বিশাল অট্রালিকায় বসবাসকারী মানুষ এমন এক ঘরের দিকে যাচ্ছে যেখানে সে শুবে কিন্তু ওঠে বসতে পারবে না। তার কবর তার জন্য তখনই জান্নাতের বাগান হবে, যখন সে কবরের প্রস্ততি নেবে।
কবরের চিন্তা আমাদের কাছে শিক্ষণীয় বিষয়। এক আরেফ বলতেন, বন্ধু! কবর নিয়ে গভীর চিন্তা করো। দেখো, কত সুন্দর চেহেরা কিভাবে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে! কত দাগহীন চেহেরা ছিল যারা সুখ- স্বাচ্ছন্ধে জীবন কাটিয়েছে, যারা মজলিসে জাফরানি মুচকি হাসি বিলাতো। মানুষ তার দিকে দেখতেই থাকতো। কিন্তু মৃত্যু তাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। পোকা-মাকড় তার গোশত খেয়ে ফেলেছে। আজ তার শুকনো হাড্ডি পড়ে আছে। আজ তার কবর খোড়ে দেখলে দেখা যাবে, সে শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে আছে। কোথায় গেলো সেসব জিনিস, যেগুলো সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পরত।
কোথায় গেলো সে ব্যবহার, যার জন্য সে জান দিত। সে ব্যবসায় বানিজ্য ও নাই। সে ধন সম্পদ ও নাই। সব কিছু এখানে ফেলে সে ঐ দুনিয়ার দিকে যাত্রা করেছে।
এক যুবক কাউকে ঘরের অবস্থা এবং বাবার অসুস্থতার বিবরন দিয়ে বলল,’আমার বাবা মরতে মরতে বেঁচে গেছেন।’ এক বুজুর্গ এ কথা শুনে বললেন, প্রিয়, তোমার বাবা বাচতে বাচতে মরে গেলেন।’ মৃত্যুই যেহেতু শেষ পরিনতি, তাই আখেরাতের জন্য প্রস্তুত হবো না কেন?
নবি করিম (সাঃ) বলেন-
‘ দুনিয়াতে এমনভাবে থাকো, যেভাবে কোন ভিনদেশি বা মুসাফির থাকে।’
Leave a Reply