অর্থের চাহিদা মানুষের নিত্যদিনের কিন্তু জ্ঞানের চাহিদা মানুষের মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত। প্রত্যেকের জ্ঞানের মাত্রার পরিধি বাড়ানোর জন্য বইের বিকল্প আর কিছু থাকতে পারে না, তবে হ্যা শিক্ষাজ্ঞান যতটুকু দিয়ে চর্চা করতে পারে তারা আসলেই অসাধারণ তাদের লেখার প্রতিভা হয় বিশাল ব্যক্তিত্বের। এরকম লোক খুব কম পাওয়া যায়।
জ্ঞানের সুধা মিঠানোর জন্য বই পড়া আসলেই অপরিহার্য। আজকাল আমার ক্যানো যেন লালণ এর কথা বেশী বেশী চিন্তায় আসে,”মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”এই কোটেসনটা আসলেই নিঃস্বার্থতাই বুঝাই। আমরা কি আসলে প্রকৃত সেবা ভক্তি শ্রদ্বা ভালবাসার মধ্যে আছি কি? হয়তবা অনেকই আছে আর হয়তো স্বার্থের পরিমানটা বেশি আছে। সেবা হতে হবে নিঃস্বার্থ আমরা যেন বিন্দু মাত্র তার কাছ থেকে বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আসা যেন না করি। যদি আশা করি তাহলে যেন হৃদয়ের ভালবাসাটুকু পায় যেন।
অনেকই মনে করে অর্থ দিয়ে সেবা দেওয়া যায় আমি অর্থনীতির ছাত্র হয়ে তা মনে করি না, তার কারণ হল এই যে কাগজের অর্থ কিছু না পরিশ্রমের গচ্ছিত মূল্যই হল সেবা,সেবা থাকে মানুষের মনে, স্নেহ মমতা ভালবাসায়,জ্ঞান শিক্ষার আলোয় থাকে মানুষের প্রকৃত সেবা। এজন্যই মনীষারা বলেছেন বই হল মানুষের প্রকৃত বন্ধু,টাকা মানুষের প্রকৃত বন্ধু না। টাকা হল কাগজের নোট যেটা মানুষের নিত্যদিনের পরিশ্রমের গচ্ছিত সেবা, এটা ভাল কাজে ব্যয় করলে মানুষের উপকারে আসে। যার বেশী কাগজের নোট বা অর্থের প্রয়োজন তারা শুধু মিচে মরিচিকার পাশে দৌড়ায়।
মানব সেবাই পরম ধর্ম। সেবা করলে আত্নপরিতৃপ্তি পাওয়া যায়। গচ্ছিত পরিশ্রমের সেবা হল (অর্থ) যার বিনিময়ে মানুষ সেবা বেচা কিনা করে। যেমন : ডাক্তার, উকিল,শিক্ষক,রাজনীতিবিদ, শ্রমিক ইত্যাদি সকল পেশার মানুষের কাছে সেবাটা বিনিময় হয় গচ্ছিত পরিশ্রমের কাগজের অর্থের বিনিময়। মানবিক বিবেচনায় দেখলে দেখা যায় যাদের কোন অঙ্গ নাই তাদের মানুষ হিসাবে সঠিক মূল্যায়নটুকু পায় না তাই আমাদের সবার উচিত মানব সেবা করা আমরা যেন অর্থের কাছে বিক্রি না হয়।
অর্থকে বড় করে না দেখে মানব সেবাকে বড় করি দেখি তাহলে শিক্ষাজ্ঞানের জয় হবে। কাগজের অর্থ টাকা বা নোটের কাছে আদর্শকে যেন বিক্রি না করি সেবাটাকে বড় করি দেখি তাহলে প্রকৃত সাধক হওয়া যাবে।
(ক্ষুদ্র জ্ঞানের চর্চা ভূল ত্রূটি হলে ক্ষমা করবেন সবাই)
Leave a Reply