“উছলে পড়া ভরা যৌবন”
রাহাত ভাই
————————-
শনি হাওরের বুকে তখন ভরা যৌবন,
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে–
বসতির কাছে,
আমের মুলে-বটের মুলে —
সারি সারি হিজল কড়চের বাঁধা ডিঙিয়ে–
করে চুম্বন–তোমার যোগল চরণ।
অজানা এক শিহরণে তোমার–
দু’চোঁখ বুঁজে আসে,
দু’হাত দিয়েছ মেলে–
ডানা মেলা শঙ্খ চিলের মত।
চিবুক তুলে নিয়েছ নিঃশ্বাষ– বুক ভরে,
মাতাল হাওয়ায় চুল গুলো দুল খায়–
উলুবনের ফুলের মত।
মায়া ভরা নীল আকাশ আজ,তোমায় দেখেছে!
দেখেছে তোমার আনন্দ চিত্ত–
ভরা যৌবন-উছলে পড়া নিত্য,
নারী আর হাওরের যৌবন যেন–
এক’ই ডোরে বাঁধা,–আবহমান কাল ধরে।
চির যৌবনবতী শনি’র পাড়ে,
ফিরে আসি–আমি–
ঘুরে ফিরে বার বার,
যদি পাই দেখা তার-আবার!
সোনা ঝরা বৈকালে,
যখন–বনোশালিকের ঝাঁক উড়ে যায়–
হিজল ডালে, নীড়ের খোঁজে,
যখন নীরব জলে সূর্যের প্রতিচ্ছবি বেশে উঠে–
নীরবতায় যখন,নৈস্বর্গীক সুর ছড়িয়ে পড়ে–
তখন–তখন যদি পাই তারে–
ঝিলের ধারে শাপলা তুলে,সাঁতার কাটে,
বলব তারে,–
তুমি আর হাওর যেন—
এক’ই ডোরে বাঁধা।
ভরা যৌবন উছলে পড়া।
Leave a Reply