ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর নতুন একটা সংগঠন তৈরির ঘোষণা দিলেন ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ফেসবুক সোশ্যাল গ্রুপের এডমিন প্যানেল।
এই সংগঠনের বিষয়ে ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, আমাদের এই এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে শিরোনামটি ছিল শুধু মাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের মিলন মেলার অংশ। গত ২০১৬ সালের ২৯ মে থেকে এই এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে মিলন মেলার পথ চলা। পরবর্তী বছর ২০১৭ সালের ২ মার্চ ছিল এই মিলন মেলার ২য় আসর। আমরা আমাদের এই এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে মিলন মেলা থেকে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একসাথে করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে প্রতিটি স্টুডেন্টস তার নৈতিক গুনাবলী, আদর্শ, ন্যায়পরায়নতা, সত্যবাদিতা, দয়াবান, ও সর্বাত্মক সহযোগীতাকারী একজন সৎ দক্ষ দেশ প্রমিক নাগরিক ও জাতির কর্নধার হয়ে নিজেকে প্রস্তুুত করতে পারে। আর আমরা এটাও বিশ্বাস করি বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের এই মিলন মেলায় অংশগ্রহণে আগ্রহী। তাই আমরা আমাদের এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধন কে শুধু মিলন মেলায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না,আমরা চাই আমাদের এই এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে শিক্ষা ও মানবতার সেবায় সারা বাংলাদেশে কাজ করতে। তাই আমরা আমাদের এই এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে ছাত্র-ছাত্রীদের মিলন মেলাকে একটি সংগঠনে রূপ দিতে। যার স্লোগান হবে “শিক্ষা ও মানবতার সেবায় আমরা”।
ঢাবি অধিভুক্ত সরঃ তিতুমীর কলেজ ফেইসবুক গ্রুপ এর এডমিন জনাব রাকিবুল ইসঃ মুহিব বলেন শিক্ষা ও মানবতার সেবায় নিয়োজীত এই সংগঠনকে একটি ইউনিটে পরিনত করতে আমার মেধা শ্রম দিয়ে সদা সর্বদা প্রস্তুুত থাকবো ইনশাহ্ আল্লাহ। শুধু তাই নয়,এই সংগঠন এর আর্থিক ফান্ডকে দীর্ঘ করার প্রায়াসে তার কার্যতালিকা নিয়ে সমাজ ও বন্ধু মহলে আড্ডায় আর্থিক সহায়তা তুলে সংগঠন এর ফান্ডকে আরো এগিয়ে নিয়ে অসহায়, দুঃখীদের সাহায্য হাত বাড়িয়ে তাদের মূখে একটু হাসি ফুটাতে পারাটা এই সংগটন এর সার্থকতা বলে বিবেচ্য বলেও জানান।
সভায় বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ প্রতিনিধি ফাতেমা ইসলাম মুক্তা বলেন “এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে” শিক্ষা ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ সংগঠনের লক্ষ্য সুবিধা বঞ্চিত শিশু,দরিদ্র ও বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো,বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরি,রক্তদান কর্মসূচী। আশা করি এ সংগঠনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের দ্বারে খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসা ও শিক্ষার আলো পৌছে যাবে ,অসহায় ও দরিদ্র মানুষ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
বাংলা কলেজ প্রতিনিধি তুহি বলেন সর্বোপরি নিজের অবস্থান থেকে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও অসহায়দের মাঝে সুখের পরশ পৌছে দেয়া ও তার নিজ লক্ষ্য এমনকি নিজ উদ্দ্যেগে সংগঠন এর সকল প্রকার বিষয় এবং কার্যাবলী সমাধানে সর্বদা প্রস্তুুত থাকবে।
ইডেন কলেজ থেকে নাদিয়া,রাকা এবং তমা জানান,আমরা দীর্ঘ দুই বছর আগে থেকে এই “এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে” মিলন মেলার সাথে পরিচিত এবং সম্পৃক্ত ছিলাম, এখনো তার ব্যতিক্রম নেই। আমরা এইটাই চেয়েছিলাম যে আমাদের এই এডমিন প্যানেলও এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনের সাথে যারা জড়িত তারা শিক্ষা ও মানবতার সেবায় কাজ করুক। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। আমরা অনেক খুশি এবং আমরা আমাদের ১০০ ভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো এবং এই সংগঠনের সাথে থাকবো।
এছাড়া ডুয়েট থেকে মেহেদী হাসান বলেন,আমরা আমাদের সংগঠনকে এগিয়ে নিতে অবশ্যই নিস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাবো। আমারা আমাদের সমস্ত মনোবল দ্বারা এই সংগঠনকে সবার কাছে পরিচিত করে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে সরকারি বাঙলা কলেজ ফেইসবুক গ্রুপের এডমিন প্রকাশ বলেন:- এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনে সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো গরিব,দুঃস্থ,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। গরিব ছেলে মেয়েদের পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে শিক্ষার হাত বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও নানা রকম সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করা। আমি এ সংগঠনের একজন হতে পেরে অনেক আনন্দিত এবং ধন্যবাদ জানাই প্রতিষ্ঠাতা নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে আমি এই সংগঠনে আমার সর্বোচ্চ দিবার চেষ্টা করব।
এছাড়া ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ থেকে বিশ্বজিৎ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মহন ইসলাম,মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে আবিদ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে রেজওয়ান ও হৃদয় মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
এসো মিলি সৌহার্দ্যের বন্ধনের সাথে জড়িত সবাইকে একসাথে করে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি ঘোষণা করা হবে। এটা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান ঢাবির অধিভুক্ত ৭টি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফেইসবুক গ্রুপের এডমিন প্যানেল এবং সকলে তাদের নৈতিক দায়িত্ববোধ মনে করে সকল কার্যাবলী সঠিকভাবে পালন এর মধ্যে দিয়ে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
সভাপতির আলোচনায় জনাব নাঈমূর রহমান দূর্জয় এই সভার সকল কার্যাবলী আগামী ১০ দিনের মধ্য নিজ গতীতে সম্পন্ন করে এর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে মানব সেবায় ২০ কলেজ এর এক ঝাঁক তরুণ তরুণী তাদের মেধা শ্রমদিয়ে মনবতার পাশে দাঁড়াবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply