মায়া,ফিরে চাও! আমাকে আবার দ্যাখো!
মিল্কিওয়ে সমান বয়সী ধুলো শরীরে মেখে আমি অক্লান্ত দাঁড়িয়ে আছি!
সমীর যখন প্রথমবারের মতো তোমার নাসারন্ধ্র ছুঁয়ে দিয়েছিলো,
আমি তারও হাজার আলোকবর্ষ আগে ধুলোঝড় হয়ে,
উড়ে বেড়িয়েছি তোমার হৃদয় প্রকোষ্ঠে!
বিশ্বাস করো, আমাদের প্রেম পৃথিবীর প্রাচীন এক আগ্নেয়গিরি থেকে উঠে এসেছিলো,
শতাব্দী থেকে শতাব্দীতে আমরা বারবার জন্ম নিয়েছি, অজস্র প্রেমিক-প্রেমিকার ঠোঁটে,
জন্ম নিয়েছি নব্য প্রেমিকের প্রথম নাইট মেয়ারের অনুভূতিতে!
তুমি যতবার আমার হৃদয়ের মরুভূমিতে এসেছো একা নিঃসঙ্গ হয়ে, আমি ঠিক ততবার-
রক্তাক্ত পায়ে হেঁটে গেছি তোমার দিকে,
জানতাম,মায়া আমি জানতাম প্রিয় ভালবাসা এক দুর্বোধ্য ভাষা-
তবুও,সকল প্রশিক্ষণ শেষে’
পৃথিবীর সব ভাষায় চিৎকার করে আমিই প্রথম উচ্চারণ করেছি, ভালোবাসার যত প্রতিশব্দ।
মায়া, তোমার কেঁপে ওঠা ঠোঁট জানে, বহুকাল আগের সেই প্রথম চুম্বন!
তারপর বেনামী কত অযুত-নিযুত নক্ষত্র অভিমানে বাড়ি ফিরে গেছে!
নির্ঘুম পাহাড়ের কঠিন শীলায় লিখা হলো প্রেমেদের নাম-
কত দেখেছি,
মানুষের উঠোনে হামাগুড়ি দেয়া শিশু-
বয়স বাড়িয়ে বাড়িয়ে একদিন আকাশের তারা হয়ে যায়,
অথচ দ্যাখো, ধুলো সরিয়ে নিলে এখনো এই ঠোঁটের কোণে তুমি-
কেবল তুমিই মিশে আছো অক্লান্ত উষ্ণতায়!
যেখানে শতাব্দির পর শতাব্দী আলোর গতিতে ছুঁটে চলে প্রেমেরা-
সেখানে,রয়ে যায় কিছু পোষা দুঃখ,যা প্রেমেদের জন্য’ই বরাদ্দ।
মায়া,বিংশ শতাব্দীর তপ্ত মরুতে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় পুরুষ যখন তোমাকে স্পর্শ করে,
আমি এক অক্লান্ত অদ্ভুত আক্রোশে তার হৃদপিন্ড খুলে নিয়ে-
আমাকে সেখানে রাখি,
তারপর প্রাচীন প্রেমের মতো করে তোমার সমস্ত অনুভূতিতে প্রবেশ করি!
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মত তোমায় তপ্ত করে দেই-
অতপরঃ-
প্রবল এক ধুলোঝড়ে তোমাকে লন্ডভন্ড করে দেই,
তুমি এলোমেলো হয়ে যাও, শীৎকার করে ওঠো প্রেমে!
যখন তীব্র ঘৃণায় হৃদপিণ্ড ফিরিয়ে দেই-ঠিক পরক্ষণ’ই আমাকে এই আমাকে’ই হেটে যেতে হয় রক্তাক্ত পায়ে-
তবুও অনুভূতিতে বসে থাকি সেই বিদ্যাঙ্গনে’র প্রথম সারিতে যেখানে তুমি এখনো আসো-
কিন্তু ভিন্নতা রয়েছে-
মায়া, তাকাও!
আমাকে আবার দ্যাখো!
বারবার দেখে যাও-
পৃথিবীর সমান বয়সী ধুলো শরীরে মেখে রক্তাক্ত পায়ে আমি অক্লান্ত দাঁড়িয়ে আছি!
তুমি যত শতাব্দী পারো, জন্মাও,
তবে ভালোবাসতে চাইলে, আমাকে এড়িয়ে যেতে পারবেনা কোনোদিন!
যখন প্রেমেরা চুম্বনে ব্যস্ত থাকবে,
তখন আমি আবার নব প্রেমিক হয়ে হারিকেনের মত আছড়ে পড়বো তোমার হৃদয় তটে-
আর হৃদয় বার্ধ্যকে উপনীত হবার আগেই সার্জারি করিয়ে নেব-
তবুও মায়া’য় বেঁধে রাখবো আর ফিরে আসবো শতাব্দির পর শতাব্দিতে।
মায়া, তাকাও!
আমাকে আবার দ্যাখো!
বারবার দেখে যাও-
পৃথিবীর সমান বয়সী ধুলো শরীরে মেখে রক্তাক্ত পায়ে আমি অক্লান্ত দাঁড়িয়ে আছি!
তুমি যত শতাব্দী পারো, জন্মাও,
তবে ভালোবাসতে চাইলে, আমাকে এড়িয়ে যেতে পারবেনা কোনোদিন!
Leave a Reply