আত্মবোধের সচেতনতা

respondibility

৫৫ হাজারের কিছু বেশী বর্গ্মাইলের এই দেশ বাংলাদেশ। আজ থেকে ৪৩ বছর পুর্বে পাক হানাদার বাহীনির কবল থেকে মুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঐ দিন ঝাপিয়ে পড়েছিল সেই কাল রাতে পাক বাহীনির উপর, সেটা আমার জানা নেই। কারন
আমার জন্মও হয়নি তখন। এ ব্যাপারে জানার খুবই আগ্রহও ছিল কিন্তু জানতে গিয়ে যা বিড়ম্বনা। একেক জনের একেক কথা। বই পুস্তকের দারস্ত হলেও একই গীত। এই নেতা এই কথা, ঐ নেতা ঐ কথা এ নিয়ে আবার রাজনীতিও। যা হোক ঐ সমস্তকে ছুড়ে ফেলে চিন্তা করলাম, আমিও তো বাঙ্গালী, বাংলায় তো লেখা পড়া করে কিছু বুদ্ধি সুদ্ধির অধিকারী হয়েছি। তো দারস্ত হলাম আমার নিজের বিবেকের। যে কি হতে পারে আমাদের ঐ সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ, আমার যা বুদ্ধিতে কুলিয়েছে তা হলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যেখানে কোন সর্ব ক্ষেত্রে বিরাজ করবে স্বাধীনতা। চলবে না কারো রক্ত চক্ষু, থাকবেনা কোন গোলামী। যেন সবাই সবার জন্য। আর আমাদের থাকবে নিজস্ব একটি পতাকা ও সস্কৃতি। যা যোগ যোগ ধরে বিরাজ করবে আমাদের মাঝে। যা উৎসাহ দিবে আমাদের সর্বক্ষনে দেশের জন্য। এই যা। কিন্তু আজ? ৪৩ বৎসরের মাথায় কি পেরেছি আমরা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করতে? সবাই বল্বো না। কিন্তু কেন? আমার মাথায় যা আসছে তা হল সুশিক্ষার অভাব এবং স্বদিচ্ছা। এই দুটির অভাবে আমরা পৌছতে পারছিনা আমাদের গন্তব্যে। প্রথমত আমাদের যা দরকার সেটা হল শিক্ষা। আমাদের সমাজে যখন শিক্ষার বিস্তার হবে, তখন তৈরী হবে সদিচ্ছাশীল শাসক সমাজ। যাদের কামনা বাসনাই হবে দেশের কল্যান, মানুষের সেবা। সেই জিনিসটা আজ হারিয়ে বসতেছি আমরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি ও সন্ত্রাস আমাদের নিয়ে যাচ্ছে এক বর্বরতার দিকে। আমি জানি আমাকে কারো পছন্দ হবেনা, কারন ছাত্র রাজনীতির কথাটা চলে আসছে। যে দেশে ছাত্ররা রাজনীতি করে সেখানে সন্ত্রাস হানাহানী তো থাকবেই। চর দখলের মত হল দখল, আর আধপত্যবিস্তার। আজ কয়টাদিন খুবই খারাপ লাগছে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্যবাদ ও ছাত্র শিক্ষকদের লাঞ্ছনা। আমাকে খুবই বিচলিত করে তুলেছে। আর কত দিন এমন চলবে। আমরা কি পারিনা একবার দাড়াতে? বুঝতে পারিনা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ? আমাদের এ দিন বদল কিসের জন্য? ক্ষমতার জন্য না দেশের ভালোর জন্য? যদি দেশের জন্য হয় তাহলে একটু
সচেতন হোন এদিকে। নিষিদ্ধ করুন সকল অপতৎপরতা, কেডারীপনা ও আদিপত্যবাদিতা। সবার উর্ধে স্থান দিতে হবে শিক্ষাকে ও সকল প্রকার  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। শিক্ষকদের ও রাজনীতি মুক্ত রাখার চেষ্টা চালাতে হবে। প্রয়োজন হলে নজরদারীর ব্যবস্থা করুন। তামাম দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে আর
আমরা দিন বদল আর নাম বদল নিয়ে ব্যাস্ত। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাই একটু ভাবুন দেশকে কিভাবে একজন সুনাগরীক উপহার দেয়া যায়।

লেখক- সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মাসিক জাতীয় শিশু-কিশোর হাতেখড়ি আড়াইহাজার,নারায়নগঞ্জ।





About অরণ্য সৌরভ 47 Articles
আমি অরণ্য সৌরভ, লেখাপড়া করছি সরকারী সফর আলী কলেজ আড়াইহাজার, নারায়নগঞ্জ। পাশাপাশি কবি ও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছি মাসিক "হাতেখড়ি"তে showrov2500@gmail.com

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*