দ্বৈতভর্তিকৃত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর সাম্প্রতিক কর্মসূচির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। শির্থীদের জানার কথা যে, দ্বৈতভর্তিকৃত সম্পূর্ণ আইন বা নিয়ম বহির্ভূত। এটি চিহ্নিত হলে উভয় বিষয়ে ভর্তি বাতিল তথা ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। সব প্রতিষ্ঠানেই এ নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বৈতভর্তিকৃত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী চিহ্নিত হয়েছে। এদের মধ্যে এমনও অনেকে রয়েছে যারা গত বছর ভর্তিকৃত বিষয়ে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে তা বাতিল না করে পুনরায় নতুন বিষয়ে ভর্তি হয়েছে, যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও তাদের অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে দ্বৈতভর্তিকৃতদের পুরো ভর্তি বাতিল না করে জরিমানা সাপেক্ষে যে-কোনো একটি ভর্তি বহাল রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এটি যেখানে প্রশংসার চোখে দেখার কথা, সেখানে তাদের মধ্যে কেউ কেউ মানবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করছে, যার সামান্যতম কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমাদের সকলেরই আইন বা নিয়ম- কানুন অনুসরণ করে চলা আবশ্যক। উপরন্ত কোনো কাজ করার পূর্বে যেন আমরা এর সঠিকত্ব সম্বন্ধে নিজ বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি।
যাহোক, এরপরও কোনো শিক্ষার্থী যদি ইতোপূর্বে ভর্তিকৃত বিষয় বাতিল করা মর্মে কলেজের নিকট পূর্বে লিখিত আবেদন করে থাকে (যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-লাইনে তা করা আবশ্যক ছিল), সে-সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হলে জরিমানার বিষয়টি পুনঃ বিবেচনা করে দেখা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে সম্পূর্ণ আইটি’র ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। অতএব তথ্য গোপনের কারো কোনো সুযোগ নেই। দ্বৈতভর্তির মতো বিষয় পরিহার করে চলার জন্য কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকষর্ণ করছে এবং ভর্তির নিয়ম-কানুন মেনে ছাত্রত্ব বহাল ও পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
Leave a Reply