বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা -অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় পনের লক্ষ শিক্ষকসহ বিশ্বের সকল শিক্ষক সম্প্রদায়কে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা। শিক্ষা এমন এক অপার শক্তি, যা সংস্কৃতি ও সভ্যতার মূল ভিত্তি। শিক্ষা ব্যক্তির অন্তর্নিহিত সত্তাকে জাগ্রত, বিকশিত, শানিত করে ব্যক্তিকে বাস্তববাদী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং স্বাবলম্বী করে তুলে। প্রকৃত শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে মানবিক গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধন, গণতান্ত্রিক চেতনা ও দেশাত্মবোধ সম্পন্ন উন্নত জীবন যাপন উপযোগী সুনাগরিক তৈরী করা। শিক্ষার সঠিক বিস্তার এবং যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে পৃথিবীর বহু জাতি সমৃদ্ধি ও সুখ্যাত্যির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই একটি উন্নত ও মর্যাদাশীল জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সেজন্যই বলা হয়ে থাকে “Education is the backbone of a nation”.

সুদীর্ঘ কালের ঔপনিবেশিক শাসনামলে শিক্ষার এই মাহাত্ম্য কৌশলে পাশ কাটিয়ে শোষক শ্রেণি, কায়েমী স্বার্থে এ দেশে বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিল। যার ফলে স্বাধীন চিন্তা-চেতনা, মেধা-মনন ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ শুধু শৃঙ্খলিত হয়নি, একটি স্বার্থান্বেষী, পদলেহী গোষ্ঠির আবির্ভাব ঘটে। পরধন লুন্ঠন ও শোষণ ক্রিয়ায় পারদর্শী বিজাতীয় শক্তি এ সুবিধাবাদী এবং উচ্ছিষ্ট ভোগী গোষ্ঠির সাহায্য সহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রে পরাধীনতার পর্বটিকে দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হয়েছিল। অবশেষে ভারত বিভক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট তথাকথিত পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন সত্ত্বেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠি পূর্ব বাংলার মানুষ তথা বাঙালিরা সমতাভিত্তিক অংশীদারিত্ব, মর্যাদার স্বীকৃতি পায়নি।

যে কারণে সৃষ্টির সূচনা থেকেই শোষণের নতুন ক্ষেত্র পাকিস্তানের প্রাচীর ভেঙ্গে বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্যমন্ডিত একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন যিনি তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন জাতিকে প্রগতিমুখী, সমৃদ্ধশালী করার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঔপনিবেশিক শিক্ষা পদ্ধতি বহাল রেখে জাতি গঠন কখনো সম্ভব নয়। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনানুযায়ী তিনি একটি শোষণমুক্ত সমাজ তথা সোনার বাংলা নির্মাণের লক্ষ্যে বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগি একটি কল্যাণমুখী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেন যার স্বার্থক রূপায়ন প্রখ্যাত ড. কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন অর্থাৎ শিক্ষা জাতীয়করণ।

এ উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষার প্রাথমিক স্তর বা ভিত্তি হিসেবে ৩৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ৬২ হাজার শিক্ষককে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন যা ছিল তৎকালীন প্রেক্ষিতে অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দুঃসাহসিক। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলে অর্থমন্ত্রী যুদ্ধ বিধ্বস্ত সদ্যজাত বাংলাদেশের অর্থ সংকটের কথা জানালে বঙ্গবন্ধু সে দিন বলেছিলেন- “আমার সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। শিক্ষকরা হলেন সোনার মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকদের পেটে ক্ষুধা রেখে সোনার মানুষ তৈরি করা সম্ভব নয়। যেখান থেকে পারো টাকার ব্যবস্থা কর- শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ করতে হবে।” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে স্বস্তিবোধ করেননি, শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণ এবং ক্রমান্বয়ে একটি সুষম স্তরে উন্নীত করার প্রত্যয়ে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও কার্যক্রম গ্রহণ করেন।

উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ এক সময় কোন বেতনই পেতেন না। মূলত শিক্ষাদানকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে শুধু দেশ সেবার মানসিকতা নিয়েই তখন তাঁরা শিক্ষকতায় আসতেন। ১৯২০ সালে গাইবান্ধায় শিক্ষকদের একটি সম্মেলনে শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য মাসিক ৫ (পাঁচ) টাকা এবং কর্মচারীদের জন্য ৩ (তিন) টাকা বেতন চালুর ঘোষণা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক শেখ মুজিবই প্রথম বেসরকারি মাধ্যমিক ও স্কুলের শিক্ষকদের মাসিক যথাক্রমে ৭৫ টাকা এবং কলেজ শিক্ষকদের মাষিক ১০০ টাকা বেতন ভাতা চালু করেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলা, ইংরেজি ও আরবী মাধ্যমে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার প্রচলন রয়েছে। তন্মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা অধিকাংশই সরকারি ব্যবস্থায় পরিচালিত হলেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে প্রায় ৯৭% শিক্ষা এখনো বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। যদিও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান সরকারি এমপিওভূক্ত হওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বৃহদাংশের বেতন ও নির্ধারিত ভাতা সরকার থেকে বহন করা হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমান ৬৫ হাজার ১৩২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯০ হাজার ২২৫ জন, শিক্ষক সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৪৮৭ জন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৪৭ টি, শিক্ষার্থী ৯১ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৬৫ জন, শিক্ষক ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৫৩ জন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ০০৭ টি, শিক্ষাথীর্, ৩৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৮৪ জন এবং শিক্ষকের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৩৭ জন। আলিয়া মাদ্রাসা ৯ হাজার ৩৪১ টি, শিক্ষার্থী ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৩০৫ জন, শিক্ষক ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৬৮ জন। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, বিএম কলেজ, পলিটেকনিক) ৫ হাজার ৮৯৭ টি, শিক্ষার্থী ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৭০ জন, শিক্ষক ৩২ হাজার ৩৭৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারী, বেসরকারী) ১৩০ টি, শিক্ষার্থী ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৬৯ জন, শিক্ষক ২৭ হাজার ৭৯৪ জন। এছাড়া ও বেসরকারী পর্যায়ে পরিচালনাধীন কিন্ডারগার্ডেন রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার, শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ এবং শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। ইসলামী ফাউ-েশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ৭০ হাজার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ এবং শিক্ষকের সংখ্যা ৭০ হাজার। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে প্রায় ৪ হাজার, শিক্ষার্থী প্রায় ৪ লক্ষ শিক্ষক প্রায় ১৬ হাজার। বেসরকারী পর্যায়ে কওমি মাদ্রাসা রয়েছে ১৩ হাজার ৯০২ টি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ এবং শিক্ষক রয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৩১ জন। এছাড়াও বেসরকারী পর্যায়ে এনজিও পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী ও কয়েক হাজার শিক্ষক রয়েছেন।

বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, ২০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, জাতীয় বেতন স্কেলে বেসরকারী শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি, ডিজিটাল ক্লাস রুম, অব কাঠামো উন্নয়ন, প্রায় ১৬ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের আলাদা বেতন স্কেল প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান, ৭ হাজার বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ানদের নিয়োগ, বেসরকারী শিক্ষকদের বাড়ী ভাড়া ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা বৃদ্ধি, মেডিক্যাল ভাতা ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা উন্নীত, ১৭ বছরেরর পূরনো পাঠ্য পুস্তক যুগোপযোগি, ৭৮ লক্ষ প্রাথমিক এবং ৪০ লক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীকে উপ-বৃত্তি প্রদান, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির আওতাভূক্ত করা, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ এবং অবসর ভাতার জন্য ৮৫০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ, শিক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব এবং অবকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অন্তভূর্ক্তি উল্লেখ্যযোগ্য।

সরকারের পক্ষ থেকে এসব উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহন করার সত্বেও এখনো শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো অনেক সমস্যা বিরাজমান। এখনো ৭ হাজার নন এমপিও প্রতিষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধীক শিক্ষক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব শিক্ষক যুগ যুগ বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বাধা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি অযাথিত হস্তক্ষেপ শিক্ষার উন্নয়নে একটি ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপে শিক্ষকদের চাকুরী হারাতে হয়। এমতাবস্থায় শিক্ষকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে সম্ভব হয় না।

মান সম্পন্ন শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। মান সম্মত শিক্ষক পেতে হলে শিক্ষকদের আর্থিক সূযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, চাকুরীর নিশ্চয়তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা জুরুরী। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সরকার অনেক বেসরকারী স্কুল কলেজকে জাতীয়করণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এটা শুভ উদ্যোগ। তবে সরকার শর্ত স্বাপেক্ষে হলেও পূরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের উদ্যোগ গ্রহন করতে পারে। প্রয়োজনে শিক্ষার একটি মান নির্ধারণ করা যেতে পারে। শর্ত এমন হতে পারে যেমন পাঁচ বছরের মধ্যে যে সকল প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট মানে পৌছাতে না পারবে সে সব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। জাতীয়করণের ফলে ব্যবস্থাপনা কমিটির তথাযিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে এবং এতে করে তাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা পাবে। পাশাপাশি আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষকদের কোচিং সহ বাড়তি আয়ের জন্য অন্য কোথাও সময় ব্যয় না করে পঠন পাঠনে অধিক মনোযোগি হতে পারবেন। এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার মান অব্যশই বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষার মান রাতারাতি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান সরকারের শাসনামলে শিক্ষা ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে একথা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন তথা শিক্ষাকে বিশ্বমানে পৌঁছানোর জন্য আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, অবিলম্বে শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন, শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আরও বৃদ্ধি, শিক্ষাঙ্গনের অবকাঠামোর আরো উন্নয়ণ এবং শিক্ষা উপকরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে সৎ, যোগ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কর্মকর্তাদের পদায়ন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোচিং বাণিজ্য, বই বাণিজ্য এবং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে সংশিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যকরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং যুগোপযোগি করার পাশাপাশি আরবি শিক্ষাকে আরও জোর দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক যে বিশাল কর্মবাজার রয়েছে তা করায়ত্ব করার সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: সেক্রেটারী ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব টিচার্স ইউনিয়ন (WFTU)। সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ও সদস্য সচিব, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1525 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*