্যাবৃত মরণে।
বুকের ঠিক বাঁ’পাশে হাতরেখে
দু’ফুঁটো অশ্রুজল বিসর্জন দিও মোর স্মরণে-
আমি পেয়ে যাব মহাকালের প্রশান্তি,আর তুমি?
হ্যাঁ,তুমি!
তুমি পেয়ে যাবে একটি তাঁরাভরা বিমুগ্ধ রজনী।
Leave a Reply