যে কারণে উচ্চ শিক্ষা নেওয়া হল না বিল গেটস্ এর !

সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি বিল গেটস। যার অস্থান ১নংএ। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নেওয়া হয় নাই বিল গেটস এর , কেন?-আসুন জেনিনেই-

bill-gates

বিল গেটস্ বলেছেন:

”আজকালকার তরুণদের একটা কথা নিয়ে আমি উকন্ঠায় ভুগি। শুনতে পাই, তারানাকি আমার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কলেজে যেতে চায় না। বলে বিল গেটস্ যখন গ্র্যাজুয়েট নন, আমাদের আর দরকার কি?”

”এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে, যদিও আমি ডিগ্রি নেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পর্যন্ত কলেজে ছিলাম না, তাই বলে শিক্ষার কমতি নেই। যতটুকু শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন, অামি নিয়েছি। আরেকটা কথা হচ্ছে, দিনকে দিন বিশ্বে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, প্রতি বছর প্রতিটা কোর্সে বিশেষত্ব বাড়ছে, জটিলতা বাড়ছে। এক সময় হাইস্কুল থেকে পাশ করাটা যেমন কঠিন ছিল, আজ কলেজের পড়াশোনা ওই পর্যায়ে পৌঁছেছ।

বিল গেটস্ আরও বলেন :

”বিভিন্ন দিক থেকে কলেজের সেই দিনগুলো আমার কাছে খুব প্রিয় ছিল। কলেজ ছেড়ে আসায় আমি অনুতপ্ত। শুধু একটা চিন্তা মাথায় রেখে কলেজ ছেড়েছিলাম। স্বপ্ন ছিল, প্রথম মাইক্রো কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করব।

বিল গেটস্ বলেছেন :

”পল সব সময় অামাকে তারা দিত-চলো, একটা কোম্পানি খুলে ফেলি।’ ম্যাগাজিনের ওই নিবন্ধটি পড়ার পর আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ রইল না।

বিল গেটস্ এ প্রসঙ্গে বলেছেন :

”এ কারণে শুরু থেকেই আমাদের শ্লোগান হচ্ছে- “প্রতিটা ডেস্কে এবং প্রতিটা বাড়িতে একটি করে কম্পিউটার।”

 

সহজে প্রাপ্তিসাধ্য প্রথম ব্যক্তিগত কম্পিউটারে কাজ করার ঝোঁক থেকে বিল গেটস্ এবং অ্যালেনের অভিজ্ঞতা হয়, এ সম্পর্কে বিল গেটস্ বলেন:

”কম্পিউটারের মূল জিনিসটি হচ্ছে পিসি। কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, এটি সত্যিকারে তথ্য যুগের এক যন্ত্রে পরিণত হয়।”

১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চের পুরোটা সময় জুড়ে কাজ করেন তারা। বিল গেটস্ এর ডরমিটরি রুমে তারা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন প্রোগ্রাম তৈরির কাজে।

বিল গেটস্ বলেছেন:

প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারব কিনা, নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। প্রোগ্রামটাকে 4KB তে নিয়ে আসতে পারব কিনা এবং এর কাজ অসম্ভব দ্রুত হবে কিনা-এটাই ছিল প্রশ্ন।”

বিল গেটস্ এর স্বচ্ছন্দে কাজ করার সহজাত ক্ষমতা তাকে এক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়।

বিল গেটস্ বলেন:

‘আজ পর্যন্ত যত প্রোগ্রাম করেছি, এটাই ছিল সবচেয়ে নীরস প্রোগ্রাম।’ 

বিল গেটস্ ও অ্যালেন তাদের BASIC ল্যাংগুয়েজ এমআইটিএস এর কাছে ৩ হাজার ডলারে বিক্রি করেন। এর সঙ্গে সম্মানীর শর্তও ছিল।

অ্যালেন বলেছেন,

”প্রোগ্রামটিকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে নিউ মেক্সিকো যান তিনি। প্রোগ্রামটিকে শিল্প মানে নিয়ে যেতে কাজ করেন। ওই সময় একটা মোটেল রুম ভাড়া করতে রবার্টসের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন। কারণ বিমানের টিকিট কাটতেই তার সব টাকা চলে যায়। তবে রবার্টস বেশ সন্তুষ্ট ছিলেন অ্যালেনের কাজে। শিঘ্রই এমআইটিএস এর সফটওয়্যার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ১৯৭৫ সালের জুনে অ্যালেনের সঙ্গে যোগ দিতে হার্ভার্ড থেকে ছুটি নেন বিল গেটস্। ছুটি শেষে হার্ভার্ডে আবার ফিরে এলেও তার মন পড়ে থাকে আলবুকুয়ের্কে। দ্বিতীয়বার ছুটি নেয়ার পর বিল গেটস্ আর কখনও ফিরে আসেননি হার্ভার্ডে। ”

তিনি বলেছেন :

”ছেলে চমকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে এ কথা শুনে উত্তেজিত হননি আমার বাবা-মা। তা আবার এমন ব্যবসা, যার নাম অনেকেই জানে না। ‘মাইক্রো কম্পিউটার’ সম্পর্কে তখন খুব কম লোকই জানত। তবে বাবা-মা’র দিক থেকে কখনও বাধা পাইনি। তারা সব সময় আমাকে সমর্থন করেছেন।”

পূর্বে প্রকাশিতঃ এখানে





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1519 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*